খালেদা জিয়া অসুস্থ, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ মে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৩, ১৪: ১৩
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৩, ১৪: ৫৮

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়েছে। আজ সোমবার এ শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির না হয়ে সময়ের আবেদন করায় শুনানির তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়।

ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত বিশেষ আদালতে মামলাটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করার পর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২-এর বিচারক মো. আকতারুজ্জামান পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ২৯ মে ধার্য করেন।

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই বছর ৫ অক্টোবর খালেদা জিয়াসহ ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম এবং খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।

এ ছাড়া সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক, সাবেক মন্ত্রী এম কে আনোয়ার ও এম শামসুল ইসলামের বিরুদ্ধেও অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এদের মধ্যে নিজামী ও মুজাহিদকে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি দেওয়া হয় ও অন্য পাঁচজন মারা গেছেন। এখন খালেদাসহ আটজনের বিরুদ্ধে বিচারকাজ চলছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত