গাজীপুর প্রতিনিধি
কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হয়েছে আয়তনে সবচেয়ে বড় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণ। এটি ছিল শিল্প অধ্যুষিত সিটির তৃতীয় ভোট।
দিনভর বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনে পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল বেশি।
ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সিটি নির্বাচনে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এ জন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এইচ এম কামরুল ইসলাম বলেন, ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৬৩ জন ভোটারের জন্য ৪৮০টি কেন্দ্রে ৩ হাজার ৪৯৭টি কক্ষ স্থাপন করা হয়। এসব কেন্দ্রে ব্যবহার করার জন্য ৫ হাজার ২৪৬টি ইভিএম মেশিন দেওয়া হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে একজন করে ৪৮০ জন ট্রাবল শুটার, প্রতি দুই কেন্দ্রে একজন করে মোট ২৪০ জন (ভ্রাম্যমাণ) টেকনিক্যাল এক্সপার্ট, ১৪ জন সহকারী প্রোগ্রামার এবং ৪ জন প্রোগ্রামার দায়িত্ব পালন করেন।
কামরুল ইসলাম আরও বলেন, কোনো ইভিএম মেশিনে সমস্যা দেখা দিলে তা দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা রাখা হয়। প্রতিটি কক্ষে একটি করে সিসি ক্যামেরাও ছিল। এ ছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স পুলিশের ১৯টি ও ভ্রাম্যমাণ হিসেবে ৫৭টি দল কাজ করেছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে নিরাপত্তা বাহিনীর ১৭ জন সদস্য এবং সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন।
নারী কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) সতেজ বড়ুয়া বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশৃঙ্খলা এড়াতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন চলাকালে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সার্বক্ষণিক তৎপর ছিলেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও জানান, নগরীর ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ হয়। গুরুত্বপূর্ণ ৩৫১টি কেন্দ্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীরা হলেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান, টেবিল ঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা), লাঙল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র মেয়র পদে ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহ্নূর ইসলাম রনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ ভালো। নির্বাচনী মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। তাঁদের পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও দায়িত্ব পালন করছেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৪৬ জন এবং সংরক্ষিত আসনের ১৯টি ওয়ার্ডে ৭৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ৪৮০টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে এবং ৩ হাজার ৪৯৭টি ভোট কক্ষ রয়েছে। মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২; নারী ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১৮ জন। নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ১০ হাজার ৯৭০ জন। প্রিসাইডিং অফিসার ৪৮০, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৩ হাজার ৪৯৭ এবং পোলিং অফিসার ৬ হাজার ৯৯৪ জন দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন ২০১৩ সালের ৬ জুলাই এবং ২০১৮ সালের ২৬ জুন দ্বিতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
গাজীপুর সিটি নির্বাচন সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হয়েছে আয়তনে সবচেয়ে বড় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণ। এটি ছিল শিল্প অধ্যুষিত সিটির তৃতীয় ভোট।
দিনভর বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনে পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল বেশি।
ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সিটি নির্বাচনে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এ জন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এইচ এম কামরুল ইসলাম বলেন, ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৬৩ জন ভোটারের জন্য ৪৮০টি কেন্দ্রে ৩ হাজার ৪৯৭টি কক্ষ স্থাপন করা হয়। এসব কেন্দ্রে ব্যবহার করার জন্য ৫ হাজার ২৪৬টি ইভিএম মেশিন দেওয়া হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে একজন করে ৪৮০ জন ট্রাবল শুটার, প্রতি দুই কেন্দ্রে একজন করে মোট ২৪০ জন (ভ্রাম্যমাণ) টেকনিক্যাল এক্সপার্ট, ১৪ জন সহকারী প্রোগ্রামার এবং ৪ জন প্রোগ্রামার দায়িত্ব পালন করেন।
কামরুল ইসলাম আরও বলেন, কোনো ইভিএম মেশিনে সমস্যা দেখা দিলে তা দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা রাখা হয়। প্রতিটি কক্ষে একটি করে সিসি ক্যামেরাও ছিল। এ ছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স পুলিশের ১৯টি ও ভ্রাম্যমাণ হিসেবে ৫৭টি দল কাজ করেছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে নিরাপত্তা বাহিনীর ১৭ জন সদস্য এবং সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন।
নারী কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) সতেজ বড়ুয়া বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশৃঙ্খলা এড়াতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন চলাকালে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সার্বক্ষণিক তৎপর ছিলেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও জানান, নগরীর ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ হয়। গুরুত্বপূর্ণ ৩৫১টি কেন্দ্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীরা হলেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান, টেবিল ঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা), লাঙল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র মেয়র পদে ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহ্নূর ইসলাম রনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ ভালো। নির্বাচনী মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। তাঁদের পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও দায়িত্ব পালন করছেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৪৬ জন এবং সংরক্ষিত আসনের ১৯টি ওয়ার্ডে ৭৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ৪৮০টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে এবং ৩ হাজার ৪৯৭টি ভোট কক্ষ রয়েছে। মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২; নারী ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১৮ জন। নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ১০ হাজার ৯৭০ জন। প্রিসাইডিং অফিসার ৪৮০, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৩ হাজার ৪৯৭ এবং পোলিং অফিসার ৬ হাজার ৯৯৪ জন দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন ২০১৩ সালের ৬ জুলাই এবং ২০১৮ সালের ২৬ জুন দ্বিতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
গাজীপুর সিটি নির্বাচন সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
২৫ মিনিট আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
২৯ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
১ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগে