বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘রিহ্যাব ফেয়ার ২০২২’ আয়োজন করছে রিহ্যাব। আগামী ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে মেলা চলবে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। 

মেলা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাবের সহ সভাপতি ও মেলা আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সোহেল রানা বলেন, ‘নতুন ড্যাপের কারণে পরিবেশবান্ধব উপায়ে বসবাস করার জন্য মৌলিক চাহিদার অন্যতম আবাসনের স্বপ্ন মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা নতুন ড্যাপে ফার এর পরিমাণ সংশোধন করা হবে।’ 

আজ রোববার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে রিহ্যাব ফেয়ার-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। 

নির্মাণ সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি এবং নতুন ড্যাপের কারণে আবাসন সেক্টর সংকটে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন সোহেল রানা। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের ক্রমবর্ধমান মেগাসিটিগুলোর মধ্যে ঢাকা এখন অন্যতম। এমন বাস্তবতায় ২৩ আগস্ট, ২০২২ থেকে নতুন ড্যাপের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালীন বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছিল আবাসন শিল্প। কিন্তু বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূর প্রসারী প্রণোদনা প্রদানের সিদ্ধান্তে এই খাত সংকট থেকে রক্ষা পায়।’ 

শঙ্কার কথা উল্লেখ করে রিহ্যাবের সহ সভাপতি বলেন, ‘নতুন ড্যাপের ঘোষিত ফ্লোর এরিয়া রেশিও (ফার) হ্রাসের কারণে মূল ঢাকায় বেশির ভাগ ভবন হবে ৪ থেকে ৫ তলা। ফলে ভবিষ্যতে আবাসন সংকট আরও প্রকট হবে। উচ্চহারে বাড়বে ফ্ল্যাটের দাম এবং আকাশচুম্বী হবে বাড়ি ভাড়া। কারণ ফ্ল্যাটের চাহিদা এবং জোগানের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হবে। নতুন ড্যাপের প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর বিগত প্রায় ৪ মাসে আমাদের রিহ্যাব সদস্যরা জমির মালিকের সঙ্গে কোনো চুক্তি বা সমঝোতায় যেতে পারেনি। কেউ নতুন করে প্ল্যান পাস করেনি। পুরোনো প্রকল্পগুলো নিয়েই অনেকে কাজ করছেন। ফলে ভবিষ্যতে ফ্ল্যাটের সংকট তৈরি হবে এবং দাম বাড়বে। আমরা রাজউকসহ ড্যাপের আহ্বায়ক মাননীয় এলজিআরডি মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আমাদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার কথা তুলে ধরে ফার এর পরিমাণ সংশোধনের দাবি জানিয়েছি। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করবেন। আমাদের প্রত্যাশা নতুন ড্যাপে ফার এর পরিমাণ সংশোধন করা হবে।’ 

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, এবারের ফেয়ারে ১৮০টি স্টল থাকছে। এই ফেয়ারে তিনটি ডায়মন্ড প্যাভিলিয়ন, সাতটি গোল্ড স্পনসর, ২২টি কো-স্পনসর, ১৬ টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও ১৩ অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করবে। আগামী বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেম-এ ফেয়ারের উদ্বোধনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। তবে প্রথম দিন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা দুপুর ২টা থেকে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। বাকি দিনগুলোতে সকাল ১০ থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতা দর্শনার্থীরা মেলায় প্রবেশ করতে পারবে। 

বিগত সময়ের ধারাবাহিকতায় এ বছরের মেলাতেও দুই ধরনের টিকিট থাকছে। একটি সিঙ্গেল এন্ট্রি অপরটি মাল্টিপল এন্ট্রি। সিঙ্গেল টিকিটের প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। আর মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিটের প্রবেশ মূল্য ১০০ টাকা। মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিট দিয়ে একজন দর্শনার্থী মেলার সময় ৫ বার প্রবেশ করতে পারবেন। এন্ট্রি টিকিটের প্রাপ্ত সম্পূর্ণ অর্থ দুস্থদের সাহায্যার্থে ব্যয় করা হবে। এন্ট্রি টিকিটের র‍্যাফেল ড্র তে থাকছে আকর্ষণীয় মূল্যবান পুরস্কার। এ বছর মেলার শেষে প্রতিদিন রাত ৯টায় র‍্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে। র‍্যাফেল ড্র তে ৫ দিনে থাকবে আকর্ষণীয় মূল্যবান পুরস্কার।