নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মোবাইল চুরি-ছিনতাই ও আইএমইআই পরিবর্তন করে বিক্রি করা চারটি চক্রের ২০ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। গত পাঁচ বছর ধরে চক্রটি এই কাজ করে আসছিল। এ পর্যন্ত তাঁরা ২০ হাজারের বেশি মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তন করে বিক্রি করেছেন। গতকাল সোমবার ঢাকার গুলিস্তান, শনির আখড়া, মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
আটকেরা হলেন—হাফিজুর রহমান, রনি আহমেদ ইমন, জসিম উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, আবুল মাতুব্বর, আহম্মদ আলী, কামাল, বাপ্পি, আবিদ হোসেন সনু, রবিন ভূঁইয়া, আরিফুল হোসেন, ইব্রাহিম মিয়া, সুজন, দেলোয়ার, আব্দুর রহমান, রাজু, জিহাদ হোসেন, মুনাইম, রাজু ও রফিক।
এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৫৪২টি স্মার্টফোন, ৩৪১টি বাটন মোবাইল, বিপুল পরিমাণ ভুয়া আইএমইআই স্টিকার, ইলেকট্রনিক সেন্সর ডিভাইস, আইএমইআই পরিবর্তনের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন টুলস, ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ৬টি চাকু ও নগদ ১১ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, চুরি বা ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন খুঁজে পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আইএমইআই নম্বর। কিন্তু সেই আইএমইআই নম্বর ৩-৭ সেকেন্ডে পাল্টে ফেলে চক্রটি। এরপর বিভিন্নভাবে মানুষের হাতে চলে যাচ্ছে। আইএমইআই নম্বর পাল্টে ফেলায় খোয়া যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করা যাচ্ছে না।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে মোবাইল সিন্ডিকেট চক্রের অবৈধ মোবাইল ক্রয়-বিক্রয়ের তৎপরতা বাড়ার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২০ জনকে আটক করা হয়। তাঁরা দীর্ঘ ৫-৬ বছর ধরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মোবাইল চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত। তাঁরা মোবাইল চুরি, ছিনতাই ও আইএমইআই পরিবর্তন করে। কেউ ছিনতাই করে, কেউ বিক্রি করে। এর মধ্যে দেলোয়ার এবং আবুল মাতুব্বর মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তনের অন্যতম কারিগর। তাঁরা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ছিনতাই হওয়া মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তন করে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আটক দেলোয়ারের চক্রটি গুলিস্তান, আরিফুলের চক্রটি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও, আবুল মাতুব্বরের চক্রটি মোহাম্মদপুর ও ইমনের চক্রটি খিলগাঁও এলাকায় সক্রিয় ছিল। তারা আইএমইআই পরিবর্তনের পাশাপাশি কখনো কখনো মোবাইলের কেসিন, ডিসপ্লেও পরিবর্তন করে ফেলে। ব্রান্ড এবং কোয়ালিটি ভেদে এসব মোবাইলের দাম ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
আটক দেলোয়ারের সহযোগী রাজু এবং জিহাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আরিফুলের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় মামলা রয়েছে। এ ছাড়া, মোনায়েম, রফিক ও আরিফুল আগেও র্যাবের হাতে আটক হয়েছিলেন। পরে তারা জেল থেকে বেরিয়ে আবারও এই চক্রে জড়িয়ে পড়ে। তাদের বিভিন্ন থানায় পাঠানো হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
এদিকে রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়ায় গ্যারেজে বাসে আগুনের ঘটনায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, কোনাপাড়ার ধার্মিক পাড়া এলাকায় গ্যারেজে থাকা লন্ডন এক্সপ্রেসের (ভলভো কোচ) ১৪টি বাসে আগুনের ঘটনা নাশকতা কি না তা খতিয়ে দেখছে র্যাব। কর্তৃপক্ষ এখনো নাশকতার সন্দেহে কোনো অভিযোগ করেননি। তারপরও র্যাবের গোয়েন্দারা কাজ করছে, এটা স্বাভাবিক ঘটনা নাকি নাশকতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গ্যারেজে থাকা লন্ডন এক্সপ্রেসের (ভলভো কোচ) ১৪টি বাস আগুনে পুড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের চেষ্টায় রাত পৌনে ১০টার দিকে বাসগুলোর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
