বিএনপি নেতাদের তালা প্রধান শিক্ষকের কক্ষে, খোলার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি      
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮: ০৬
Thumbnail image
হারুন-অর-রশিদ শাহ দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর বাঘায় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তাঁর কক্ষে তালা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার উপজেলার হারুন-অর-রশিদ শাহ দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমানের কক্ষে তালা দেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে আবার তালা খুলে দেন তাঁরা।

এর আগে গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয়সংলগ্ন বাউসা বাজার এলাকায় ওই শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সেখানে বক্তব্য দেন বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম (বাউসা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের সুপারিনটেনডেন্ট), সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রমুখ। পরদিন গতকাল বেলা ১১টার দিকে একই দাবিতে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পরে তালা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। তালা লাগানোর ১ ঘণ্টা পর খুলে দেন নেতা-কর্মীরা।

হারুন-অর-রশিদ শাহ দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক জহুরুল ইসলাম জানান, তালা লাগানোর পর বিএনপির নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। উত্তপ্ত পরিস্থিতে বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সাবজোন খেলাধুলা বন্ধ করে দেয় খেলা পরিচালনা কমিটি।

রেজাউল করিম বলেন, প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান বিগত ১৫ বছরে টাকার বিনিময়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগসহ নিয়োগ-বাণিজ্য, দুর্নীতি ও নিয়মবহির্ভূতভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করেছেন। ওই টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের দাবি করা হয়। এতে প্রধান শিক্ষক রাজি না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করা হয়। পরদিন প্রধান শিক্ষকের কক্ষে লাগানো পর তা খুলে দেওয়া হয়।

বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নুসরাত খাতুন ও সোহান হোসেন বলে, ‘শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ তালা লাগানোর পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভ করেছি।’

প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান জানান, তালা লাগানোর সময় তিনি তাঁর কক্ষে ছিলেন না। নিয়োগ-বাণিজ্যের বিষয়টিও অস্বীকার করেন তিনি।

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ফ ম আসাদুজ্জামান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাম্মী আক্তার বলেন, তালা লাগানোর বিষয়ে জানতে পেরে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরে তালা খুলে দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত