Ajker Patrika

ঢাকায় সহনীয় মাত্রার তিনগুণ তীব্র শব্দদূষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকায় সহনীয় মাত্রার তিনগুণ তীব্র শব্দদূষণ

ঢাকা: রাজধানী সহনীয় মাত্রার চেয়ে তিনগুণ তীব্র শব্দদূষণে আক্রান্ত। এই শব্দদূষণের কারণে প্রায় অর্ধ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। এ তথ্য জানিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রতিনিয়ত অসচেতনতাবশত, অকারণেই ঘরে এবং ঘরের বাইরে শব্দদূষণ করা হচ্ছে। শব্দদূষণ থেকে মুক্ত থাকতে আমাদের প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে।

আজ বুধবার আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তরের ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প’ আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল কর্মশালায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, প্রতিনিয়ত অসচেতনতাবশত, অকারণেই ঘরে এবং ঘরের বাইরে শব্দদূষণ করা হচ্ছে। আবাসিক এলাকায় যানবাহনে অযাচিত হর্নের ব্যবহার, নির্মাণ কাজে সৃষ্ট শব্দ, বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মাইক/সাউন্ডবক্সের মাধ্যমে সৃষ্ট শব্দে প্রতিনিয়ত শব্দদূষণ হচ্ছে। এটি মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করছে। এই শব্দদূষণ থেকে মুক্ত থাকতে আমাদের প্রত্যেককে শব্দ সচেতন হতে হবে। অপ্রয়োজনীয় শব্দ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ লক্ষ্যে শিশুদেরকে শৈশব থেকেই শব্দ সচেতন করে গড়ে তুলতে হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়মিত দায়িত্বে নিয়োজিত মহাপরিচালক মো. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর (যুগ্ম সচিব)। এছাড়া কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, পুলিশ বিভাগ, পরিবহণ সেক্টর, সিটি কর্পোরেশন, বেসরকারী সংস্থা, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, গবেষক এবং গণমাধ্যমের কর্মীরা অংশ নেন।

পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, সরকার শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। সচিবালয়ের চারপাশে নীরব এলাকা বাস্তবায়ন করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই পরিকল্পনা বাস্তাবায়ন করা হবে। সব নীরব এলাকা শব্দমুক্ত করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পুলিশ, সিটি কর্পোরেশন, বিআরটিএসহ বিভিন্ন সংস্থা একসঙ্গে কাজ করবে। প্রয়োজনে বিদ্যমান আইন পরিবর্তন করে নতুন আইন প্রবর্তন এবং কঠোরভাবে আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্টার ফর হিয়ারিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন’ ১৯৯৬ সাল থেকে এই দিনটিকে ‘শব্দ সচেতনতা দিবস’ হিসেবে পালন করছে। প্রতিবছরের এপ্রিল মাসের যে কোনও বুধবারকে তারা এই দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। চলতি বছর ২৮ এপ্রিল এই দিবসটি পালনের ঘোষণা দেয় তারা। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘প্রোটেক্ট ইয়োর হেয়ারিং, প্রোটেক্ট ইয়োর হেলথ’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত