Ajker Patrika

আগামীর আশায় শেষ হলো বইমেলা, ৪৭ কোটি টাকার বিক্রি

কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
আগামীর আশায় শেষ হলো বইমেলা, ৪৭ কোটি টাকার বিক্রি

ফাল্গুনের বিকেল রাঙিয়ে শেষ হয়ে গেল অমর একুশে বইমেলার এবারের আসর। অপ্রত্যাশিত কোনো চিঠি একদিনের জন্যও বন্ধ করতে পারেনি বইমেলার প্রবেশদ্বার। নিরাপত্তা বাড়িয়ে পাঠক–দর্শকদের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল। শেষ বিকেলে নতুন পুরোনো লেখক ও পাঠক সবাই বাড়ি ফিরেছেন নিরাপদে, ভবিষ্যতে আবার মেলায় আসার প্রত্যাশা নিয়ে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শেষ দিনেও পাঠক–দর্শকদের উপচে পরা ভিড় ছিল মেলা প্রাঙ্গণে। বইমেলায় ঢোকার প্রতিটি গেটে শেষ দিনের ভিড় ছিল চোখে পরার মতো। এর শুরু হয়েছিল শাহবাগ থেকে। মানুষের স্রোতের সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। তবুও সবার চোখেমুখে একটা তৃপ্তি আর খুশির ছাপ। ভিড় ঠেলে মেলায় ঢুকতেই চোখে পড়ল স্টল লিস্টের সামনে পরিচিত ভিড়। তালিকায় নির্দিষ্ট স্টলের নাম আর অবস্থান দেখে নিয়ে সবাই ছড়িয়ে পড়ছে যে যার মতো।

শেষ বেলায় হয়তো অনেক পাঠকেরই মনে পড়েছে তালিকার কোনো একটি বই কেনা বাকি রয়ে গেছে। সেটি সংগ্রহ করতে ছুটে এসেছিলেন অনেকে। অনেকেই এসেছিলেন এ বছরের মেলার শেষ বিকেলের আমেজ গায়ে মাখতে। রাজশাহী থেকে চার বন্ধু বইমেলায় এসেছিলেন সোমবার রাতে। উঠেছিলেন ঢাকায় আর এক বন্ধুর বাড়িতে। শেষ দিনে তাঁরা কিনেছেন বারোটি বই। এই চার বন্ধুর একজন লিমন সরকার। তিনি বললেন, ‘এত দিন সবার একসঙ্গে সময় মেলেনি। তাই একেবারে শেষের দিন আসতে হলো। আমরা কী কী বই কিনব তার তালিকা করে তারপরই এসেছি।’

মেলা প্রাঙ্গণে প্রতিদিনই ছিল সাহিত্যিকদের আড্ডা, তাঁদের জীবনের কথা নিয়ে আয়োজন, বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। অনেক পাঠক তাঁদের প্রিয় লেখককে স্মরণ করেছেন মনে মনে। কাগজের দামের কারণে বইয়ের দাম বেড়ে যাওয়া পাঠককে আটকে রাখতে পারেনি প্রিয় লেখকের বা প্রিয় বিষয়ে প্রকাশিত নতুন বই কেনা থেকে।

বাংলা একাডেমির তথ্য অনুযায়ী, এবারের বই মেলায় প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ের মোট ৩ হাজার ৭৩০টি বই। বেশি প্রকাশিত হয়েছে কবিতার বই। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে ১ হাজার ২৪৭ টি, এবারে গল্পের বই প্রকাশিত হয়েছে ৪৬৬ টি, উপন্যাস ৫০৩ টি, প্রবন্ধের বই ১৯৭ টি, ইতিহাস বিষয়ক বই ৮৭ টি, বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণার বই ৭৫ টি, বিজ্ঞান বিষয়ক বই ৫১ টি, অনুবাদ বই ৬৯ টি, রাজনীতি বিষয়ক বই ৩৩ টি, জীবনী ১২৮ টি, রচনাবলী ৪৩ টি, নাটক ৫৪ টি, ভ্রমণবিষয়ক বই ৬৭ টি, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক বই ৩৩ টি, রম্য ও ধাঁধা বিষয়ক বই ২২ টি, ধর্মীয় বই ৫৫ টি, অভিধান ১৩ টি, সায়েন্স ফিকশন ও গোয়েন্দা কাহিনি ৪৬ টি। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই প্রকাশিত হয়েছে ৮০ টি, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বই প্রকাশিত হয়েছে ৩৫টি এবং অন্যান্য বিষয়ে মোট ২৬৬টি বই প্রকাশিত হয়েছে।

 প্রতিবারের মতো এবারের বইমেলায় শিশুদের জন্য ছিল শিশু প্রহর। এ আয়োজনে সিসিমপুরের ইকড়ি, শিকু, হালুম আর টুকটুকি প্রতি শুক্র আর শনিবার তিন বেলা বিনোদন দিয়েছে শিশুদের। শুধু আয়োজন উপভোগ করেই নয়, বই কিনে বাড়ি ফিরেছে শিশুরা। মেলায় তাদের জন্য শিশুতোষ বই প্রকাশিত হয়েছিল ৭৯টি আর ছড়ার বই ৮১ টি।

বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, এবার মেলায় আনুমানিক ৪৭ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। বাংলা একাডেমি নিজেদের বই বিক্রি করেছে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকার।

বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ সাহিত্য পুরস্কার–২০২২, কবি জসীমউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার–২০২৩ এবং অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ উপলক্ষে বিভিন্ন গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয়। ক্যারোলিন রাইট ও জসিম মল্লিককে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ সাহিত্য পুরস্কার–২০২২ এবং কবি মোহাম্মদ রফিক-কে কবি জসীমউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার–২০২৩ দেওয়া হয়।

এ ছাড়া ২০২২ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক বই প্রকাশের জন্য আগামী প্রকাশনী-কে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০২৩, ২০২২ সালে প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে শৈল্পিক ও গুণমান বিচারে সেরা বই বিভাগে আহমদ রফিক রচিত ‘বিচ্ছিন্ন ভাবনা’ প্রকাশের জন্য জার্নিম্যান বুকস, মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ রচিত ‘বাংলা একাডেমি আমার বাংলা একাডেমি’ বইয়ের জন্য ঐতিহ্য এবং হাবিবুর রহমান রচিত ‘ঠার: বেদে জনগোষ্ঠীর ভাষা’ প্রকাশের জন্য পাঞ্জেরী পাবলিকেশনসকে মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার–২০২৩ দেওয়া হয়। ২০২২ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ বইয়ের মধ্য থেকে গুণমান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য ময়ূরপঙ্খি-কে রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার-২০২৩ দেওয়া হয়।

২০২৩ সালের অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুথিনিলয়, নবান্ন প্রকাশনী, উড়কি-কে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৩ দেওয়া হয়।

বেলাশেষে প্রায় সবার চোখেমুখে ছিল এবারের বইমেলাকে বিদায় দেওয়ার কষ্টের ছাপ। মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হওয়ার সময় কানে ভেসে আসছিল একটি ঘোষণা, ‘অমর একুশে বইমেলার শেষ দিন আজ। আগামী বছরের পয়লা ফেব্রুয়ারিতে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি অমর একুশে বইমেলায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটের শরণখোলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাদল মুন্সী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন জান্নাত আকন (২৫) নামের ওই মোটরসাইকেলের চালকও। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার তাফালবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সামনে আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত বাদল মুন্সীর বাড়ি রায়েন্দা ইউনিয়নের লাকুড়তলা-চালিতাবুনিয়া গ্রামে। আহত চালক জান্নাত আকনের বাড়ি উপজেলা সাউথখালী ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাদল মুন্সী জুমার নামাজ পড়তে বেলা সোয়া ১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন। স্কুলের সামনে রাস্তা পার হতে গেলে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁর। এতে চালক ও বাদল মুন্সী দুজনে আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের শরণখোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদল মুন্সীকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া আহত চালককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আরিফ মোহাম্মদ জানান, বাদল মুন্সীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। চালকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামিনুল হক জানান, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদকে হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
হাতিয়ায় এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদকে হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাতিয়ায় এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদকে হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় হাতিয়া থানার গেটে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা থানা গেটে অবস্থান নিয়ে ওসমান হাদি হত্যার সঙ্গে জড়িত খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়।

উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী শামছল তিব্রিজের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, সদস্যসচিব মো. আলা উদ্দিন, জাতীয় যুবশক্তির জেলা আহ্বায়ক নুরুল আমিন রিপন, উপজেলা আহ্বায়ক ইউসুফ রেজা, সদস্যসচিব সাইফুল ইসলাম রাকিব, কেন্দ্রীয় উপপ্রকাশনা ও গ্রন্থনা সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, হাতিয়ায় সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, আর এখন প্রকাশ্যে এনসিপি প্রার্থী হান্নান মাসউদকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

তাঁরা হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীসহ সব খুনিকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার, হান্নান মাসউদকে দেওয়া হুমকির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশি টহল জোরদারের দাবি জানান।

বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা আশ্বস্ত করেন যে ওসমান হাদি হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত গতিতে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং হান্নান মাসউদকে হুমকির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। দ্রুতই দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে তারা প্রতিশ্রুতি দেন।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসের পর বিক্ষোভকারীরা সাময়িকভাবে কর্মসূচি স্থগিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে এলাকায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির জানাজা ঘিরে যান চলাচল নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ২৮
শরিফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল জোহর নামাজের পর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। ছবি: সংগৃহীত
শরিফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল জোহর নামাজের পর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজার দিন রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগমের সম্ভাবনা থাকায় ওই সময় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল সীমিত থাকবে।

আজ শুক্রবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান (পিপিএম) স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জানাজা অনুষ্ঠানের সুবিধার্থে খেজুরবাগান ক্রসিং থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। ফলে শনিবার সকাল থেকে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নগরবাসীকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিকল্প সড়কসমূহ

১. মিরপুর রোড টু ফার্মগেট ভায়া মানিক মিয়া অ্যাভিনিউগামী যানবাহন মিরপুর রোড হয়ে উত্তর দিক থেকে আগত ফার্মগেট/সোনারগাঁও অভিমুখী যানবাহন গণভবন ক্রসিং-লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিংয়ে ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেটের দিকে গমন করবে।

২. ফার্মগেট টু মানিক মিয়া অ্যাভিনিউগামী ভায়া ইন্দিরা রোডগামী যানবাহন ফার্মগেট হতে খেজুরবাগান ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং-বাঁয়ে মোড় নিয়ে লেক রোড-গণভবন ক্রসিংয়ের দিকে গমন করবে।

৩. ধানমন্ডি থেকে ফার্মগেটগামী যানবাহন ধানমন্ডি ২৭ থেকে আগত যানবাহন আসাদগেট-গণভবন ক্রসিং ডানে ইউটার্ন করে লেকরোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেট ক্রসিংয়ের দিকে গমনাগমন করবে।

৪. আসাদগেট থেকে ফার্মগেট ক্রসিংগামী যানবাহন আসাদগেট-বাঁয়ে মোড় নিয়ে গণভবন ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেট ক্রসিংয়ের দিকে গমন করবে।

৫. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে/ইন্দিরা রোড থেকে ধানমন্ডিগামী যানবাহন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে/ইন্দিরা রোড থেকে আগত যানবাহন খেজুরবাগান ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং-বাঁয়ে মোড় নিয়ে লেক রোড-বায়ে মোড় নিয়ে আসাদগেট-সোজা পথে ধানমন্ডির দিকে গমন করবে।

৬. মিরপুর রোড থেকে ধানমন্ডি ২৭ গামী যানবাহন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে ব্লকেড সরিয়ে ফেলা হবে বিধায় মিরপুর রোড থেকে দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন শ্যামলী-শিশুমেলা-গণভবন-আসাদগেট থেকে সোজা ধানমন্ডি ২৭-এর দিকে গমনাগমন করবে।

৭. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েগামী যানবাহনসমূহকে জানাজা চলাকালীন ফার্মগেট এক্সিট র‍্যাম্প ব্যবহারের পরিবর্তে এফডিসি (হাতিরঝিল) র‍্যাম্প ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হলো।

নিরাপত্তার স্বার্থে জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেট সীমান্তে খাসিয়াদের গুলিতে ২ জন নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ২৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তে পৃথক স্থানে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার উপজেলায় সীমান্তের দুটি স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের পূর্ব তুরুং গ্রামের মো. বোরহান উদ্দিনের ছেলে মো. আশিকুর রহমান এবং একই এলাকার বরম সিদ্দিপুরের আজমন আলীর ছেলে মো. ইয়াকুব আলী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে খাসিয়াদের সুপারিপুঞ্জিতে ঢুকলে তাঁরা গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন মারা যান। লাশ দুটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আইনিপ্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দমদমিয়া সীমান্ত পিলার নম্বর ১২৬০/৪-এসের পাশ দিয়ে বাংলাদেশি কয়েক ব্যক্তি আনুমানিক এক থেকে দেড় কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে রাজন টিলার সুপারিবাগানে ঢোকে।

এ সময় সেখানে অবস্থানরত ভারতীয় বাগানমালিক খাসিয়ারা তাদের লক্ষ্য করে বন্দুকের কয়েক রাউন্ডটি গুলি ছোড়ে। এতে মো. আশিকুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যরা লাশ বাংলাদেশে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন।

অন্যদিকে একই দিন বেলা ৩টায় সীমান্ত পিলার ১২৫৫/২ এস থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে বরম সিদ্দিপুর নামক স্থান দিয়ে দুই ব্যক্তি সুপারিবাগানে ঢুকলে খাসিয়ারা তাঁদের লক্ষ্য করে ছররা গুলি ছোড়ে। এতে মো. ইয়াকুব আলী নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহত ইয়াকুবকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত