নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর মিরপুর ও পল্লবী থানা এলাকার ছয়টি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকদের হামলার ঘটনায় মামলা করেছে মিরপুর ট্রাফিক বিভাগ। হামলার সময় বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবি দেখে অন্তত ৪০ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। এই হামলায় মিজানুর রহমান নামে এক ট্রাফিক সদস্য আহত হয়েছেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সড়কে নিষিদ্ধ। নিয়ম মাফিক আজ শুক্রবার সকালে মিরপুর ১০ নম্বর আদর্শ স্কুলের সামনে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা আটকে রাখেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মিজানুর। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২৫ থেকে ৩০ জন রিকশাচালক মিজানুরের ওপর হামলা চালায়। এ সময় অপর এক ট্রাফিক কর্মকর্তা দৌড়ে পালান। মারধরে মিজানুরের মুখ থেঁতলে গেছে। পথচারীরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সুযোগে আটকে রাখা রিকশা নিয়ে পালিয়ে যান চালক। এ ঘটনার পর মিরপুর ১০ নম্বর ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা চালায় রিকশাচালকেরা। মিরপুর ১২ নম্বর, কালশী, পূরবী, সাগুফতা, মিরপুর-১–সহ কয়েকটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে এক জোট হয়ে হামলা চালায় অটোরিকশা চালকেরা।
তবে মিরপুরের পল্লবী, দুয়ারিপাড়া, কালশী ও মুসলিম বাজার এলাকার অটোরিকশা চালকেরা বলছেন, লকডাউনের আগে পর্যন্ত স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে এককালীন আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার টাকায় কার্ড করে অটোরিকশা চালাতেন মিরপুরের চালকেরা। সেসময় পুলিশি ঝামেলা তেমন হতো না। কিন্তু কোনো কারণে নেতারা আর বিষয়টি দেখভাল না করায় পুলিশি তৎপরতা বেড়ে যায়। ট্রাফিক পুলিশেরা বাইক বা সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে ভেতরের সড়কগুলোতে টহল দিয়ে এসব রিকশা ধরে ডাম্পিং বা র্যাকারের নামে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে। কখনো ট্রাফিক পুলিশেরা রিকশার ব্যাটারি ফুটো করে দেন। মূল সড়কের বাইরেও এমন দৌরাত্ম্য চলে।
অতিষ্ঠ হয়ে পনেরো দিন আগে নিজের রিকশাটি বিক্রি করে দেন মুসলিম বাজারের রিকশাচালক লাল মিয়া। আজকের ঘটনাকে চালকদের দীর্ঘ দিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের প্রকাশ হিসেবে দেখছেন তিনি। লাল মিয়া বলেন, ‘একবার পুলিশের হাতে রিকশা পড়লে সেটা ছাড়াতে কমপক্ষে দুই হাজার টাকা লাগে। কখনো কখনো রিকশা ফেরত দিলেও ফুটো করে দেয় ব্যাটারি। মূল সড়কে উঠলে পুলিশের শাস্তি মানা যায়। কিন্তু অলিগলিতে খুঁজে খুঁজে ঋণের টাকায় কেনা রিকশার ব্যাটারি যখন ফুটো করে দেয় তখন খুব কষ্ট হয়।’
দুয়ারিপাড়া এলাকার ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক আব্দুল খালেক বলেন, ‘পুলিশ যদি দিনে ৪০টা রিকশা ধরে তাহলে দশটা ডাম্পিংয়ে দেয়। আর বাকি ৩০টা টাকার বিনিময়ে ছাইড়া দেয়। টাকা দিলেও রিকশা ছাড়াইতে ম্যালা হয়রানির শিকার হওয়া লাগে আমাগো মতো ড্রাইভারগো।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের পল্লবী জোনের সহকারী কমিশনার ইলিয়াস হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আদালতের নির্দেশ মেনে চলি। চালকেরা তাদের মতো করে বলেছে। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই।’
সহকারী কমিশনার বলেন, ‘রিকশা চালকদের সংঘবদ্ধ হামলায় সরকারি সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া আমাদের একজন সহকর্মী মিজানুর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
ছয় বছর আগে এসব ব্যাটারিচালিত যান সড়কে নিষিদ্ধ করে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এসব যান সড়কে চলাচল বন্ধ করতে না পারাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা এবং এই সময় এসে এ ধরনের যান তুলে দেওয়াটা অসম্ভব বলে মনে করেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান।
অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, ‘এ ধরনের যান কোনোভাবেই সড়কে চলার উপযোগী নয়। তবুও চলছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় নানা দিকে ম্যানেজ করে। আবার এ ধরনের যানের প্রতি সাধারণ যাত্রীরা অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। তাঁদের স্বল্প দূরত্বের পথ যাতায়াতের জন্য অনুমোদিত বিকল্প ব্যবস্থা করলেই এসব বিপজ্জনক যানবাহন থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।’
রাজধানীর মিরপুর ও পল্লবী থানা এলাকার ছয়টি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকদের হামলার ঘটনায় মামলা করেছে মিরপুর ট্রাফিক বিভাগ। হামলার সময় বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবি দেখে অন্তত ৪০ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। এই হামলায় মিজানুর রহমান নামে এক ট্রাফিক সদস্য আহত হয়েছেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সড়কে নিষিদ্ধ। নিয়ম মাফিক আজ শুক্রবার সকালে মিরপুর ১০ নম্বর আদর্শ স্কুলের সামনে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা আটকে রাখেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মিজানুর। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২৫ থেকে ৩০ জন রিকশাচালক মিজানুরের ওপর হামলা চালায়। এ সময় অপর এক ট্রাফিক কর্মকর্তা দৌড়ে পালান। মারধরে মিজানুরের মুখ থেঁতলে গেছে। পথচারীরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সুযোগে আটকে রাখা রিকশা নিয়ে পালিয়ে যান চালক। এ ঘটনার পর মিরপুর ১০ নম্বর ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা চালায় রিকশাচালকেরা। মিরপুর ১২ নম্বর, কালশী, পূরবী, সাগুফতা, মিরপুর-১–সহ কয়েকটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে এক জোট হয়ে হামলা চালায় অটোরিকশা চালকেরা।
তবে মিরপুরের পল্লবী, দুয়ারিপাড়া, কালশী ও মুসলিম বাজার এলাকার অটোরিকশা চালকেরা বলছেন, লকডাউনের আগে পর্যন্ত স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে এককালীন আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার টাকায় কার্ড করে অটোরিকশা চালাতেন মিরপুরের চালকেরা। সেসময় পুলিশি ঝামেলা তেমন হতো না। কিন্তু কোনো কারণে নেতারা আর বিষয়টি দেখভাল না করায় পুলিশি তৎপরতা বেড়ে যায়। ট্রাফিক পুলিশেরা বাইক বা সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে ভেতরের সড়কগুলোতে টহল দিয়ে এসব রিকশা ধরে ডাম্পিং বা র্যাকারের নামে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে। কখনো ট্রাফিক পুলিশেরা রিকশার ব্যাটারি ফুটো করে দেন। মূল সড়কের বাইরেও এমন দৌরাত্ম্য চলে।
অতিষ্ঠ হয়ে পনেরো দিন আগে নিজের রিকশাটি বিক্রি করে দেন মুসলিম বাজারের রিকশাচালক লাল মিয়া। আজকের ঘটনাকে চালকদের দীর্ঘ দিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের প্রকাশ হিসেবে দেখছেন তিনি। লাল মিয়া বলেন, ‘একবার পুলিশের হাতে রিকশা পড়লে সেটা ছাড়াতে কমপক্ষে দুই হাজার টাকা লাগে। কখনো কখনো রিকশা ফেরত দিলেও ফুটো করে দেয় ব্যাটারি। মূল সড়কে উঠলে পুলিশের শাস্তি মানা যায়। কিন্তু অলিগলিতে খুঁজে খুঁজে ঋণের টাকায় কেনা রিকশার ব্যাটারি যখন ফুটো করে দেয় তখন খুব কষ্ট হয়।’
দুয়ারিপাড়া এলাকার ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক আব্দুল খালেক বলেন, ‘পুলিশ যদি দিনে ৪০টা রিকশা ধরে তাহলে দশটা ডাম্পিংয়ে দেয়। আর বাকি ৩০টা টাকার বিনিময়ে ছাইড়া দেয়। টাকা দিলেও রিকশা ছাড়াইতে ম্যালা হয়রানির শিকার হওয়া লাগে আমাগো মতো ড্রাইভারগো।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের পল্লবী জোনের সহকারী কমিশনার ইলিয়াস হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আদালতের নির্দেশ মেনে চলি। চালকেরা তাদের মতো করে বলেছে। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই।’
সহকারী কমিশনার বলেন, ‘রিকশা চালকদের সংঘবদ্ধ হামলায় সরকারি সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া আমাদের একজন সহকর্মী মিজানুর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
ছয় বছর আগে এসব ব্যাটারিচালিত যান সড়কে নিষিদ্ধ করে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এসব যান সড়কে চলাচল বন্ধ করতে না পারাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা এবং এই সময় এসে এ ধরনের যান তুলে দেওয়াটা অসম্ভব বলে মনে করেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান।
অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, ‘এ ধরনের যান কোনোভাবেই সড়কে চলার উপযোগী নয়। তবুও চলছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় নানা দিকে ম্যানেজ করে। আবার এ ধরনের যানের প্রতি সাধারণ যাত্রীরা অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। তাঁদের স্বল্প দূরত্বের পথ যাতায়াতের জন্য অনুমোদিত বিকল্প ব্যবস্থা করলেই এসব বিপজ্জনক যানবাহন থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।’
কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ এলাকার একটি রেস্তোরাঁর কর্মী তোফাজ্জল হোসেন। অর্থের অভাবে লেখাপড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাঁর। ১৩ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন রেস্তোরাঁয়।
৩ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৯ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৯ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
১০ ঘণ্টা আগে