ছাত্রদল নেতাকে হত্যার অভিযোগে দুই ওসিসহ ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২২, ১৭: ০৪

সাড়ে চার বছর আগে রাজধানীর তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি জাকির হোসেন মিলনের মৃত্যুর ঘটনায় বর্তমান রমনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং ঘটনাকালীন সময়ে শাহবাগ থানায় দায়িত্বরত ওসি মো. আবুল হাসানসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়।

নিহত জাকির হোসেন মিলনের চাচা অলিউল্লাহ বাদী হয়ে ২০১৩ সালের নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের ১৫ (২) ধারায় এ মামলা করেন। বাদীর পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার আংশিক শুনানি করেন। পরে বিচারক মো. আসাদুজ্জামান আরও শুনানির জন্য আগামী ১৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

মামলায় অপর যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন—ঘটনাকালীন দায়িত্বরত রমনা মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম, ঘটনাকালীন সময়ে দায়িত্বরত শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার রায়, এসআই সাইদুর রহমান মুন্সি, এসআই অমল কৃষ্ণ ও এসআই শাহরিয়ার রেজাসহ অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচ পুলিশ সদস্য।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৬ মার্চ প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন শেষে মিছিল থেকে রমনা থানা-পুলিশ মিলনকে আটক করে নির্মমভাবে নির্যাতন করতে করতে থানায় নিয়ে যায়। পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করে পুলিশি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে এবং সেখানেও নির্মম নির্যাতন করে। পরের দিন ৭ মার্চ মিলনকে জখম অবস্থায় আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। অপরদিকে, তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ড দেন। পুলিশ ভ্যান থেকে নামানোর সময় বাদী তার হাতে পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম দেখতে পায়। রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মহানগর গোয়েন্দা সংস্থার দক্ষিণের একটি টিম। রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন আসামিপক্ষের আইনজীবী ফের তার জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রিমান্ডের পর থেকেই তিনি প্রচণ্ড অসুস্থতাবোধ করছিলেন। কারা কর্তৃপক্ষ তাকে কারা হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে একজন সহকারী চিকিৎসক তার শারীরিক পরীক্ষা করেন। অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠান। ঢামেকে আনার পরপরই তার মৃত্যু হয়।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা মিলনকে গ্রেপ্তারের পরে বেআইনিভাবে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয় যে কারণে তার মৃত্যু হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

ভারতের পাল্টা আক্রমণে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা কলেজে সংঘর্ষকালে বোমা বিস্ফোরণের ছিটকে পড়েন সেনাসদস্য—ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা

ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের খবরে মুখ খুললেন অমিতাভ

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত