গ্যাস না পেলেও নিয়মিত বিল দিয়ে যাচ্ছে তিন শতাধিক পরিবার

প্রতিবেদক, সাভার (ঢাকা) 
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯: ৫১

বাড়িতে তিতাস গ্যাসের সংযোগ আছে। কিন্তু লাকড়ি দিয়ে মাটির চুলায় বা সিলিন্ডার গ্যাসে রান্না করছেন সাভার পৌর এলাকার কাজিমুকমাপাড়ার বাসিন্দারা। কিন্তু প্রতি মাসে নিয়মিত গ্যাস বিল দিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। প্রায় এক বছর ধরে পৌর এলাকার কাজিমুকমা পাড়া ও এর আশপাশের তিন শতাধিক পরিবারের এই ভোগান্তি চলছে।

আজ মঙ্গলবার কাজিমুকমাপাড়া ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি বাড়িতে তিতাস গ্যাসের সংযোগ আছে। কিন্তু লাইনে গ্যাস সরবরাহ নেই। রান্নার কাজ চলছে মাটির চুলা অথবা সিলিন্ডার গ্যাসে। 

ভুক্তভোগী সুশীল দাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি তিতাস গ্যাস ব্যবহার করে আসছি। বছর খানেক আগেও কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু এক বছর ধরে আর গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে মাটির চুলা ব্যবহার করতে হচ্ছে। এরপরও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবে সেই ভয়ে নিয়মিত বিল পরিশোধ করে যাচ্ছি।

আরেক ভুক্তভোগী নুরুন্নাহার বেগম বলেন, নিয়মিত বিল দিচ্ছি কিন্তু গ্যাস পাচ্ছি না। এভাবে আমাদের আর কত গচ্চা দিতে হবে জানতে চাইলে তিতাস কর্তৃপক্ষ কোনো জবাব দেয় না।

গ্যাসের সরবরাহ চালু না করা পর্যন্ত বিল আদায় বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন ওই এলাকার ভুক্তভোগীরা। গৃহিণী সালমা আক্তার বলেন, গ্যাস না দিয়ে বিল নেবে এটা অন্যায়। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমাদের আইনি লড়াইয়ে নামা দরকার।

পৌর মেয়র আব্দুল গনির বাড়ি কাজিমুকমাপাড়ার পাশের এলাকা ব্যাংক কলোনিতে। তাঁর বাড়িতেও পর্যাপ্ত গ্যাসের সরবরাহ নেই। মেয়র বলেন, কয়েক মাস ধরে তাঁর বাড়িতে যে পরিমাণ গ্যাসের সরবরাহ থাকে তাতে রান্না করা যায় না। রান্নার জন্য তাঁদের সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করতে হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সাভারের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম বলেন, মূল লাইন থেকে কাজিমুকমাপাড়াসহ আশপাশেরর এলাকায় যে লাইন গেছে তাতে গ্যাস সরবরাহের অবস্থা নেই। ময়লা ও আবর্জনা জমে লাইন বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে ওই এলাকার গ্রাহকেরা গ্যাস ব্যবহার করতে পারছেন না।

আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম আরও বলেন, গ্রাহকদের সমস্যার কথা ভেবে ওই এলাকায় নতুন লাইন করার জন্য প্রধান কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে নতুন লাইন করে দেওয়া হবে। নতুন লাইন হলে সমস্যা থাকবে না। তবে কবে নাগাদ অনুমোদন মিলবে তা বলা মুশকিল।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত