নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের তিন মালিকসহ সাতজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার নৌ-আদালতের আদালতের বিচারক (বিশেষ মহানগর হাকিম) জয়নাব বেগম জামিন নামঞ্জুর করেন।
যাদের জামিন নামঞ্জুর হয়েছে তারা হলেন লঞ্চের মালিক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল আরাফ অ্যান্ড কোম্পানির তিন মালিক মো. হামজালাল শেখ, মো. শামিম আহম্মেদ ও মো. রাসেল আহাম্মেদ। এ ছাড়া লঞ্চের ইনচার্জ (মাস্টার) মো. রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ (চালক) মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমান ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ওই লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে করা মামলায় তাঁদেরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাঁদের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বেল্লাল হোসাইন তাঁদের জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
নৌ-আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বেল্লাল হোসাইন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জামিন আবেদনের ওপর শুনানির সময় আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন মালিকদের নির্দোষ দাবি করেন। তিনি বলেন, ওই দুর্ঘটনার সময় তারা নৌযানে ছিলেন না। তারা এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী নন। নৌ-আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বেল্লাল হোসাইন জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, যে সম্পদ থেকে আমরা অধিকার, সুযোগ-সুবিধা ভোগ করি, তার দায়-দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই। লঞ্চটি যথাযথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা না করার দায় মালিক এড়াতে পারেন না।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি এই আদালতে লঞ্চের ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। তারও আগে গত ২৮ ডিসেম্বর একই আদালতে লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার ও দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমান আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মালিকদের বিভিন্ন তারিখে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৬ ডিসেম্বর আদালতে নৌ-অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান স্পেশাল মেরিন আইনের ৫৬ / ৬৬ ও ৭০ ধারায় অভিযোগ এনে আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৩ ডিসেম্বর আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদরঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে এমভি অভিযান-১০ বরগুনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। লঞ্চটি ঝালকাঠির নলছিটি থানা এলাকা অতিক্রম করার পর রাত আনুমানিক ৩টায় ইঞ্জিন রুমে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর লঞ্চঘাটের অনেক আগেই জাহাজে থাকা যাত্রীদের অনেকে নদীতে লাফ দেন। আগুনে কেবিনসহ সবই পুড়ে যায়।
ইনচার্জ মাস্টার, ইনচার্জ ড্রাইভার ও সেকেন্ড ড্রাইভার আগুন নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রায় অর্ধশত যাত্রী পুড়ে মারা যান। এ ছাড়া আনুমানিক ১৫০ জন যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নৌযানটিতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, লাইফ বয়া, বালির বাক্স ও বালতি ছিল না। ইঞ্জিনরুমের বাইরে অননুমোদিতভাবে ডিজেল বোঝাই অনেকগুলো ড্রাম ও রান্নায় ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার ছিল বলে মামলায় অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের তিন মালিকসহ সাতজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার নৌ-আদালতের আদালতের বিচারক (বিশেষ মহানগর হাকিম) জয়নাব বেগম জামিন নামঞ্জুর করেন।
যাদের জামিন নামঞ্জুর হয়েছে তারা হলেন লঞ্চের মালিক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল আরাফ অ্যান্ড কোম্পানির তিন মালিক মো. হামজালাল শেখ, মো. শামিম আহম্মেদ ও মো. রাসেল আহাম্মেদ। এ ছাড়া লঞ্চের ইনচার্জ (মাস্টার) মো. রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ (চালক) মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমান ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ওই লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে করা মামলায় তাঁদেরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাঁদের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বেল্লাল হোসাইন তাঁদের জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
নৌ-আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বেল্লাল হোসাইন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জামিন আবেদনের ওপর শুনানির সময় আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন মালিকদের নির্দোষ দাবি করেন। তিনি বলেন, ওই দুর্ঘটনার সময় তারা নৌযানে ছিলেন না। তারা এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী নন। নৌ-আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বেল্লাল হোসাইন জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, যে সম্পদ থেকে আমরা অধিকার, সুযোগ-সুবিধা ভোগ করি, তার দায়-দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই। লঞ্চটি যথাযথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা না করার দায় মালিক এড়াতে পারেন না।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি এই আদালতে লঞ্চের ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। তারও আগে গত ২৮ ডিসেম্বর একই আদালতে লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার ও দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমান আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মালিকদের বিভিন্ন তারিখে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৬ ডিসেম্বর আদালতে নৌ-অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান স্পেশাল মেরিন আইনের ৫৬ / ৬৬ ও ৭০ ধারায় অভিযোগ এনে আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৩ ডিসেম্বর আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদরঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে এমভি অভিযান-১০ বরগুনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। লঞ্চটি ঝালকাঠির নলছিটি থানা এলাকা অতিক্রম করার পর রাত আনুমানিক ৩টায় ইঞ্জিন রুমে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর লঞ্চঘাটের অনেক আগেই জাহাজে থাকা যাত্রীদের অনেকে নদীতে লাফ দেন। আগুনে কেবিনসহ সবই পুড়ে যায়।
ইনচার্জ মাস্টার, ইনচার্জ ড্রাইভার ও সেকেন্ড ড্রাইভার আগুন নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রায় অর্ধশত যাত্রী পুড়ে মারা যান। এ ছাড়া আনুমানিক ১৫০ জন যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নৌযানটিতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, লাইফ বয়া, বালির বাক্স ও বালতি ছিল না। ইঞ্জিনরুমের বাইরে অননুমোদিতভাবে ডিজেল বোঝাই অনেকগুলো ড্রাম ও রান্নায় ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার ছিল বলে মামলায় অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদরের নতুন বাড়ি এলাকায় দুই ট্রাকের সংঘর্ষে আল আমিন (২৫) নামের এক ট্রাকচালকের নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও ৩ জন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাজেদুল লস্কর (৩২) নামের এক ব্যক্তির লাঠির আঘাতে তার চাচাতো ভাই আপেল লস্করের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি লস্কর পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সাজেদুল লস্করকে আটক করেছে পুলিশ। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আউয়াল কবির বিষয়টি নিশ
৪১ মিনিট আগেময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখাইজুড়ি নদী একসময় প্রবহমান ছিল। এতে এলাকার মানুষ গোসল দিত, মাছ ধরত ও হাঁস পালন করত। সেই নদী দখল করে বাঁশ ও জালের বেড়া দিয়ে ছোট ছোট ঘের তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ এলাকার একটি রেস্তোরাঁর কর্মী তোফাজ্জল হোসেন। অর্থের অভাবে লেখাপড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাঁর। ১৩ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন রেস্তোরাঁয়।
১ ঘণ্টা আগে