ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ ‘কেটে নিয়ে স্ত্রী’ পলাতক

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮: ৩৩

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ দা দিয়ে কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গৃহবধূ জাকিয়া বেগমের (২৫) বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত গৃহবধূ। এদিকে কেটে নেওয়া পুরুষাঙ্গটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এটি দ্রুত জোড়া লাগাতে না পারলে ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। 

আজ বুধবার সকালে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রাউৎবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগীর নাম ফিরোজ মিয়া (২৮)। তিনি ওই গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে ও পেশায় একজন এক্সকেভেটর (ভেকু) চালক। জাকিয়া বেগম জিগাতলা গ্রামের মো. জামিলের মেয়ে। 

স্থানীয়রা জানান, বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। এ নিয়ে দফায় দফায় গ্রাম্য সালিস হয়। তাঁদের ঘরে পাঁচ বছরের একটি সন্তানও রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফিরোজ বাড়ি ফিরে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। আজ সকালে জাকিয়া বেগম তাঁর স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে নিয়ে যান। 

লজ্জার কারণে তৎক্ষণাৎ বিষয়টি গোপন রাখলেও পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আশপাশের মানুষ জেনে যায়। এ সময় পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী চিকিৎসক কর্মকর্তা কাজল তালুকদার বলেন, লিঙ্গের পুরো অংশ কেটে ফেলায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে দ্রুত পুরুষাঙ্গটি জোড়া লাগাতে না পারলে ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। 

ভুক্তভোগী ফিরোজের মা ফরিদা বেগম বলেন, ‘সকালে ফিরোজকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে আমি নাতিকে নিয়ে ঘুরতে বের হই। সাড়ে ৯টার দিকে বউ মা আমাকে কল দিয়ে বলে, ‘‘আপনি কোথায়? তাড়াতাড়ি বাড়িতে যান। আপনার ছেলে যেন কেমন করছে।’ ’ এ কথা বলেই সে ফোন কেটে দিয়ে পালিয়ে যায়। আমার ছেলের সঙ্গে যা করেছে এর উপযুক্ত বিচার চাই।’ 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদার। 

ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদার বলেন, ‘বিষয়টি জেনে খোঁজ নিই। পরে জানতে পারি ফিরোজকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্থানীয়রা। তাঁদের (স্বামী-স্ত্রী) মধ্যে সাংসারিক ঝামেলা চলছিল। এ নিয়ে সম্প্রতি একাধিকবার সালিস করা হয়েছে।’ 

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ বলেন, ঘটনাটি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত