নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্যে কলেরার প্রকোপ দেখা দেওয়ায় উদ্বিগ্ন সরকার। এ জন্য আগামীতে কলেরার টিকা দিয়েই বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর পরিকল্পনা করছে সরকার।
আজ রোববার রাজধানীর মহাখালীতে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআর, বি) ঢাকার পাঁচটি এলাকায় কলেরার টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, ‘বাইরের দেশগুলোতে আমাদের শ্রমিকদের কলেরার ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আগামীতে তাদের ভ্যাকসিন দিয়েই পাঠানো হবে। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, সব ডায়রিয়া কলেরা নয়, আবার সব কলেরাই প্রাণঘাতী নয়। ঢাকা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় এখানে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।’
একই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকও বিষয়টি নিয়ে সরকার ভাবছে বলে জানান। তিনি বলেন, ‘প্রবাসীদের মধ্যে অনেকের শরীরে কলেরার জীবাণু পাওয়া যায় বলে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ থেকে আমাদের বলা হয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে ভাবছি।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের দেশে এক সময় ডায়রিয়া ও কলেরা খুবই বিপজ্জনক রোগ হিসেবে পরিচিত ছিল। সে সময় বহু মানুষের মৃত্যু হত। এখন সেটি বহুলাংশে কমে এসেছে। বিশুদ্ধ পানির ও স্যানিটারি ল্যাট্রিনের ব্যবহার নিশ্চিত করায় এ রোগ এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে।’
সংক্রামক রোগগুলো নিয়ে বহু বছর ধরে কাজ করছে সরকার জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সব জেলা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। প্রত্যেকটিতে ১০ শয্যা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। টিকা নিলে যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে তাতে ৫০ ভাগ সুরক্ষিত থাকা যায়। চলমান এই টিকার গবেষণা ও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বাংলাদেশেই হয়েছে।
আইসিডিডিআর, বি'র জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী বলেন, প্রতিবছর আইসিডিডিআর, বিতে আসা রোগীদের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ এবং ঢাকার বাইরে ১০ শতাংশ রোগীর শরীরে কলেরা পাওয়া যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি বছর বিশ্বে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের ৫ শতাংশের মৃত্যু হয়। সম্প্রতি রাজধানীতে ডায়রিয়া যে প্রকোপ ছিল তার ৫০ শতাংশই ছিল পুরান ঢাকার।
বাংলাদেশে এ বছর ডায়রিয়া ও কলেরার সবচেয়ে বেশি প্রকোপ ছিল রাজধানীর পাঁচটি এলাকায়। তাই, টিকাদান কার্যক্রমও চলবে এসব এলাকায়। যাত্রাবাড়ীর প্রায় ৫ লাখ, সবুজবাগের প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার, দক্ষিণখানের প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার, মিরপুরের প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার এবং মোহাম্মদপুরের প্রায় ৪ লাখসহ মোট ২৩ লাখ মানুষকে এবার কলেরার টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রায় ৭০০টি কেন্দ্রে আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। এক বছরের কম ও গর্ভবতী নারী ব্যতীত সবাই নিতে পারবে টিকা।
বাংলাদেশে শীত, বর্ষা ও গরমের সময় কলেরার প্রকোপ বাড়ে। সে অনুযায়ী প্রতি বছর এপ্রিলের শুরুতে বাড়তে থাকে। তবে এবার হয়েছে ব্যতিক্রম। নির্ধারিত সময়ের আগে গরম আর রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায় নিরাপদ পানির অভাবে গত মার্চেই প্রকোপ শুরু হয়। অন্যান্য বছর ডায়রিয়া রোগী দৈনিক ৬০০ থাকলেও এবার সেটি দ্বিগুণ ছাড়িয়ে যায়। ফলে বেড়ে যায় কলেরায় আক্রান্ত হওয়ার হারও। এখন পর্যন্ত চলতি বছর কলেরায় আক্রান্তের হার প্রায় ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছিল।
এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) শাখার অধীন ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর খুব দ্রুততার সঙ্গে ইন্টারসেক্টোরাল কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের (আইসিজি) কাছে প্রতিক্রিয়া ভিত্তিক (রিঅ্যাক্টিভ) কলেরা টিকাদান কর্মসূচির জন্য টিকার সংস্থান করতে আহ্বান জানায়।
এতে সাড়া দিয়ে আইসিজি প্রায় ৪৭ লাখ ৫০ হাজার মুখে খাওয়ার কলেরা টিকা প্রদানে সম্মত হয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সার্বিক সহায়তায় আইসিডিডিআর, বি রোববার থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে।
এই কর্মসূচিতে আরও সহায়তা করছে জাতীয় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, আন্তর্জাতিক রেডক্রস, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও এমএসএফ। দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স, গ্যাভির আর্থিক সহায়তায় এই টিকাদান উদ্যোগ পরিচালিত হচ্ছে।
সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্যে কলেরার প্রকোপ দেখা দেওয়ায় উদ্বিগ্ন সরকার। এ জন্য আগামীতে কলেরার টিকা দিয়েই বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর পরিকল্পনা করছে সরকার।
আজ রোববার রাজধানীর মহাখালীতে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআর, বি) ঢাকার পাঁচটি এলাকায় কলেরার টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, ‘বাইরের দেশগুলোতে আমাদের শ্রমিকদের কলেরার ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আগামীতে তাদের ভ্যাকসিন দিয়েই পাঠানো হবে। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, সব ডায়রিয়া কলেরা নয়, আবার সব কলেরাই প্রাণঘাতী নয়। ঢাকা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় এখানে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।’
একই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকও বিষয়টি নিয়ে সরকার ভাবছে বলে জানান। তিনি বলেন, ‘প্রবাসীদের মধ্যে অনেকের শরীরে কলেরার জীবাণু পাওয়া যায় বলে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ থেকে আমাদের বলা হয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে ভাবছি।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের দেশে এক সময় ডায়রিয়া ও কলেরা খুবই বিপজ্জনক রোগ হিসেবে পরিচিত ছিল। সে সময় বহু মানুষের মৃত্যু হত। এখন সেটি বহুলাংশে কমে এসেছে। বিশুদ্ধ পানির ও স্যানিটারি ল্যাট্রিনের ব্যবহার নিশ্চিত করায় এ রোগ এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে।’
সংক্রামক রোগগুলো নিয়ে বহু বছর ধরে কাজ করছে সরকার জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সব জেলা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। প্রত্যেকটিতে ১০ শয্যা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। টিকা নিলে যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে তাতে ৫০ ভাগ সুরক্ষিত থাকা যায়। চলমান এই টিকার গবেষণা ও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বাংলাদেশেই হয়েছে।
আইসিডিডিআর, বি'র জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী বলেন, প্রতিবছর আইসিডিডিআর, বিতে আসা রোগীদের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ এবং ঢাকার বাইরে ১০ শতাংশ রোগীর শরীরে কলেরা পাওয়া যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি বছর বিশ্বে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের ৫ শতাংশের মৃত্যু হয়। সম্প্রতি রাজধানীতে ডায়রিয়া যে প্রকোপ ছিল তার ৫০ শতাংশই ছিল পুরান ঢাকার।
বাংলাদেশে এ বছর ডায়রিয়া ও কলেরার সবচেয়ে বেশি প্রকোপ ছিল রাজধানীর পাঁচটি এলাকায়। তাই, টিকাদান কার্যক্রমও চলবে এসব এলাকায়। যাত্রাবাড়ীর প্রায় ৫ লাখ, সবুজবাগের প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার, দক্ষিণখানের প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার, মিরপুরের প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার এবং মোহাম্মদপুরের প্রায় ৪ লাখসহ মোট ২৩ লাখ মানুষকে এবার কলেরার টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রায় ৭০০টি কেন্দ্রে আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। এক বছরের কম ও গর্ভবতী নারী ব্যতীত সবাই নিতে পারবে টিকা।
বাংলাদেশে শীত, বর্ষা ও গরমের সময় কলেরার প্রকোপ বাড়ে। সে অনুযায়ী প্রতি বছর এপ্রিলের শুরুতে বাড়তে থাকে। তবে এবার হয়েছে ব্যতিক্রম। নির্ধারিত সময়ের আগে গরম আর রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায় নিরাপদ পানির অভাবে গত মার্চেই প্রকোপ শুরু হয়। অন্যান্য বছর ডায়রিয়া রোগী দৈনিক ৬০০ থাকলেও এবার সেটি দ্বিগুণ ছাড়িয়ে যায়। ফলে বেড়ে যায় কলেরায় আক্রান্ত হওয়ার হারও। এখন পর্যন্ত চলতি বছর কলেরায় আক্রান্তের হার প্রায় ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছিল।
এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) শাখার অধীন ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর খুব দ্রুততার সঙ্গে ইন্টারসেক্টোরাল কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের (আইসিজি) কাছে প্রতিক্রিয়া ভিত্তিক (রিঅ্যাক্টিভ) কলেরা টিকাদান কর্মসূচির জন্য টিকার সংস্থান করতে আহ্বান জানায়।
এতে সাড়া দিয়ে আইসিজি প্রায় ৪৭ লাখ ৫০ হাজার মুখে খাওয়ার কলেরা টিকা প্রদানে সম্মত হয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সার্বিক সহায়তায় আইসিডিডিআর, বি রোববার থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে।
এই কর্মসূচিতে আরও সহায়তা করছে জাতীয় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, আন্তর্জাতিক রেডক্রস, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও এমএসএফ। দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স, গ্যাভির আর্থিক সহায়তায় এই টিকাদান উদ্যোগ পরিচালিত হচ্ছে।
রোববার দিবাগত রাত ১টার পর থেকেই বাস, পিকআপ ও মাইক্রোবাসে করে বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন ঢাকায় আসতে শুরু করেন। রাত ১টা থেকে ভোরে শত শত মানুষ শাহবাগে এসে পৌঁছাতে শুরু করেন। অধিকাংশই জানতেন না কী ঘটতে চলেছে।
২৯ মিনিট আগেরিকশা-ভ্যানে কোনো চাঁদাবাজি হবে না। গরিবদের কষ্টার্জিত অর্থ কেউ নিতে পারবে না। স্থানীয় লোকাল মাস্তানেরা চাঁদাবাজির টাকা ভাগ করে খায়। যদি পুলিশের কোনো লোক চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তাঁর আর রক্ষা নেই। গরিবের কষ্টার্জিত টাকা কেউ নিলেই ব্যবস্থা...
৩৫ মিনিট আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় রিকশাচালক আরজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
৪৪ মিনিট আগেসংঘর্ষের কারণে যাত্রাবাড়ী ও আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান।
১ ঘণ্টা আগে