৫০ লাখ শ্রমিক বেকার, গণপরিবহন চালুর অনুরোধ মালিকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২১, ১৪: ৩৬
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২১, ১৫: ৫৪

ঢাকা: পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের মানবিক দিক বিবেচনা করে গণপরিবহন চালুর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন খালি রেখে তারা আগামীকাল শুক্রবার থেকেই গণপরিবহন চালু করতে চান।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাবতলীতে সংগঠনটির কার্যালয়ে লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের পুনর্বাসনে আর্থিক সহযোগিতা অনুদানসহ চার দফা দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ দাবি–দাওয়া তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো–

করোনাভাইরাস ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গণপরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সহযোগিতায় বিশেষ প্রণোদনা হিসেবে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিত হবে।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সুদ মওকুফসহ কিস্তি ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত স্থগিত রাখা এবং ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত তাদের ঋণ খেলাপি (ক্লাসিফায়েড) না করার আবেদন জানানো হয়েছে। গণপরিবহন মালিকদের এক শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে সব ক্লাসিফায়েড লোন হালনাগাদ করার সুযোগ রাখতে হবে।

দেশের স্বার্থে এবং জনগণের স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালু করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, পর্যায়ক্রমে সব কিছুই স্বাভাবিক হচ্ছে। কেবলমাত্র গণপরিবহন চালু করা হচ্ছে না। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আমাদের শ্রমিকদের না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। পরিবহন বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষেরও অনেক কষ্ট হচ্ছে। শুধু পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে নয়, সবার কথা চিন্তা করেই আমরা গণপরিবহন চালু করতে চাই।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাবতলীতে চার দফা দাবিতে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকাগণপরিবহন বন্ধ থাকায় ৫০ লাখ সড়ক পরিবহন শ্রমিক এবং প্রায় তিন লাখ বাস-ট্রাক মালিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে রমেশ চন্দ্র বলেন, প্রতিদিন কমপক্ষে দুই কোটি যাত্রী গণপরিবহন সড়ক পথে যাতায়াত করে থাকেন। বিশাল এই পরিবহন শিল্প। হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ, সরকারের বার্ষিক হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের খাত এই পরিবহন খাত। এর সঙ্গে যুক্ত আছে চার লাখের মতো মোটর মেকানিক, মোটর পার্টস ব্যবসায়ী, হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ বহু খাতের মানুষ।

রমেশ চন্দ্র বলেন, পরিবহন মালিকরা দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। গতবছরের লকডাউনে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বেশিরভাগ বাণিজ্যিক যানবাহন ঋণের মাধ্যমে কেনা হয়েছে। ফলে বাসগুলোর বিপরীতে ঋণের বোঝা পরিবহন মালিকদের কাছে করোনার সংক্রমণ চেয়েও বড় কঠিন হয়ে উঠেছে।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার প্রথমে ৫ এপ্রিল গণপরিবহন ও অফিস-আদালত চালু রেখে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়া হয়। এরপর ২২ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়। এতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় এই মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে আগামী ৫ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে গুজব

ববির ট্রেজারার সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে যোগদানে বাধা

বিগত সরকারে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ক্ষতিপূরণ দিতেই যাবে শতকোটি টাকা

দুই দিনে ৭ ব্যাংককে ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

কোনো পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেননি রয়টার্সের প্রতিবেদক: সিএমপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত