নিয়োগে জনপ্রতি ১০-১৫ লাখ টাকা ঘুষ নিতেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১: ৩১
Thumbnail image

অধস্তন আদালতে কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে জনপ্রতি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ নিতেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছে। সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও তাঁর অন্যতম সহযোগী সিটিজেনস ব্যাংকের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসের এ তথ্য জানান।

দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও তাঁর সহযোগী অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের দুর্নীত অনুসন্ধান করতে শিগগিরই অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে।

অভিযোগে বলা হয়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতি করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজ নামে কসবা, ত্রিশাল ও পূর্বাচলে ৬ দশমিক ৮০ একর জমি ক্রয় করেছেন। সিটিজেনস ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংকে ৪০ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার রয়েছে।

সঞ্চয়পত্র, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা এবং অন্যান্য বিনিয়োগ রয়েছে ২৩ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৪ টাকার। তাঁর নিজ নামে চারটি গাড়ি ও একটি মোটরসাইকেল রয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, দুদকের গোপনীয় অনুসন্ধানে আইনমন্ত্রীর প্রায় সব দুর্নীতির সঙ্গে তৌফিকা করিমের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমের নামে-বেনামে দেশে-বিদেশে অঢেল সম্পদ রয়েছে। তৌফিকা করিম সিটিজেন চার্টার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। এই সুবাদে তাঁর মাধ্যমে আনিসুল হক কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন। তাঁরা নিজ নামের পাশাপাশি তাঁদের আত্মীয়স্বজনদের নামেও সম্পদ গড়েছেন। এ ছাড়া দুজনেই বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত