কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এই পতনের প্রধান কারণ। জাতীয় দারিদ্র্য হ্রাস ত্বরান্বিতকরণ টিমের নীতি বিশেষজ্ঞ এগা কুরনিয়া ইয়াজিদ বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তঃসংযুক্ত কারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংকোচনের জন্য দায়ী। মধ্যবিত্তরা মূলত কর রাজস্বে বড় অবদান রাখে। কিন্তু তারা খুবই সীমিত
দেশে নিত্যপণ্যের দাম এতটাই বেড়েছে যে, তা কম আয়ের মানুষের কাছে সেগুলোকে বিলাসবহুল বলে মনে হচ্ছে। গরিব ও মধ্যবিত্তরা যেসব পণ্য কেনেন সেগুলোর দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি।
কান চলচ্চিত্র উৎসবে এক সাক্ষাৎকারে নিজেকে মধ্যবিত্ত দাবি করে নেটিজেনদের তোপের মুখে অস্কার বিজয়ী অস্ট্রেলিয়ান হলিউড অভিনেত্রী কেট ব্লানচেট। অভিনেত্রীকে নিয়ে এর পর থেকেই শুরু হয়েছে ট্রল। অভিনেত্রীর সম্পদের পরিমাণ ৯৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি। অস্কার জেতা অভিনেত্রী কেন নিজেকে মধ্যবিত্ত বললেন, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব
ভারতে বর্তমানে মূল্যস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বিশেষ করে মহানগরগুলোতে এই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এসব শহরে অত্যধিক বাড়িভাড়া, জিনিসপত্রের দাম, স্কুলের ফি ও অন্যান্য পরিষেবার খরচ আকাশচুম্বী হওয়ায় দিন শেষে জনগণের আয়ের কিছুই অবশিষ্ট থাকছে না।
ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা ভালো নেই। ডলার সংকটে আমদানি এখন নিয়ন্ত্রিত, রপ্তানিতে শ্লথগতি, রেমিট্যান্স প্রবাহেও ভাটার টান চলছে। দুর্বল মুদ্রানীতি ও খেলাপি ঋণের ভারে বিশৃঙ্খলা চলছে আর্থিক খাতে, পুঁজিবাজারেও চলছে মন্দা। অন্যদিকে জিনিসপত্রের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে ভোগ কমিয়ে দিয়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা, এতে
দৈনন্দিন খরচের ধাক্কা সামলাতে সঞ্চয়পত্র বিক্রির হিড়িক পড়েছে। বিশেষ করে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের বাড়তি ব্যয়ের অর্থ জোগাতে সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর প্রবণতা বেড়েছে। এ ছাড়া সুদের হার হ্রাসসহ অতিরিক্ত শর্ত জুড়ে দেওয়ায় সঞ্চয়পত্র কেনায় ভাটা পড়েছে।
বাজারে চাল-ডাল থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম বেড়েছে দফায় দফায়। সেই তুলনায় মানুষের আয় বাড়েনি। উচ্চবিত্তের চিন্তা নেই। মধ্যবিত্ত কোনোরকমে ম্যানেজ করে চলছে। কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছে নিম্নবিত্তের। জরিপের তথ্য বলছে, ভাত থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সবকিছু খাওয়া কমিয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। আর ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ নি
আজ শনিবার সকালে কোলকোন্দ ইউনিয়ন থেকে গঙ্গাচড়া ভেতর বাজারে বয়লার মুরগির মাংস কিনতে এসে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে এসব কথা বলছিলেন আমিনুর রহমান (৪৫)। তিনি পেশায় রিকশাচালক। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে চার সদস্যের সংসার। সারা দিন রিকশা চালিয়ে যা আয় করেন তা দিয়ে এখন সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর।
বাঙালি মুসলমান মধ্যবিত্তের বিকাশ ঘটতে থাকে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে। সে সময় পাটের ব্যবসা লাভজনক হয়ে উঠেছে। কৃষকেরা বাড়তি কিছু অর্থের মুখ দেখেছেন। ফলে কৃষকের সন্তানেরা পড়াশোনার জন্য শহরাঞ্চলে আসতে থাকেন
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘রিহ্যাব ফেয়ার ২০২২’ আয়োজন করছে রিহ্যাব। আগামী ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে মেলা চলবে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মেলা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে...
জিনিসপত্রের দাম বাড়া আর সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় কষ্টে আছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। সন্তানদের স্কুল-কলেজে যাতায়াতসহ নানা কাজের জন্য বহু বছরের সঞ্চয় দিয়ে পুরোনো বা কম দামি গাড়ি কেনার যে শখ ছিল মধ্যম আয়ের মানুষের, তা মেটানো কঠিন
গত এক দশকে দেশের মাথাপিছু আয় ও জীবন মান বেড়েছে, দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এর ভেতরে চোরাবালি আছে। কারণ দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এখনো পেছনে পড়ে রয়েছে। বৈষম্য বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্বল হয়ে গেছে।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। চাল, ডাল, তেল, চিনি, সাবান, ডিটারজেন্টসহ সবকিছুর দাম মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।
আর মাত্র সপ্তাহখানেক পরেই ঘোষিত হবে নতুন বাজেট। এটি এমন এক সময়ে পেশ হতে যাচ্ছে, যখন নিত্যপণ্যের লাগামহীন দামের উত্তাপে পুড়ছে মধ্যবিত্ত। যাদের আয় তেমন না বাড়লেও ব্যয় বেড়েছে অনেক। আয়-ব্যয়ে ভারসাম্য রাখতে অনেক
‘সারা দিনে কামাই করি ২০০ / ৩০০ টাকা। যা কামাই করি চাল, তেল কিনতেই শেষ। বাজার করবার আসলে দেখি সব জিনিসের দাম বেশি। সব জিনিসের দাম বাড়লেও হামাগেরে ভাড়া বাড়ে না...
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শুধু নিম্ন আয়ের মানুষেরা নয় মধ্যবিত্তরাও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। চাল, ডাল, আটা ও তেলসহ সকল ভোগ্যপণ্যের চড়া দামের কারণে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। তাই কম দামে চাল ও আটা কিনতে এখানে ওএমএসের সারি ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল সোয়া নয়টা। রাজধানী ঢাকার উত্তর বাড্ডায় বাজারে কেনাকাটা করছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা আশরাফুল। ছোট মাছ, সবজি আর এক কেজি গরুর মাংস কিনতেই ১ হাজার টাকা শেষ। কষ্টের সুরে তিনি বলেন, প্রতিটা জিনিসের