মোবাইল চুরি-ছিনতাই ও আইএমইআই পরিবর্তন করে বিক্রি করা চারটি চক্রের ২০ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। গত পাঁচ বছর ধরে চক্রটি এই কাজ করে আসছিল। এ পর্যন্ত তাঁরা ২০ হাজারের বেশি মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তন করে বিক্রি করেছেন। গতকাল সোমবার ঢাকার গুলিস্তান, শনির আখড়া, মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
আটকেরা হলেন—হাফিজুর রহমান, রনি আহমেদ ইমন, জসিম উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, আবুল মাতুব্বর, আহম্মদ আলী, কামাল, বাপ্পি, আবিদ হোসেন সনু, রবিন ভূঁইয়া, আরিফুল হোসেন, ইব্রাহিম মিয়া, সুজন, দেলোয়ার, আব্দুর রহমান, রাজু, জিহাদ হোসেন, মুনাইম, রাজু ও রফিক।
এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৫৪২টি স্মার্টফোন, ৩৪১টি বাটন মোবাইল, বিপুল পরিমাণ ভুয়া আইএমইআই স্টিকার, ইলেকট্রনিক সেন্সর ডিভাইস, আইএমইআই পরিবর্তনের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন টুলস, ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ৬টি চাকু ও নগদ ১১ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, চুরি বা ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন খুঁজে পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আইএমইআই নম্বর। কিন্তু সেই আইএমইআই নম্বর ৩-৭ সেকেন্ডে পাল্টে ফেলে চক্রটি। এরপর বিভিন্নভাবে মানুষের হাতে চলে যাচ্ছে। আইএমইআই নম্বর পাল্টে ফেলায় খোয়া যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করা যাচ্ছে না।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে মোবাইল সিন্ডিকেট চক্রের অবৈধ মোবাইল ক্রয়-বিক্রয়ের তৎপরতা বাড়ার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২০ জনকে আটক করা হয়। তাঁরা দীর্ঘ ৫-৬ বছর ধরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মোবাইল চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত। তাঁরা মোবাইল চুরি, ছিনতাই ও আইএমইআই পরিবর্তন করে। কেউ ছিনতাই করে, কেউ বিক্রি করে। এর মধ্যে দেলোয়ার এবং আবুল মাতুব্বর মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তনের অন্যতম কারিগর। তাঁরা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ছিনতাই হওয়া মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তন করে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আটক দেলোয়ারের চক্রটি গুলিস্তান, আরিফুলের চক্রটি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও, আবুল মাতুব্বরের চক্রটি মোহাম্মদপুর ও ইমনের চক্রটি খিলগাঁও এলাকায় সক্রিয় ছিল। তারা আইএমইআই পরিবর্তনের পাশাপাশি কখনো কখনো মোবাইলের কেসিন, ডিসপ্লেও পরিবর্তন করে ফেলে। ব্রান্ড এবং কোয়ালিটি ভেদে এসব মোবাইলের দাম ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
আটক দেলোয়ারের সহযোগী রাজু এবং জিহাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আরিফুলের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় মামলা রয়েছে। এ ছাড়া, মোনায়েম, রফিক ও আরিফুল আগেও র্যাবের হাতে আটক হয়েছিলেন। পরে তারা জেল থেকে বেরিয়ে আবারও এই চক্রে জড়িয়ে পড়ে। তাদের বিভিন্ন থানায় পাঠানো হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
এদিকে রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়ায় গ্যারেজে বাসে আগুনের ঘটনায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, কোনাপাড়ার ধার্মিক পাড়া এলাকায় গ্যারেজে থাকা লন্ডন এক্সপ্রেসের (ভলভো কোচ) ১৪টি বাসে আগুনের ঘটনা নাশকতা কি না তা খতিয়ে দেখছে র্যাব। কর্তৃপক্ষ এখনো নাশকতার সন্দেহে কোনো অভিযোগ করেননি। তারপরও র্যাবের গোয়েন্দারা কাজ করছে, এটা স্বাভাবিক ঘটনা নাকি নাশকতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গ্যারেজে থাকা লন্ডন এক্সপ্রেসের (ভলভো কোচ) ১৪টি বাস আগুনে পুড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের চেষ্টায় রাত পৌনে ১০টার দিকে বাসগুলোর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৪ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৪ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
৫ ঘণ্টা আগে