কনস্টেবল কাওছার ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে সহকর্মীকে হত্যা করতে পারেন: অতিরিক্ত কমিশনার 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৪, ১৫: ০৮
আপডেট : ০৯ জুন ২০২৪, ১৬: ১৪

রাজধানীর বারিধারার কূটনৈতিক এলাকায় কর্তব্যরত অবস্থায় এক পুলিশ সদস্য আরেক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করার ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে দাবি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত কাওছার ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে এমনটি ঘটাতে পারেন।’ 

আজ রোববার দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ. মহিদ উদ্দিন আহম্মেদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। 

মহিদ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। সাময়িক উত্তেজনার কারণে এমনটি ঘটতে পারে। তাদের সেখানে স্বাভাবিক ডিউটি ছিল। অভিযুক্ত কাওছারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তাতে মনে হয়েছে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে এমনটি ঘটাতে পারেন।’ 

অতিরিক্ত ডিউটির কারণে এমনটি হয়েছে কি না, জানতে চাইলে এই প্রশ্নের জবাবে মহিদ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, এটা যেকোনো মানুষের ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। কেউ যখন তার নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায়, তখন এমনটি ঘটে। তবে এ ধরনের নির্মমতা মেনে নেওয়া যায় না এবং এ রকমের ঘটনা ঘটা উচিত নয়। 

এ ধরনের অপরাধ যাতে সংঘটিত না হয়, সে জন্য পুলিশ সদস্যদের কাউন্সেলিং করা হয় কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, পুলিশ সদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে এ রকম কাউন্সিলিং করা হয় না, তবে মাঝেমধ্যে তাঁদের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বসে এসব বিষয়ে আলোচনা করেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। 

অভিযুক্ত কাওছার আলীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ একটি শৃঙ্খল বাহিনী, এই বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কোনো অভিযোগ এলে নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। 

গতকাল শনিবার মধ্যরাতে রাজধানীর বারিধারা কূটনৈতিক এলাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে দায়িত্ব পালন অবস্থায় এক পুলিশ কনস্টেবল অন্য সদস্যকে গুলি করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মনিরুল হক নামে এক কনস্টেবল নিহত হন। ঘটনার পর অভিযুক্ত কাওছার আলীকে গ্রেপ্তার করে গুলশান থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় নিহতের ভাই একটি হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত