অনলাইন ডেস্ক
সন্তানদের মধ্যে একজনকে বেশি ভালোবাসা বা পছন্দ করার বিষয়টি মা-বাবার জন্য নিঃসন্দেহে একটি অস্বস্তিকর প্রসঙ্গ। নিজের সন্তানদের মধ্যে কোনো একজনকে তিনি বেশি ভালোবাসেন তা কোনো মা-বাবা স্বীকার করবে না। তবে এই দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে নতুন একটি নতুন গবেষণা। এই গবেষণায় বলা হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছেলেসন্তানের চেয়ে মেয়েসন্তানের বেশি পক্ষপাতিত্ব করেন মা-বাবারা।
গবেষণাটি ৩০টি গবেষণার ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়েছে এবং এতে প্রায় ২০ হাজার মানুষের তথ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেখানে দেখা গেছে যে, মা-বাবারা সাধারণত কন্যাসন্তানদের প্রতি বেশি পক্ষপাতিত্ব করেন। গবেষণাটি আরও নির্দেশ করে, সন্তানদের মধ্যে যাদের চরিত্রে ‘অনুগত’ এবং ‘বিবেকবান’ গুণ বেশি থাকে, তাদের প্রতি বেশি স্নেহ প্রদর্শন করেন মা-বাবা। গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত গবেষণাপত্রগুলো শুধু উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপে পরিচালিত হয়েছিল এবং এসব অঞ্চলে প্রধানত শ্বেতাঙ্গরা বসবাস করে। তাই অন্যান্য অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর জন্য এই ফলাফলগুলো প্রযোজ্য না-ও হতে পারে।
গত ১৬ জানুয়ারি ফিজিওলজিক্যাল বুলেটিন জার্নালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।
ইউটার ব্রিঘাম ইয়ং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও সহলেখক আলেক্সান্ডার জেনসেন বলেন, বিষয়টি এমন নয় যে মা-বাবা কোনো এক সন্তানকে বেশি ভালোবাসেন এবং অন্যজনকে ঘৃণা করেন। এই গবেষণা ফলাফলের মানে হলো—এক সন্তানের প্রতি অন্যের তুলনায় কিছুটা বেশি স্নেহ প্রদর্শন বা তার সঙ্গে বেশি সময় কাটানো।
পিতা-মাতা এবং সন্তানদের মধ্যে সম্পর্কটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোয় দেখা গেছে, যেসব সন্তান বেশি ভালোবাসা বা সহানুভূতির আচরণ পায়, তারা মানসিকভাবে সুস্থ থাকে, পড়াশোনায় ভালো ফল করে এবং পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কেও ভালো থাকে। এর বিপরীতে, যারা কম স্নেহ বা মনোযোগ পায়, তাদের জন্য একই ফলাফল দেখা যায় না।
গবেষক জেনসন বলেন, যদি শিশুরা বুঝতে পারে কেন তাদের প্রতি আলাদা আচরণ করা হচ্ছে, তবে সেই পার্থক্য তাদের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় না। অর্থাৎ, যদি একটি শিশু দেখে যে তার প্রতি আচরণটি যুক্তিসংগত, তাহলে সেই ঘটনাটি সহজেই গ্রহণ করতে পারে তারা। যেমন—ছোট ভাই বা বোনকে তার মা-বাবা হোমওয়ার্কের বেশি সাহায্য করার জন্য বড় সন্তান অস্বস্তি বোধ করতে পারে। তবে, যদি সে বুঝে যে ছোট ভাই-বোনটির আরও বেশি সাহায্যের প্রয়োজন, তাহলে সে বিষয়টি সহজেই মেনে নিতে পারে।
নতুন এই বিশ্লেষণে, জেনসেন এবং তাঁর সহকর্মীরা ৩০টি বৈজ্ঞানিক পেপার এবং ১৪টি ডেটাবেজের তথ্য পর্যালোচনা করেছেন। যেখানে ১৯ হাজার ৪৬৯ জন মানুষের পারিবারিক সম্পর্কের বিষয়বস্তু ছিল। তবে মধ্যে প্রায় ৬৭ শতাংশ ব্যক্তিই যুক্তরাষ্ট্রের আর বাকিরা পশ্চিম ইউরোপ এবং কানাডার।
সন্তানের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য কীভাবে তার মা-বাবার আচরণের সঙ্গে সম্পর্কিত তা গবেষকেরা পর্যবেক্ষণ করেন। এই তথ্য বিভিন্ন উপায়ে সংগৃহীত হয়েছিল। যেমন—সাক্ষাৎকার, জরিপ এবং ঘরোয়া পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে।
সন্তানদের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল নানা দিক, যেমন তারা তাদের ভাই-বোনদের তুলনায় কখন জন্ম নিয়েছে, তাদের লিঙ্গ এবং তাদের মেজাজ ও ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যগুলো, যেমন—সামাজিকতা, অনুগত, দায়িত্বশীলতা।
কয়েকটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে মা-বাবাদের পক্ষপাতিত্বের আচরণ মূল্যায়ন করা হয়েছিল। যেমন—কীভাবে তারা সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছেন, কত টাকা তারা তাদের জন্য খরচ করেছেন, অথবা কেমন কঠোর বা নমনীয় নিয়ম অনুসরণ করেছেন।
গবেষণায় শুধু সন্তানের বৈশিষ্ট্য এবং পিতা-মাতার পার্থক্যসূচক আচরণের মধ্যে সম্পর্কগুলো পর্যালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং, শুধু এই ফলাফলগুলো দিয়ে বোঝানো সম্ভব নয় কেন মা-বাবারা মেয়েসন্তান এবং অধিক অনুগত সন্তানদের বেশি প্রাধান্য দেন বা কম অনুগত সন্তানদের তুলনায় বেশি স্নেহ দেন।
তবে, গবেষকেরা ধারণা করেছেন, অনুগত শিশুরা সাধারণত তাদের কাছে যা চাওয়া হয় তা করতে বেশি ইচ্ছুক থাকে, অর্থাৎ, মা-বাবারা তাদের সহজভাবে পরিচালনা করতে পারেন এবং এই কারণে তাঁরা তাদের প্রতি আরও ইতিবাচক আচরণ করেন।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স
সন্তানদের মধ্যে একজনকে বেশি ভালোবাসা বা পছন্দ করার বিষয়টি মা-বাবার জন্য নিঃসন্দেহে একটি অস্বস্তিকর প্রসঙ্গ। নিজের সন্তানদের মধ্যে কোনো একজনকে তিনি বেশি ভালোবাসেন তা কোনো মা-বাবা স্বীকার করবে না। তবে এই দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে নতুন একটি নতুন গবেষণা। এই গবেষণায় বলা হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছেলেসন্তানের চেয়ে মেয়েসন্তানের বেশি পক্ষপাতিত্ব করেন মা-বাবারা।
গবেষণাটি ৩০টি গবেষণার ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়েছে এবং এতে প্রায় ২০ হাজার মানুষের তথ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেখানে দেখা গেছে যে, মা-বাবারা সাধারণত কন্যাসন্তানদের প্রতি বেশি পক্ষপাতিত্ব করেন। গবেষণাটি আরও নির্দেশ করে, সন্তানদের মধ্যে যাদের চরিত্রে ‘অনুগত’ এবং ‘বিবেকবান’ গুণ বেশি থাকে, তাদের প্রতি বেশি স্নেহ প্রদর্শন করেন মা-বাবা। গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত গবেষণাপত্রগুলো শুধু উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপে পরিচালিত হয়েছিল এবং এসব অঞ্চলে প্রধানত শ্বেতাঙ্গরা বসবাস করে। তাই অন্যান্য অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর জন্য এই ফলাফলগুলো প্রযোজ্য না-ও হতে পারে।
গত ১৬ জানুয়ারি ফিজিওলজিক্যাল বুলেটিন জার্নালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।
ইউটার ব্রিঘাম ইয়ং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও সহলেখক আলেক্সান্ডার জেনসেন বলেন, বিষয়টি এমন নয় যে মা-বাবা কোনো এক সন্তানকে বেশি ভালোবাসেন এবং অন্যজনকে ঘৃণা করেন। এই গবেষণা ফলাফলের মানে হলো—এক সন্তানের প্রতি অন্যের তুলনায় কিছুটা বেশি স্নেহ প্রদর্শন বা তার সঙ্গে বেশি সময় কাটানো।
পিতা-মাতা এবং সন্তানদের মধ্যে সম্পর্কটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোয় দেখা গেছে, যেসব সন্তান বেশি ভালোবাসা বা সহানুভূতির আচরণ পায়, তারা মানসিকভাবে সুস্থ থাকে, পড়াশোনায় ভালো ফল করে এবং পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কেও ভালো থাকে। এর বিপরীতে, যারা কম স্নেহ বা মনোযোগ পায়, তাদের জন্য একই ফলাফল দেখা যায় না।
গবেষক জেনসন বলেন, যদি শিশুরা বুঝতে পারে কেন তাদের প্রতি আলাদা আচরণ করা হচ্ছে, তবে সেই পার্থক্য তাদের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় না। অর্থাৎ, যদি একটি শিশু দেখে যে তার প্রতি আচরণটি যুক্তিসংগত, তাহলে সেই ঘটনাটি সহজেই গ্রহণ করতে পারে তারা। যেমন—ছোট ভাই বা বোনকে তার মা-বাবা হোমওয়ার্কের বেশি সাহায্য করার জন্য বড় সন্তান অস্বস্তি বোধ করতে পারে। তবে, যদি সে বুঝে যে ছোট ভাই-বোনটির আরও বেশি সাহায্যের প্রয়োজন, তাহলে সে বিষয়টি সহজেই মেনে নিতে পারে।
নতুন এই বিশ্লেষণে, জেনসেন এবং তাঁর সহকর্মীরা ৩০টি বৈজ্ঞানিক পেপার এবং ১৪টি ডেটাবেজের তথ্য পর্যালোচনা করেছেন। যেখানে ১৯ হাজার ৪৬৯ জন মানুষের পারিবারিক সম্পর্কের বিষয়বস্তু ছিল। তবে মধ্যে প্রায় ৬৭ শতাংশ ব্যক্তিই যুক্তরাষ্ট্রের আর বাকিরা পশ্চিম ইউরোপ এবং কানাডার।
সন্তানের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য কীভাবে তার মা-বাবার আচরণের সঙ্গে সম্পর্কিত তা গবেষকেরা পর্যবেক্ষণ করেন। এই তথ্য বিভিন্ন উপায়ে সংগৃহীত হয়েছিল। যেমন—সাক্ষাৎকার, জরিপ এবং ঘরোয়া পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে।
সন্তানদের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল নানা দিক, যেমন তারা তাদের ভাই-বোনদের তুলনায় কখন জন্ম নিয়েছে, তাদের লিঙ্গ এবং তাদের মেজাজ ও ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যগুলো, যেমন—সামাজিকতা, অনুগত, দায়িত্বশীলতা।
কয়েকটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে মা-বাবাদের পক্ষপাতিত্বের আচরণ মূল্যায়ন করা হয়েছিল। যেমন—কীভাবে তারা সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছেন, কত টাকা তারা তাদের জন্য খরচ করেছেন, অথবা কেমন কঠোর বা নমনীয় নিয়ম অনুসরণ করেছেন।
গবেষণায় শুধু সন্তানের বৈশিষ্ট্য এবং পিতা-মাতার পার্থক্যসূচক আচরণের মধ্যে সম্পর্কগুলো পর্যালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং, শুধু এই ফলাফলগুলো দিয়ে বোঝানো সম্ভব নয় কেন মা-বাবারা মেয়েসন্তান এবং অধিক অনুগত সন্তানদের বেশি প্রাধান্য দেন বা কম অনুগত সন্তানদের তুলনায় বেশি স্নেহ দেন।
তবে, গবেষকেরা ধারণা করেছেন, অনুগত শিশুরা সাধারণত তাদের কাছে যা চাওয়া হয় তা করতে বেশি ইচ্ছুক থাকে, অর্থাৎ, মা-বাবারা তাদের সহজভাবে পরিচালনা করতে পারেন এবং এই কারণে তাঁরা তাদের প্রতি আরও ইতিবাচক আচরণ করেন।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স
চাঁদে গিয়ে অক্সিজেনের সংকটে পড়েন নভোচারীরা। এই সংকট কাটিয়ে ওঠা যায় কীভাবে, সেই উদ্যোগ নিয়েছেন একদল প্রকৌশলী। তাঁরা চাইছেন, সেখানে যে অক্সিজেন পাওয়া যায়, এ জন্য একটি যন্ত্রের নকশা তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়েরা স্পেসের প্রকৌশলীরা। তাঁরা আশা করছেন
১৭ ঘণ্টা আগেমানুষের মূত্রে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রোজেন থাকে, যা উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা মানুষের মূত্রকে সার হিসেবে ব্যবহার করার আরও কার্যকর উপায় আবিষ্কার করেছেন। চীনের হেনান বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানীরা এই দাবি করেছেন। ব্রিটিশ বিজ্ঞান বিষয়ক ম্যাগাজিন নিউ সায়েন্টিস্টের প্রতিবেদন
১ দিন আগেদক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায় প্রায় ১ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন বা ১৯ দশমিক ৫ লাখ বছর আগে হোমিনিনরা বিচরণ করত। রোমানিয়ার ওল্ট নদী উপত্যকায় অবস্থিত গ্রাউনচেনু সাইটে আবিষ্কৃত ফসিলের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারটি ইউরোপে মানবজাতির উপস্থিতি সম্পর্কে পূর্বের ধারণাগুলোকে ন
৪ দিন আগে২০০৭ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকেই রহস্যময় ‘ফাস্ট রেডিও বার্স্ট’ বা এফআরবি কিংবা মহাকাশ থেকে আসা মিলিসেকেন্ড-দীর্ঘ উজ্জ্বল রেডিও তরঙ্গ নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কৌতূহল বেড়েই চলেছে। এই তরঙ্গগুলো এক সেকেন্ডের কম সময়ের মধ্যে সূর্যের পুরো এক দিনের সমান শক্তি নির্গত করে।
৪ দিন আগে