মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি ও ঢামেক প্রতিবেদক
মুন্সিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার মুক্তারপুরের পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিক, বিএনপি নেতা-কর্মীসহ অন্তত ৮০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ করেই ওরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশ প্রথমে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। পরে তারা মারমুখী হওয়ায় পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫-৩০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজ উল ইসলাম ও আমি নিজেও আহত হয়েছি। আমাদের ওসি অপারেশনসহ বেশির ভাগ উপপরিদর্শকেরা আহত হয়েছেন।’ পুলিশের ওপর বিএনপির এই হামলাকে পরিকল্পিত বলে দাবি করেন তিনি।
মুন্সিগঞ্জ যুবদলের সদস্যসচিব মাসুদ রানা বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা হলেন-যুবদলের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্রদল কর্মী তারেক ও বিএনপি কর্মী শাওন। তাদের একজনের নাকে ও দুজনের মাথায় গুলি লেগেছে। বাকি আহতরা বাসায় চিকিৎসা নিয়েছেন।’
সংঘর্ষের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের লোকজন আসছিল। হঠাৎ করেই পুলিশ গুলি শুরু করে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ইয়াসিনা ফেরদৌস বলেন, ‘পুলিশ কত রাউন্ড রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০-১৫ জনকে আটক করেছি। তবে একাধিক দল অভিযান পরিচালনা করায় সঠিক সংখ্যাটি জানাতে পারছি না। পরে বিস্তারিত জানানো হবে। আহত পুলিশ সদস্যদের সকলেই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ছাড়া পেয়েছে। কেউ হাসপাতালে ভর্তি নেই।’
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেলে অফিসার (আরএমও) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা মোট ৩৭ জন আহতকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দিয়েছি। যার মধ্যে তিনজন নারী পুলিশ সদস্যসহ ৩২ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। সবাইকে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে। কেউ ভর্তি নেই।’
এদিকে ঢামেক সূত্রে জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষে আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতরা হলেন-জাহাঙ্গীর (৪০), তারেক (২০) ও শাওন (২০)। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও শাওনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, জাহাঙ্গীরকে নাক-কান-গলা বিভাগে আর বাকি দুজনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জাহাঙ্গীর ও শাওনের অবস্থা গুরুতর।
পথচারী আলমগীর হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, বিকেলে মুক্তারপুর ব্রিজের পাশে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় জাহাঙ্গীরকে। তার মুখমণ্ডলে গুরুতর জখম হয়েছে। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
আহত তারেক জানান, তিনি ছাত্রদল কর্মী। বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে তিনি গিয়েছিলেন সেখানে। পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এর একপর্যায়ে পুলিশ সদস্য আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তার কপালে আঘাত করে।
আহত শাওনের বন্ধু নাহিদ খান জানান, শাওন মিশুক গাড়ি চালক। যাত্রী নিয়ে সমাবেশে গিয়েছিলেন। তখন আহত হয়েছেন। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার মুরমা গ্রামে। বাবার নাম মো. সোহরাব আলী। শাওনের মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপি ও মিরকাদিম পৌরসভা বিএনপি আজ বুধবার বিকেলে স্থানীয় একটি কোল্ড স্টোরেজে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এ সময় সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে।
মুন্সিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার মুক্তারপুরের পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিক, বিএনপি নেতা-কর্মীসহ অন্তত ৮০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ করেই ওরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশ প্রথমে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। পরে তারা মারমুখী হওয়ায় পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫-৩০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজ উল ইসলাম ও আমি নিজেও আহত হয়েছি। আমাদের ওসি অপারেশনসহ বেশির ভাগ উপপরিদর্শকেরা আহত হয়েছেন।’ পুলিশের ওপর বিএনপির এই হামলাকে পরিকল্পিত বলে দাবি করেন তিনি।
মুন্সিগঞ্জ যুবদলের সদস্যসচিব মাসুদ রানা বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা হলেন-যুবদলের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্রদল কর্মী তারেক ও বিএনপি কর্মী শাওন। তাদের একজনের নাকে ও দুজনের মাথায় গুলি লেগেছে। বাকি আহতরা বাসায় চিকিৎসা নিয়েছেন।’
সংঘর্ষের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের লোকজন আসছিল। হঠাৎ করেই পুলিশ গুলি শুরু করে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ইয়াসিনা ফেরদৌস বলেন, ‘পুলিশ কত রাউন্ড রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০-১৫ জনকে আটক করেছি। তবে একাধিক দল অভিযান পরিচালনা করায় সঠিক সংখ্যাটি জানাতে পারছি না। পরে বিস্তারিত জানানো হবে। আহত পুলিশ সদস্যদের সকলেই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ছাড়া পেয়েছে। কেউ হাসপাতালে ভর্তি নেই।’
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেলে অফিসার (আরএমও) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা মোট ৩৭ জন আহতকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দিয়েছি। যার মধ্যে তিনজন নারী পুলিশ সদস্যসহ ৩২ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। সবাইকে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে। কেউ ভর্তি নেই।’
এদিকে ঢামেক সূত্রে জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষে আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতরা হলেন-জাহাঙ্গীর (৪০), তারেক (২০) ও শাওন (২০)। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও শাওনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, জাহাঙ্গীরকে নাক-কান-গলা বিভাগে আর বাকি দুজনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জাহাঙ্গীর ও শাওনের অবস্থা গুরুতর।
পথচারী আলমগীর হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, বিকেলে মুক্তারপুর ব্রিজের পাশে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় জাহাঙ্গীরকে। তার মুখমণ্ডলে গুরুতর জখম হয়েছে। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
আহত তারেক জানান, তিনি ছাত্রদল কর্মী। বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে তিনি গিয়েছিলেন সেখানে। পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এর একপর্যায়ে পুলিশ সদস্য আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তার কপালে আঘাত করে।
আহত শাওনের বন্ধু নাহিদ খান জানান, শাওন মিশুক গাড়ি চালক। যাত্রী নিয়ে সমাবেশে গিয়েছিলেন। তখন আহত হয়েছেন। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার মুরমা গ্রামে। বাবার নাম মো. সোহরাব আলী। শাওনের মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপি ও মিরকাদিম পৌরসভা বিএনপি আজ বুধবার বিকেলে স্থানীয় একটি কোল্ড স্টোরেজে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এ সময় সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে।
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
২ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৩ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে