হয় জিতব, না হয় শিখব...  

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২২, ১৫: ২৯
আপডেট : ০৩ জুন ২০২২, ১৬: ১৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা পার হয়ে শ্যাডোর (কলাভবনের পাশে) দিকে যাওয়ার পথেই চোখে পড়বে কিছু প্ল্যাকার্ড। সেখানে লেখা রয়েছে—জিতব, নয় শিখব; ভাঙা রংপেনসিল দিয়েও রং করা যায়; ক্রাইসিসই সাকসেসের জ্বালানি; একটা খারাপ দিন যেতে পারে, জীবনটা নয়।  আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে এমন আয়োজন বলে জানা যায়। 

শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড দেখছেন, অভিভাবকেরা দেখছেন; পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করতে আসা বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ দেখছেন এই প্ল্যাকার্ড। জানা যায়, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অপটিমিস্টিক সোসাইটির আয়োজনে এসব প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়েছে। 

পজিটিভিটি, হ্যাপিনেস ও মেন্টাল হেলথ—এই তিন বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করা সংগঠনের নাম হলো ঢাকা ইউনিভার্সিটি অপটিমিস্টিক সোসাইটি। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মুখলেসুর রহমান মাহিন হলেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা পার হয়ে শ্যাডো (কলাভবনের পাশে) দিকে যাওয়ার পথে দেখা যায় এমন প্ল্যাকার্ড। ছবি: আজকের পত্রিকামাহিন আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘আমরা পজিটিভিটি, হ্যাপিনেস ও মেন্টাল হেল্থ রিলেটেড বিভিন্ন ক্যাম্পেইন ও সেমিনারের আয়োজন করি। আমরা বিভিন্ন দিবসেও হ্যাপিনেস ক্যাম্পেইন করি যেমন—একুশে ফেব্রুয়ারি, বইমেলা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সময় হ্যাপিনেস রিলেটেড প্ল্যাকার্ড তৈরি করে আমরা ক্যাম্পেইন করে থাকি।’ 

মুখলেসুর রহমান মাহিন আরও বলেন, ‘আমরা চাইছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে সুস্থ থাকুক। সে ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা আছে সামাজিক সংগঠনের যার যার জায়গা থেকে সবারই। সামাজিক সংগঠন হিসেবে মানসিক স্বাস্থ্যসচেতন করে তুলতেই আমাদের এই অগ্রযাত্রা। আমাদের এখানকার প্ল্যাকার্ডগুলো এমনভাবে বানানো হয়, যেন সেটা মানুষের হৃদয়ে দীর্ঘস্থায়ীভাবে গেঁথে যায়।’ 

‘নতুন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দনবার্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ও পড়ালেখাকেন্দ্রিক চিন্তা-চেতনা পরিবর্তনের মাধ্যমে যেন খুশি থাকতে পারি, সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আর এখানে অভিভাবকেরাও আসেন। অভিভাবকেদের জন্য আমাদের কিছু মেসেজ থাকে। সার্বিকভাবে সুস্থ ও মানসিকভাবে সুখী থাকার যে বার্তা, সেটা আমরা দিতে চাই’ বলে উল্লেখ করেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মাহিন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত