নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার বাড্ডা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রণপ কুমার আজকের পত্রিকাকে জানান, দুই-তিন দিন আগে এই অভিযোগ পত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি-ডিবি) গুলশান জোনের পরিদর্শক রিপন উদ্দিন।
অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, ডা. সাবরিনা জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে দ্বিতীয় এনআইডি কার্ড তৈরি করেন। প্রাথমিক তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
২০২০ সালের ৩১ আগস্ট ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া বাদী হয়ে রাজধানীর বাড্ডা থানায় এ মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ্বৈত ভোটার হয়ে এবং একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আইন অনুযায়ী অপরাধ করেছেন সাবরিনা। তাঁর দুটি এনআইডির তথ্য তুলে ধরে বিবাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ও ১৫ ধারায় এ মামলা দায়ের করা হয়। ১৪ ধারায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান আছে। আর ১৫ ধারায় একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলেও একই শাস্তি হতে পারে। এ মামলায় ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর জামিন পান সাবরিনা। তবে অন্য মামলায় জামিন না পাওয়ায় তাঁকে কারাগারে থাকতে হয়।
অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক সাবরিনা শারমিন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) জন্ম তারিখ দেওয়া হয় ১৯৭৬ সাল। দ্বিতীয় এনআইডিতে জন্ম তারিখ দেওয়া হয় ১৯৮৩ সাল। ১৯৯১ সালে রাজধানীর ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। ২০০০ সালে স্যার সলিমুল্লাহ (মিটফোর্ড) মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৮৩ সালে জন্ম তারিখ ধরলে তিনি মাত্র আট বছর বয়সে এসএসসি ও ১৭ বছরে এমবিবিএস পাস করেন। ডা. সাবরিনা সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রথম এনআইডির তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় এনআইডি তৈরি করেন, যা আইনগত অপরাধ।
চার্জশিটে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ১৯৭৬ সালের ২ ডিসেম্বর ডা. সাবরিনার সঠিক জন্ম তারিখ। তিনি ২০১৬ সালে দ্বিতীয় এনআইডিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর জন্ম তারিখ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দেন।
সাবরিনা শারমিনের বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০১০ এর ১৪ ধারা অনুসারে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির লক্ষ্যে বিকৃত ও মিথ্যা তথ্য দেওয়া এবং ১৫ ধারা অনুসারে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার অপরাধ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বয়স কমিয়ে জালিয়াতির উদ্দেশে দ্বিতীয় টিআইএন নম্বর প্রাপ্ত হয়েছে এবং প্রতারণামূলকভাবে দ্বিতীয় এনআইডি খাঁটি দলিল হিসেবে তাঁর অফিসে এইচআরআইএস-এ ব্যবহার করে পিআরএলের সময় বৃদ্ধি করায় পেনাল কোডের ৪৬৫ / ৪৬৮ / ৪৭১ ধারায়ও অপরাধ করেছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন জাল করোনা সনদ দেওয়ার মামলায় সাবরিনা ও তাঁর স্বামী আরিফুলসহ ছয়জনকে ১১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে সাবরিনা।
জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার বাড্ডা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রণপ কুমার আজকের পত্রিকাকে জানান, দুই-তিন দিন আগে এই অভিযোগ পত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি-ডিবি) গুলশান জোনের পরিদর্শক রিপন উদ্দিন।
অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, ডা. সাবরিনা জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে দ্বিতীয় এনআইডি কার্ড তৈরি করেন। প্রাথমিক তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
২০২০ সালের ৩১ আগস্ট ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া বাদী হয়ে রাজধানীর বাড্ডা থানায় এ মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ্বৈত ভোটার হয়ে এবং একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আইন অনুযায়ী অপরাধ করেছেন সাবরিনা। তাঁর দুটি এনআইডির তথ্য তুলে ধরে বিবাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ও ১৫ ধারায় এ মামলা দায়ের করা হয়। ১৪ ধারায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান আছে। আর ১৫ ধারায় একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলেও একই শাস্তি হতে পারে। এ মামলায় ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর জামিন পান সাবরিনা। তবে অন্য মামলায় জামিন না পাওয়ায় তাঁকে কারাগারে থাকতে হয়।
অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক সাবরিনা শারমিন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) জন্ম তারিখ দেওয়া হয় ১৯৭৬ সাল। দ্বিতীয় এনআইডিতে জন্ম তারিখ দেওয়া হয় ১৯৮৩ সাল। ১৯৯১ সালে রাজধানীর ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। ২০০০ সালে স্যার সলিমুল্লাহ (মিটফোর্ড) মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৮৩ সালে জন্ম তারিখ ধরলে তিনি মাত্র আট বছর বয়সে এসএসসি ও ১৭ বছরে এমবিবিএস পাস করেন। ডা. সাবরিনা সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রথম এনআইডির তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় এনআইডি তৈরি করেন, যা আইনগত অপরাধ।
চার্জশিটে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ১৯৭৬ সালের ২ ডিসেম্বর ডা. সাবরিনার সঠিক জন্ম তারিখ। তিনি ২০১৬ সালে দ্বিতীয় এনআইডিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর জন্ম তারিখ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দেন।
সাবরিনা শারমিনের বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০১০ এর ১৪ ধারা অনুসারে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির লক্ষ্যে বিকৃত ও মিথ্যা তথ্য দেওয়া এবং ১৫ ধারা অনুসারে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার অপরাধ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বয়স কমিয়ে জালিয়াতির উদ্দেশে দ্বিতীয় টিআইএন নম্বর প্রাপ্ত হয়েছে এবং প্রতারণামূলকভাবে দ্বিতীয় এনআইডি খাঁটি দলিল হিসেবে তাঁর অফিসে এইচআরআইএস-এ ব্যবহার করে পিআরএলের সময় বৃদ্ধি করায় পেনাল কোডের ৪৬৫ / ৪৬৮ / ৪৭১ ধারায়ও অপরাধ করেছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন জাল করোনা সনদ দেওয়ার মামলায় সাবরিনা ও তাঁর স্বামী আরিফুলসহ ছয়জনকে ১১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে সাবরিনা।
লক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১২ মিনিট আগেবগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু ছালেককে হত্যায় মামলায় গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের ঘোড়াধাপ বন্দর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৬ মিনিট আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে ছাত্ররা কথা বলছেন, তবে এটি একটি কমিটির মাধ্যমে সম্ভব নয়। এর জন্য সাংবিধানিক বা সংসদের প্রতিনিধি প্রয়োজন। পাশাপাশি, সবার আগে প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন।
৪০ মিনিট আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দুই সাংবাদিককে জিম্মি করে বেধড়ক মারধরের পর মুক্তিপণ আদায় করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে গাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে সড়কের পাশে তাঁদের ফেলে রেখে যায়।
১ ঘণ্টা আগে