ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
কালো মাথা বেনে বউ এক প্রজাতির বৃক্ষচারী পাখি। মানিকগঞ্জের মানুষজন হলদে কুটুম পাখি নামে চেনে। সৌন্দর্যমণ্ডিত দৈহিক গড়ন আর সুরেলা কণ্ঠের গুণেই এই পাখি মানুষের নজর কাড়ে সহজে।
আজ বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জের ঘিওরের বালিয়াখোড়া গ্রামের এক গাছের ডালে দেখা মেলে দুটি হলদে পাখির। ক্যামেরাবন্দী করা হয় স্থিরচিত্র। তবে অল্প সময়ের মধ্যে আবার চোখের আড়াল হয়ে যায়। তবে এ নিয়ে কথা হয় পরিবেশ ও পশু-পাখি সংশ্লিষ্ট লোকজনের সঙ্গে।
পাখি ও প্রকৃতিপ্রেমী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মতিন দেওয়ান বলেন, ‘সাধারণত বাড়ির আঙিনা, বাঁশঝাড়, বট ও পেয়ারা গাছের ডালে বসে ডাকাডাকি করে এ পাখি। এ সময় শিশুরা মুখ ভেংচিয়ে অনুকরণ করে। তবে গত এক দশক ধরে কম দেখা মিলছে এই হলুদে পাখির।’
উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ পাখির বৈজ্ঞানিক নাম: ওরিওলাস জানথরনাস। মাথায় কালো রং, দেহ হলুদ রঙের। চঞ্চুর রং গোলাপি, চোখ রক্তবর্ণ। স্ত্রী ও পুরুষ পাখি একই ধরনের দেখতে হয় কিন্তু স্ত্রী পাখির মাথার কালো রং কম উজ্জ্বল। অপরিণত পাখিদের কপালের রং হলুদ হয় ও কালো মাথায় হলুদ দাগ দেখা যায়। ঘাস, গাছের তন্তু ও মাকড়সার জাল দিয়ে সুন্দর কাপের মতো বাসা বানায়। ২ থেকে ৩টি গোলাপি সাদা রঙের ডিম দেয় যার ওপরে কালো বা লালচে-বাদামি ছিট থাকে।’
মানিকগঞ্জ বার্ড ক্লাবের উপদেষ্টা পাখি বিশেষজ্ঞ আব্দুস হান্নান দিনার এই পাখি সম্পর্কে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব ঋতুতে গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক পরিবেশ মাতিয়ে রাখে এই পাখিটি। একা থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, তবে জোড় পত্রাচ্ছাদিত গাছে দেখা যায়। মানুষজনের বসতির কাছেও বসবাস করে। গাছের ওপর থেকে বাঁশির মতো ‘হোয়াই-ইউ’ বা ‘হোয়াই-ইউ-ইউ’ বুলিতে। মাঝে মাঝে কর্কশভাবে ‘কোয়াক’’ কোয়াক’ করেও ডাকে, যা শুনতে অনেকটা হাঁড়িচাচা পাখির মতো শোনায়।’
পাখি ও প্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক সংগঠন ‘নীড়’ এর সভাপতি আহমেদ রফিকুল ইসলাম প্রবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের উপকরণ আমাদের পাখ-পাখালি। কিন্তু মানুষের আগ্রাসী আচরণে উজাড় হয়ে যাচ্ছে বনজঙ্গল ও দেশীয় গাছ বৃক্ষলতা। ফলে জীববৈচিত্র্যের বড় ক্ষতি হচ্ছে। বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে হলদেসহ দেশীয় অনেক প্রজাতির পাখি। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) এ প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।’
পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা বারসিক এর মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বট, আম, জাম, কাঁঠালসহ বড় বড় গাছ উজাড় হয়ে যাচ্ছে। ফলে দেশীয় প্রজাতির অনেক পাখি হারিয়ে যাচ্ছে। এক সময় হলদে পাখি সচরাচর খুবই কাছাকাছি দেখা যেত। কিন্তু এখন এই কৃষক বন্ধু পাখি কম দেখা যায়।’
কালো মাথা বেনে বউ এক প্রজাতির বৃক্ষচারী পাখি। মানিকগঞ্জের মানুষজন হলদে কুটুম পাখি নামে চেনে। সৌন্দর্যমণ্ডিত দৈহিক গড়ন আর সুরেলা কণ্ঠের গুণেই এই পাখি মানুষের নজর কাড়ে সহজে।
আজ বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জের ঘিওরের বালিয়াখোড়া গ্রামের এক গাছের ডালে দেখা মেলে দুটি হলদে পাখির। ক্যামেরাবন্দী করা হয় স্থিরচিত্র। তবে অল্প সময়ের মধ্যে আবার চোখের আড়াল হয়ে যায়। তবে এ নিয়ে কথা হয় পরিবেশ ও পশু-পাখি সংশ্লিষ্ট লোকজনের সঙ্গে।
পাখি ও প্রকৃতিপ্রেমী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মতিন দেওয়ান বলেন, ‘সাধারণত বাড়ির আঙিনা, বাঁশঝাড়, বট ও পেয়ারা গাছের ডালে বসে ডাকাডাকি করে এ পাখি। এ সময় শিশুরা মুখ ভেংচিয়ে অনুকরণ করে। তবে গত এক দশক ধরে কম দেখা মিলছে এই হলুদে পাখির।’
উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ পাখির বৈজ্ঞানিক নাম: ওরিওলাস জানথরনাস। মাথায় কালো রং, দেহ হলুদ রঙের। চঞ্চুর রং গোলাপি, চোখ রক্তবর্ণ। স্ত্রী ও পুরুষ পাখি একই ধরনের দেখতে হয় কিন্তু স্ত্রী পাখির মাথার কালো রং কম উজ্জ্বল। অপরিণত পাখিদের কপালের রং হলুদ হয় ও কালো মাথায় হলুদ দাগ দেখা যায়। ঘাস, গাছের তন্তু ও মাকড়সার জাল দিয়ে সুন্দর কাপের মতো বাসা বানায়। ২ থেকে ৩টি গোলাপি সাদা রঙের ডিম দেয় যার ওপরে কালো বা লালচে-বাদামি ছিট থাকে।’
মানিকগঞ্জ বার্ড ক্লাবের উপদেষ্টা পাখি বিশেষজ্ঞ আব্দুস হান্নান দিনার এই পাখি সম্পর্কে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব ঋতুতে গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক পরিবেশ মাতিয়ে রাখে এই পাখিটি। একা থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, তবে জোড় পত্রাচ্ছাদিত গাছে দেখা যায়। মানুষজনের বসতির কাছেও বসবাস করে। গাছের ওপর থেকে বাঁশির মতো ‘হোয়াই-ইউ’ বা ‘হোয়াই-ইউ-ইউ’ বুলিতে। মাঝে মাঝে কর্কশভাবে ‘কোয়াক’’ কোয়াক’ করেও ডাকে, যা শুনতে অনেকটা হাঁড়িচাচা পাখির মতো শোনায়।’
পাখি ও প্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক সংগঠন ‘নীড়’ এর সভাপতি আহমেদ রফিকুল ইসলাম প্রবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের উপকরণ আমাদের পাখ-পাখালি। কিন্তু মানুষের আগ্রাসী আচরণে উজাড় হয়ে যাচ্ছে বনজঙ্গল ও দেশীয় গাছ বৃক্ষলতা। ফলে জীববৈচিত্র্যের বড় ক্ষতি হচ্ছে। বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে হলদেসহ দেশীয় অনেক প্রজাতির পাখি। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) এ প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।’
পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা বারসিক এর মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বট, আম, জাম, কাঁঠালসহ বড় বড় গাছ উজাড় হয়ে যাচ্ছে। ফলে দেশীয় প্রজাতির অনেক পাখি হারিয়ে যাচ্ছে। এক সময় হলদে পাখি সচরাচর খুবই কাছাকাছি দেখা যেত। কিন্তু এখন এই কৃষক বন্ধু পাখি কম দেখা যায়।’
ঝিনাইদহ সদরের নতুন বাড়ি এলাকায় দুই ট্রাকের সংঘর্ষে আল আমিন (২৫) নামের এক ট্রাকচালকের নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও ৩ জন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাজেদুল লস্কর (৩২) নামের এক ব্যক্তির লাঠির আঘাতে তার চাচাতো ভাই আপেল লস্করের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি লস্কর পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সাজেদুল লস্করকে আটক করেছে পুলিশ। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আউয়াল কবির বিষয়টি নিশ
২৯ মিনিট আগেময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখাইজুড়ি নদী একসময় প্রবহমান ছিল। এতে এলাকার মানুষ গোসল দিত, মাছ ধরত ও হাঁস পালন করত। সেই নদী দখল করে বাঁশ ও জালের বেড়া দিয়ে ছোট ছোট ঘের তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
৩৪ মিনিট আগেকুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ এলাকার একটি রেস্তোরাঁর কর্মী তোফাজ্জল হোসেন। অর্থের অভাবে লেখাপড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাঁর। ১৩ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন রেস্তোরাঁয়।
৩৭ মিনিট আগে