নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া শহীদ মিনারে অবস্থানকে কেন্দ্র করে পুলিশের টহল টিমের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের জেরে জেলা গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজনকে আটক করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা-পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টায় এ ঘটনার পর গণসংহতি আন্দোলনের জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ থানায় গেলে রাত ১টার দিকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ উভয় পক্ষের ‘ভুল বোঝাবুঝি’ স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে তরিকুল সুজন ও স্থানীয় একজন গণমাধ্যমকর্মী শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে খাবার (হালিম) খাচ্ছিলেন। এ সময় দুজন পুলিশ সদস্য এসে দ্রুত তাদের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ত্যাগ করতে বলেন। জবাবে সুজন বলেন, ‘খাবার খাওয়া শেষ হলেই বেরিয়ে যাব।’ কিন্তু পুলিশ সদস্য সেই কথা না শুনে উল্টো অশোভন আচরণ করেন এবং হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে মারতে উদ্যত হন। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু হলে টানা হেঁচড়া করে তরিকুল সুজনকে গাড়িতে তুলে নেয় পুলিশ। এ সময় সঙ্গে থাকা গণমাধ্যমকর্মী ঘটনার চিত্র ধারণ করতে গেলে তাঁকেও হেনস্তা করা হয় এবং মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। সেই সঙ্গে ছবি তুললে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
এরপর রাত সাড়ে ১১টায় থানা হেফাজতে নেওয়ার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার রুমে আলোচনায় বসে গণসংহতির নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ সদস্যরা। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা কথাবার্তা শেষে বিষয়টি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ স্বীকার করেন পুলিশ সদস্যরা। পরে দুঃখপ্রকাশ করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া সুজনকে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী গণমাধ্যম কর্মীর কাছেও দুঃখপ্রকাশ করে পুলিশ সদস্যরা।
এ ঘটনার বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশের দুজন সদস্য আমাদের খাওয়া বন্ধ করে দ্রুত বেরিয়ে যেতে বলে। একই সাথে আমরাসহ উপস্থিত সবার সাথেই অশোভন আচরণ করছিলেন তাঁরা। আমি এর প্রতিবাদ জানালে পুলিশ সদস্যরা বাঁশের লাঠি নিয়ে মারমুখী আচরণ করে। আমি সেসময় বলি, রাষ্ট্রের নাগরিকের সাথে এই ধরনের আচরণ তাঁরা করতে পারে না। এই মন্তব্যের পরে তাঁরা আমাকে টানা হেঁচড়া করে গাড়িতে তোলে। পরে থানার ওসি বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। একই সাথে আমি পুলিশকে অনুরোধ করি, কোনো নাগরিকের সাথে যেন এই ধরনের আচরণ না করা হয়।’
একই সময়ে পুলিশের অসদাচরণের শিকার গণমাধ্যমকর্মী সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার শুরু থেকেই আমি একটু দূরে সরে যাই। যেহেতু তরিকুল সুজন একজন রাজনৈতিক নেতা। কিন্তু পুলিশ সদস্য যখন বাঁশ নিয়ে মারতে উদ্যত হয়, আমি তখন নিজের পরিচয় দিয়ে আপত্তি জানিয়ে বলি-শহীদ মিনারে অবস্থান করার কারণে তো আপনি কাউকে মারতে পারেন না। এরপর তারা আমার সাথে তর্ক না বাড়িয়ে তরিকুল সুজনকে গাড়িতে ওঠায়। ঘটনার চিত্র ধারণ করতে গেলে আমার মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়।’
এই বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি মূলত ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা আলাপ আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসা করেছি। আর সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় শহরে বাড়তি নজর রাখা হচ্ছিল। এর মধ্যেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। এই বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা করা হয়েছে।’
মুচলেকা রাখার প্রসঙ্গে ওসি বলেন, ‘থানায় থাকাকালীন ওই ব্যক্তি সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন, এই বিষয়টি নিশ্চিত রাখার জন্য মুচলেকা রাখা হয়েছে। এর বাইরে ভিন্ন কোনো কারণ নেই।’
নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া শহীদ মিনারে অবস্থানকে কেন্দ্র করে পুলিশের টহল টিমের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের জেরে জেলা গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজনকে আটক করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা-পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টায় এ ঘটনার পর গণসংহতি আন্দোলনের জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ থানায় গেলে রাত ১টার দিকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ উভয় পক্ষের ‘ভুল বোঝাবুঝি’ স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে তরিকুল সুজন ও স্থানীয় একজন গণমাধ্যমকর্মী শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে খাবার (হালিম) খাচ্ছিলেন। এ সময় দুজন পুলিশ সদস্য এসে দ্রুত তাদের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ত্যাগ করতে বলেন। জবাবে সুজন বলেন, ‘খাবার খাওয়া শেষ হলেই বেরিয়ে যাব।’ কিন্তু পুলিশ সদস্য সেই কথা না শুনে উল্টো অশোভন আচরণ করেন এবং হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে মারতে উদ্যত হন। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু হলে টানা হেঁচড়া করে তরিকুল সুজনকে গাড়িতে তুলে নেয় পুলিশ। এ সময় সঙ্গে থাকা গণমাধ্যমকর্মী ঘটনার চিত্র ধারণ করতে গেলে তাঁকেও হেনস্তা করা হয় এবং মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। সেই সঙ্গে ছবি তুললে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
এরপর রাত সাড়ে ১১টায় থানা হেফাজতে নেওয়ার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার রুমে আলোচনায় বসে গণসংহতির নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ সদস্যরা। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা কথাবার্তা শেষে বিষয়টি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ স্বীকার করেন পুলিশ সদস্যরা। পরে দুঃখপ্রকাশ করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া সুজনকে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী গণমাধ্যম কর্মীর কাছেও দুঃখপ্রকাশ করে পুলিশ সদস্যরা।
এ ঘটনার বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশের দুজন সদস্য আমাদের খাওয়া বন্ধ করে দ্রুত বেরিয়ে যেতে বলে। একই সাথে আমরাসহ উপস্থিত সবার সাথেই অশোভন আচরণ করছিলেন তাঁরা। আমি এর প্রতিবাদ জানালে পুলিশ সদস্যরা বাঁশের লাঠি নিয়ে মারমুখী আচরণ করে। আমি সেসময় বলি, রাষ্ট্রের নাগরিকের সাথে এই ধরনের আচরণ তাঁরা করতে পারে না। এই মন্তব্যের পরে তাঁরা আমাকে টানা হেঁচড়া করে গাড়িতে তোলে। পরে থানার ওসি বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। একই সাথে আমি পুলিশকে অনুরোধ করি, কোনো নাগরিকের সাথে যেন এই ধরনের আচরণ না করা হয়।’
একই সময়ে পুলিশের অসদাচরণের শিকার গণমাধ্যমকর্মী সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার শুরু থেকেই আমি একটু দূরে সরে যাই। যেহেতু তরিকুল সুজন একজন রাজনৈতিক নেতা। কিন্তু পুলিশ সদস্য যখন বাঁশ নিয়ে মারতে উদ্যত হয়, আমি তখন নিজের পরিচয় দিয়ে আপত্তি জানিয়ে বলি-শহীদ মিনারে অবস্থান করার কারণে তো আপনি কাউকে মারতে পারেন না। এরপর তারা আমার সাথে তর্ক না বাড়িয়ে তরিকুল সুজনকে গাড়িতে ওঠায়। ঘটনার চিত্র ধারণ করতে গেলে আমার মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়।’
এই বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি মূলত ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা আলাপ আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসা করেছি। আর সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় শহরে বাড়তি নজর রাখা হচ্ছিল। এর মধ্যেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। এই বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা করা হয়েছে।’
মুচলেকা রাখার প্রসঙ্গে ওসি বলেন, ‘থানায় থাকাকালীন ওই ব্যক্তি সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন, এই বিষয়টি নিশ্চিত রাখার জন্য মুচলেকা রাখা হয়েছে। এর বাইরে ভিন্ন কোনো কারণ নেই।’
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেছেন , দীর্ঘদিন সংখ্যালঘুদের ‘ইন্ডিয়ার দালাল’ ও ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ আখ্যা দিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আর জ্বালানো যাবে না।
১৩ মিনিট আগেবাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং চোরাচালান বন্ধে বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে টহল শুরু করেছে বিজিবি। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে চোরাচালানের জোন বলে খ্যাত সীমান্ত সড়কের ৪২ নম্বর পিলার থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছেন বিজিবির
৩৭ মিনিট আগেবাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
১ ঘণ্টা আগে