গাজীপুরে মধ্যরাতেও যানবাহনের দীর্ঘ সারি, ভোগান্তি

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
Thumbnail image
মহাসড়ক অবরোধের কারণে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকায় টিঅ্যান্ডজেড অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা দিনভর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভের ফলে মধ্যরাতেও দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।

শনিবার সকাল ৯টায় শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। সবশেষ খবর অনুযায়ী, দিবাগত রাত পৌনে ১টা পর্যন্ত তাঁরা সড়কের উভয় পাশে অবস্থান নিয়ে আছেন।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের মালিকের বাড়ি এলাকা থেকে রাজধানীর আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার ও বিআরটি প্রকল্পের উড়াল সেতুতেও যানবাহনের দীর্ঘ সারি রয়েছে।

শিল্প পুলিশ জানায়, প্রায় এক মাস ধরে এই কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন সময় বিক্ষোভ করছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন-ভাতার পরিশোধ না করায় শ্রমিকেরা দফায় দফায় আন্দোলন করে। শনিবার একই দাবিতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে দিনভর অবস্থান করলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা মধ্যরাতেও সড়কে অবস্থান নিয়ে আছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এ সড়কে চলাচল করা মানুষেরা।

ইমরান কবির চাকরি করেন একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনে। রাতে কাজ শেষে ঢাকার মগবাজার এলাকায় বাসযোগে টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় পৌঁছান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাত ৮টার দিকে অফিস থেকে গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে ফিরতে রওনা হয়েছিলাম। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরা এলাকায় পৌঁছাতেই রাত ১টা বেজে গেছে।

রাজধানীর জোয়ার সাহারা ডিপো থেকে একটি যাত্রীবাহী বিআরটিসি বাস চালিয়ে গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় পৌঁছান চালক মোমেন মিয়া। তিনি বলেন, ‘শনিবার বিকেলে বাস চালিয়ে বোর্ডবাজার এলাকায় আসি। কিছুক্ষণ পর বাসের সকল যাত্রী নেমে গেছে। আমি ও আমার বাসের দুই সহকারী মধ্য রাতেও সড়কেই অবস্থান করছি।’

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের (দক্ষিণ) উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইব্রাহিম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাত প্রায় সাড়ে ১২টা বাজে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা এখনো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান করছে। মালিকের বাড়ি এলাকা থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত দীর্ঘ যানবাহনের সারি রয়েছে। সড়ক থাকা ট্রাফিক পুলিশদের নির্দেশনা দিয়েছি ছোট যানবাহনগুলো নগরীর বিভিন্ন শাখা সড়ক ব্যবহার করতে। শ্রমিকেরা সড়ক থেকে সরে গেলেই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত