তৃতীয় দিনের মতো চলছে উদ্ধারকাজ, স্বপনের অপেক্ষায় স্বজনেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৩, ১১: ৫১
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৩, ১৪: ২৮

রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো চলছে উদ্ধারকাজ। নিখোঁজদের অপেক্ষায় এখনো ধ্বংসস্তূপের সামনে আসছেন স্বজনেরা। তেমনি মেহেদী হাসান স্বপনের খোঁজে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তাঁর স্বজনেরা।

আজ বৃহস্পতিবার ধ্বংসস্তূপের সামনে ছোট ভাই স্বপনের সন্ধানে নোয়াখালী থেকে আসেন তানভীর হাসান সোহাগ। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাঁকে নিয়ে বিধ্বস্ত ভবনের ভেতরে যান। স্বপন বাংলাদেশ স্যানিটারির ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন।

বিধ্বস্ত ভবনে ঢোকার আগে কথা হয় সোহাগের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দুই ভাই। স্বপন ছোট। সে বাংলাদেশ স্যানিটারিতে ১৫ বছর ধরে কাজ করত। বিস্ফোরণের পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে খুঁজেছি, কোথাও তাকে পাইনি।’

নিখোঁজ স্বপনের সন্তানেরা বাবার জন্য কান্না করছে জানিয়ে সোহাগ বলেন, ‘আমার ভাইয়ের দুইটা সন্তান। স্ত্রী-সন্তানদেের নিয়ে রামপুরার টিভি সেন্টার এলাকায় থাকত। গ্রামে বৃদ্ধ বাবা-মা আহাজারি করছেন। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দোকানে খুঁজেছেন, কিন্তু পাননি। আমরা যতটা জেনেছি, ঘটনার সময় আমার ভাই দোকানে ছিল। তাই ফায়ার সার্ভিসকে অনুরোধ করেছি আশপাশে তল্লাশি চালাতে।’

স্বপনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা এলাকায়। তাঁর বাবার নাম গোলাম রাব্বানী।

সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ২১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন—কুমিল্লার মো. সুমন (২১), বরিশালের ইসহাক মৃধা (৩৫), যাত্রাবাড়ীর মুনসুর হোসেন (৪০), নুরুল ইসলাম ভুঁইয়া ও মো. ইদ্রিস মীর (৬০), পুরান ঢাকার মো. ইসমাইল (৪২), ব্যবসায়ী মোমিন উদ্দিন সুমন ও সম্রাট, চাঁদপুরের আল আমিন (২৩), কেরানীগঞ্জের রাহাত (১৮), চকবাজারের মমিনুল ইসলাম (৩৮) ও নদী বেগম (৩৬), মুন্সিগঞ্জের মাঈন উদ্দিন (৫০), আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), হাফেজ মো. মুসা, পুরান ঢাকার বংশালের নাজমুল হোসেন (২৫), আকৃতি বেগম (৭০), হৃদয় ও আব্দুল হাসিম সিয়াম (৩৫), মানিকগঞ্জের ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫) এবং নোয়াখালীর রবিন হোসেন শান্ত। এ দুর্ঘটনায় আহত ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত