মুনিয়া ধর্ষণ ও হত্যা: বসুন্ধরার আনভীরসহ আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৪, ১৭: ২৭
Thumbnail image

কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরসহ অন্যদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বাদীর নারাজি আবেদন খারিজ করা হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এর বিচারক মো. শওকত হোসেন এ আদেশ দেন।

বাদীর আইনজীবী ব্যারিস্টার সারওয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘সকালে শুনানি হয়। তখন আদেশ দেওয়া হয়নি। বিকেলে আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল পিবিআইর তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহতি দিয়েছেন।’

অন্যদিকে বাদীর নারাজি আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। বাদীর আইনজীবী বলেন, ‘এই আদেশের বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই উচ্চ আদালতে যাব।’

মামলার বাদী নুসরাত জাহানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য বারবার ফোন দেওয়ার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

গত বছর ১ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালে নারাজি আবেদন দাখিল করেছিলেন বাদী। এক বছরেরও বেশি সময় পর নারাজি আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয় গত ৭ ফেব্রুয়ারি। পরে আদেশের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল গুলশানে নিজের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে ২১ বছর বয়সী মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। তাঁর বড় বোন নুসরাত জাহান কুমিল্লা থেকে এসে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন।

ওই বছরের ১৯ জুলাই সেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। তাতে তিনি আনভীরকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন।

এরপর ওই বছরের ১৮ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী থানা পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আনভীরকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।

এরপর নুসরাত একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেন।

এই মামলায় আনভীরের সঙ্গে তাঁর বাবা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, আনভীরের মা আফরোজা সোবহান, স্ত্রী সাবরিনা সায়েম, মডেল সাইফা রহমান মিম, ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও ইব্রাহিম আহমেদ রিপনকে আসামি করা হয়।

ধর্ষণ ও হত্যা মামলার তদন্ত করে ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন। তাতে বলা হয়, আনভীরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

তদন্ত কর্মকর্তা আনভীরসহ অন্যদের মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত