জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশনের নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপনের জন্য তিন দিন বিদ্যুৎবিহীন থাকবে পুরো ক্যাম্পাস। এতে করে বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার বিকেলে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকার বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশনের নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপনের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার অর্থাৎ ২১ জুলাই হতে ২৩ জুলাই সর্বমোট তিন দিন ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। 

প্রধান প্রকৌশলী জানান, সাব স্টেশনের কাজের কারণে আগামীকাল থেকে তিন দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ থাকবে না। বন্ধের দিনে কাজ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দুই দিনে এ কাজ শেষ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। 

বিদ্যুৎ বন্ধ থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে জেনারেটরের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। বিভিন্ন ল্যাব কক্ষ, ইন্টারনেট সার্ভার রুমসহ কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে। ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকলেও হলে চালু থাকবে। তবে রাতে পুরো ক্যাম্পাসই অন্ধকার আচ্ছন্ন থাকবে। 

রাতে যদি একদমই বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকে তাহলে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল। 

এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করে পিছিয়ে হয়েছে। তবে কিছু কিছু বিভাগ জোর পূর্বক পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করছে। বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, ক্লাসরুমের দরজা জানালা সব খুলে পরীক্ষা নেওয়া হবে ৷ তবে বর্তমানে অসহনীয় তাপমাত্রায় ভোগান্তিতে পড়বেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে আরও কিছু বিভাগে পরীক্ষা থাকায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার প্রকৌশল দপ্তরে আবেদন করছে। তবে তা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন প্রকৌশল দপ্তর। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার কোনো নোটিশ এখনো দেওয়া হয়নি। 

এরই মধ্যে সাব-স্টেশনের যন্ত্রপাতি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। 

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাত্র সাব-স্টেশন পুরো ক্যাম্পাসের বিদ্যুৎ সরবরাহের লোড নিতে পারে না। এ জন্য নতুন একাডেমিক ভবনসহ বিভিন্ন ভবনের জন্য সাব-স্টেশনটি ২০০০ কেভি ধারণক্ষমতার করা হচ্ছে।