সাইফুল মাসুম, ঢাকা
হাতের ইশারায় এক পাশে গাড়ি থামাচ্ছেন তো অন্য পাশে হাতের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে গাড়ি। নির্দেশনা না মেনে শাঁই করে দ্রুতগতিতে মোড় পার হয়ে যাচ্ছে মোটরসাইকেল আরোহী। কোনো কোনো মোটরসাইকেল আরোহীর মাথায় হেলমেট পর্যন্ত নেই। দু-একটা রিকশা প্রধান সড়কে চলতে দেখা গেছে। মোড়েই যাত্রী ওঠা-নামা করাচ্ছে গণপরিবহনগুলো। রাজধানীর ব্যস্ততম কারওয়ান বাজার মোড় নিয়ন্ত্রণে এভাবে হিমশিম খাচ্ছিলেন কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশের সদস্য।
সেখানে কথা হয় দায়িত্বরত পুলিশ সার্জেন্ট মো. উজ্জ্বল হোসেনের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে। এখন বেয়াদবের সংখ্যা বেড়ে গেছে। কেউ কথা শুনতে চায় না।’
বাংলামোটর এলাকায় কথা হয় মোটরসাইকেলচালক শাহীন আলমের সঙ্গে। তিনি ২০১৭ সাল থেকে ঢাকায় রাইড শেয়ারের সঙ্গে যুক্ত। শাহীন বলেন, ‘এখনো ঢাকা সিটিতে ট্রাফিক কন্ট্রোলিং (নিয়ন্ত্রণ) ভালোভাবে আসেনি। লোকাল বাস বেপরোয়া গাড়ি চালায়। মেইন রোডে অটোরিকশা উঠে যায়।’
শুধু বাংলামোটর কিংবা কারওয়ান বাজার মোড় নয়, ঢাকার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সড়কেও একই অবস্থা। অথচ ঢাকার যানজট নিরসনে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার নিয়োজিত বুয়েটের দুই পরামর্শক অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন ও ড. হাদিউজ্জামান ছয়টি পরামর্শ দিয়েছিলেন সরকারকে। এই ছয় পরামর্শের একটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তৈরি আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল বসানো। এই সুপারিশ বাস্তবায়নে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কাজ করছে বুয়েট। তবে বাকি সুপারিশগুলো রয়ে গেছে কাগজে-কলমে।
বুয়েটের এই দুই বিশেষজ্ঞের দেওয়া ছয় সুপারিশের অন্যগুলো হচ্ছে, মূল সড়ক থেকে অবৈধ রিকশা (ব্যাটারি ও প্যাডেলচালিত) সরানো; ছোট যেসব মোড় আছে, সেখানে সিগন্যালের সময় সর্বোচ্চ দুই মিনিট আর বড় মোড়ে সিগন্যাল সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিটের বেশি স্থায়ী না করা; ছোট মোড়ে ৫০ মিটার ও বড় মোড়ে ১০০ মিটারের মধ্যে গাড়ি পার্কিং, যাত্রী ওঠানো-নামানো ও থামানো বন্ধ করা। এ ছাড়া ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এবং দুই সিটি করপোরেশন থেকে নির্ধারিত বাস স্টপেজ ছাড়া অন্য কোথাও যাত্রী ওঠানো-নামানো বন্ধ করা, এসব স্টপেজে একটার পাশে আরেকটা বাস দাঁড়াতে না দেওয়া এবং পুলিশের সাধারণ কার্যক্রম ৫ আগস্টের আগে যেমন ছিল, সেই অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কথা বলা হয় সুপারিশে। বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আরও বলা হয়, ঢাকা শহরে ট্রাফিক পুলিশের যে আটটি বিভাগ রয়েছে, সেগুলোর প্রতিটিতে একটি মোবাইল টিম কাজ করবে। এই টিমে প্রশিক্ষিত একজন ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ার, একজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা, ডিটিসিএ ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা থাকবেন। তাঁদের কাজ হবে ঘুরে ঘুরে সমস্যা দেখা এবং সেগুলোর সমাধানে কাজ করা।
সুপারিশগুলো দেওয়ার সময় দুই মাসের মধ্যে পাইলট প্রকল্প চালু এবং এক মাসের মধ্যে ছয় সুপারিশ বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও গত চার মাসেও তা কার্যকর হয়নি। জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে ট্রাফিক পুলিশ তৎপর রয়েছে। তবে কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। যাত্রীরা মোড় থেকে বাসে ওঠা-নামা করছে। পথচারীরা যানবাহন থামিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে।’
জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বলেন, প্রধান সড়কে অবৈধ রিকশা সামান্য কমলেও অন্য সুপারিশগুলোর দৃশ্যমান অগ্রগতি তেমন নেই। সমস্যাগুলো জটিল পর্যায়ে চলে গেছে। চারা পর্যায়ে সমাধান না করায় সমস্যা এখন বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। সমস্যা নিরসনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অদৃশ্য শক্তি। দায়িত্বশীল সংস্থাগুলো চেষ্টা করছে, কিন্তু বলার মতো পরিবর্তন হয়নি।
আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল বসানোর প্রকল্পেও ধীরগতি
বুয়েটের দুই পরামর্শক কারওয়ান বাজার, বাংলামোটরসহ রাজধানীর চারটি মোড়ে পাইলট প্রকল্পের আওতায় বুয়েটের তৈরি আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল সচল করার কথা বলেছিলেন। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তখন জানিয়েছিলেন, প্রকল্পটি পরীক্ষামূলকভাবে হাইকোর্ট থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত ২২টি মোড়ে চালু হবে। প্রথম ধাপে চারটি মোড়ে কাজ শেষ হলে পরবর্তী তিন মাসে বাকি ১৮টি মোড়ে সিগন্যাল স্থাপন করা হবে। চারটি মোড় হচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অংশ ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনের মোড় ও বাংলামোটর মোড় এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অংশ কারওয়ান বাজার মোড় ও ফার্মগেট মোড়। প্রকল্পটি পরিচালনায় বুয়েট থেকে প্রশিক্ষিত একজন অপারেটর থাকবেন, যিনি স্থানীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন। প্রকল্প শেষে ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থাপনা ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। প্রকল্পে নিজ নিজ এলাকায় অর্থায়ন করবে দুই সিটি করপোরেশন।
আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যালের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এখনো তারা আমাদের টাকা দেয়নি। আমাদের কথা সিম্পল, যেদিন ফান্ডিং হবে, তার ছয় মাসের মধ্যে এটা শেষ দেখতে চাই। দুই মাসের মধ্যে চারটি মোড়। বাকি মোড়ের কাজ পরবর্তী চার মাসের মধ্যে শেষ হবে।’
তবে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুয়েট ও পুলিশ বিভাগের সহযোগিতায় ট্রাফিক সিগন্যাল আধুনিকায়নে কার্যক্রম শুরু করব। বুয়েটের সঙ্গে এরই মধ্যে চুক্তি হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি, তাদের নির্দেশনা চেয়েছি। তা ছাড়া আগামী করপোরেশন সভায় আমরা বাকি সিদ্ধান্ত নেব।’
অন্যদিকে ডিএসসিসির ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের প্রকৌশলী রাজীব খাদেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুয়েটের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। অফিশিয়াল কিছু প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। প্রক্রিয়া শেষে ধাপে ধাপে অর্থায়ন করা হবে।’
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে নগর-পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ট্রাফিক সমস্যার সমাধান অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকারে নেই। ঢাকার ট্রাফিক সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক উদ্যোগ দরকার। তবে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। পাইলট প্রকল্প নিয়ে ঠিকমতো পরিকল্পনায়ই হয়নি বোঝা যাচ্ছে, বাস্তবায়িত হবে কীভাবে। এটাকে অগ্রাধিকার না দিলে এই গল্পগুলো আগের সরকারের মতোই হবে। কোনো পরিবর্তন হবে না।’
হাতের ইশারায় এক পাশে গাড়ি থামাচ্ছেন তো অন্য পাশে হাতের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে গাড়ি। নির্দেশনা না মেনে শাঁই করে দ্রুতগতিতে মোড় পার হয়ে যাচ্ছে মোটরসাইকেল আরোহী। কোনো কোনো মোটরসাইকেল আরোহীর মাথায় হেলমেট পর্যন্ত নেই। দু-একটা রিকশা প্রধান সড়কে চলতে দেখা গেছে। মোড়েই যাত্রী ওঠা-নামা করাচ্ছে গণপরিবহনগুলো। রাজধানীর ব্যস্ততম কারওয়ান বাজার মোড় নিয়ন্ত্রণে এভাবে হিমশিম খাচ্ছিলেন কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশের সদস্য।
সেখানে কথা হয় দায়িত্বরত পুলিশ সার্জেন্ট মো. উজ্জ্বল হোসেনের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে। এখন বেয়াদবের সংখ্যা বেড়ে গেছে। কেউ কথা শুনতে চায় না।’
বাংলামোটর এলাকায় কথা হয় মোটরসাইকেলচালক শাহীন আলমের সঙ্গে। তিনি ২০১৭ সাল থেকে ঢাকায় রাইড শেয়ারের সঙ্গে যুক্ত। শাহীন বলেন, ‘এখনো ঢাকা সিটিতে ট্রাফিক কন্ট্রোলিং (নিয়ন্ত্রণ) ভালোভাবে আসেনি। লোকাল বাস বেপরোয়া গাড়ি চালায়। মেইন রোডে অটোরিকশা উঠে যায়।’
শুধু বাংলামোটর কিংবা কারওয়ান বাজার মোড় নয়, ঢাকার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সড়কেও একই অবস্থা। অথচ ঢাকার যানজট নিরসনে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার নিয়োজিত বুয়েটের দুই পরামর্শক অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন ও ড. হাদিউজ্জামান ছয়টি পরামর্শ দিয়েছিলেন সরকারকে। এই ছয় পরামর্শের একটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তৈরি আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল বসানো। এই সুপারিশ বাস্তবায়নে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কাজ করছে বুয়েট। তবে বাকি সুপারিশগুলো রয়ে গেছে কাগজে-কলমে।
বুয়েটের এই দুই বিশেষজ্ঞের দেওয়া ছয় সুপারিশের অন্যগুলো হচ্ছে, মূল সড়ক থেকে অবৈধ রিকশা (ব্যাটারি ও প্যাডেলচালিত) সরানো; ছোট যেসব মোড় আছে, সেখানে সিগন্যালের সময় সর্বোচ্চ দুই মিনিট আর বড় মোড়ে সিগন্যাল সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিটের বেশি স্থায়ী না করা; ছোট মোড়ে ৫০ মিটার ও বড় মোড়ে ১০০ মিটারের মধ্যে গাড়ি পার্কিং, যাত্রী ওঠানো-নামানো ও থামানো বন্ধ করা। এ ছাড়া ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এবং দুই সিটি করপোরেশন থেকে নির্ধারিত বাস স্টপেজ ছাড়া অন্য কোথাও যাত্রী ওঠানো-নামানো বন্ধ করা, এসব স্টপেজে একটার পাশে আরেকটা বাস দাঁড়াতে না দেওয়া এবং পুলিশের সাধারণ কার্যক্রম ৫ আগস্টের আগে যেমন ছিল, সেই অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কথা বলা হয় সুপারিশে। বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আরও বলা হয়, ঢাকা শহরে ট্রাফিক পুলিশের যে আটটি বিভাগ রয়েছে, সেগুলোর প্রতিটিতে একটি মোবাইল টিম কাজ করবে। এই টিমে প্রশিক্ষিত একজন ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ার, একজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা, ডিটিসিএ ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা থাকবেন। তাঁদের কাজ হবে ঘুরে ঘুরে সমস্যা দেখা এবং সেগুলোর সমাধানে কাজ করা।
সুপারিশগুলো দেওয়ার সময় দুই মাসের মধ্যে পাইলট প্রকল্প চালু এবং এক মাসের মধ্যে ছয় সুপারিশ বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও গত চার মাসেও তা কার্যকর হয়নি। জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে ট্রাফিক পুলিশ তৎপর রয়েছে। তবে কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। যাত্রীরা মোড় থেকে বাসে ওঠা-নামা করছে। পথচারীরা যানবাহন থামিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে।’
জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বলেন, প্রধান সড়কে অবৈধ রিকশা সামান্য কমলেও অন্য সুপারিশগুলোর দৃশ্যমান অগ্রগতি তেমন নেই। সমস্যাগুলো জটিল পর্যায়ে চলে গেছে। চারা পর্যায়ে সমাধান না করায় সমস্যা এখন বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। সমস্যা নিরসনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অদৃশ্য শক্তি। দায়িত্বশীল সংস্থাগুলো চেষ্টা করছে, কিন্তু বলার মতো পরিবর্তন হয়নি।
আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল বসানোর প্রকল্পেও ধীরগতি
বুয়েটের দুই পরামর্শক কারওয়ান বাজার, বাংলামোটরসহ রাজধানীর চারটি মোড়ে পাইলট প্রকল্পের আওতায় বুয়েটের তৈরি আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল সচল করার কথা বলেছিলেন। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তখন জানিয়েছিলেন, প্রকল্পটি পরীক্ষামূলকভাবে হাইকোর্ট থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত ২২টি মোড়ে চালু হবে। প্রথম ধাপে চারটি মোড়ে কাজ শেষ হলে পরবর্তী তিন মাসে বাকি ১৮টি মোড়ে সিগন্যাল স্থাপন করা হবে। চারটি মোড় হচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অংশ ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনের মোড় ও বাংলামোটর মোড় এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অংশ কারওয়ান বাজার মোড় ও ফার্মগেট মোড়। প্রকল্পটি পরিচালনায় বুয়েট থেকে প্রশিক্ষিত একজন অপারেটর থাকবেন, যিনি স্থানীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন। প্রকল্প শেষে ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থাপনা ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। প্রকল্পে নিজ নিজ এলাকায় অর্থায়ন করবে দুই সিটি করপোরেশন।
আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যালের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এখনো তারা আমাদের টাকা দেয়নি। আমাদের কথা সিম্পল, যেদিন ফান্ডিং হবে, তার ছয় মাসের মধ্যে এটা শেষ দেখতে চাই। দুই মাসের মধ্যে চারটি মোড়। বাকি মোড়ের কাজ পরবর্তী চার মাসের মধ্যে শেষ হবে।’
তবে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুয়েট ও পুলিশ বিভাগের সহযোগিতায় ট্রাফিক সিগন্যাল আধুনিকায়নে কার্যক্রম শুরু করব। বুয়েটের সঙ্গে এরই মধ্যে চুক্তি হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি, তাদের নির্দেশনা চেয়েছি। তা ছাড়া আগামী করপোরেশন সভায় আমরা বাকি সিদ্ধান্ত নেব।’
অন্যদিকে ডিএসসিসির ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের প্রকৌশলী রাজীব খাদেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুয়েটের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। অফিশিয়াল কিছু প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। প্রক্রিয়া শেষে ধাপে ধাপে অর্থায়ন করা হবে।’
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে নগর-পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ট্রাফিক সমস্যার সমাধান অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকারে নেই। ঢাকার ট্রাফিক সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক উদ্যোগ দরকার। তবে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। পাইলট প্রকল্প নিয়ে ঠিকমতো পরিকল্পনায়ই হয়নি বোঝা যাচ্ছে, বাস্তবায়িত হবে কীভাবে। এটাকে অগ্রাধিকার না দিলে এই গল্পগুলো আগের সরকারের মতোই হবে। কোনো পরিবর্তন হবে না।’
রাজশাহীর বাঘায় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তাঁর কক্ষে তালা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার উপজেলার হারুন-অর-রশিদ শাহ দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগেরংপুরের কাউনিয়ায় পুত্রবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগের মামলায় শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে মামলা দায়ের করা হলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৬ মিনিট আগেতারা মিয়া বলেন, ‘আজ পাঁচ দিন যাবৎ মেয়েটি নিখোঁজ রয়েছে। থানায় জিডি করেছি। এরপর একটি ভিডিও দেখেছি। যেখানে ওকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা যায়। কিন্তু তাকে এখনো পাওয়া যায়নি। জানি না সে কোথায় কীভাবে আছে।’
১২ মিনিট আগেমা মারা যান ২০০৭ সালে। তখন থেকে মামা-মামির কাছে থাকেন প্রতিবন্ধী তরুণ আবু রায়হান (২২)। এর মধ্যেই বাবাকেও হারান। সারা দিন অ্যাকশন মুভি দেখে সময় কাটে তাঁর। আজ সকালেও অ্যাকশন মুভি দেখছিলেন। সেখানে ছুরিকাঘাতের দৃশ্য দেখে নিজ পেটেও ছুরি চালিয়েছেন তিনি।
১৭ মিনিট আগে