নুরুল আমিন হাসান, ঢাকা
রাজধানীর দক্ষিণখানে স মিলের কর্মচারী হযরত আলীকে (২৫) খুনের নেপথ্যে ছিল ‘মাদক নিয়ে দ্বন্দ্ব’। নিহতের স্বজন, এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে দক্ষিণখান থানা-পুলিশ এ কথা জানিয়েছে। এদিকে হযরত আলীকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার একমাত্র আসামি মো. সেলিম সরকারকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে গত সোমবার সকালে দক্ষিণখানের গাওয়াইর স্কুলের গলিতে হযরত আলীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তিনি মারা যান।
নিহত যুবক ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার চৌধার গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। তিনি মধ্য গাওয়াইর এলাকার খন্দকার মঞ্জুর ভাড়া বাড়িতে থেকে আজমপুরের একটি স মিলে কাজ করতেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় ঘটনার দিন গত সোমবার হত্যা মামলা করেছেন। ওই দিনই সন্ধ্যায় রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থেকে সেলিম সরদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেলিম গাওয়াইর এলাকার স্থানীয় মাদক কারবারি। বর্তমানে সেখানকার আবুল হোসেনের ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব রাখিরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, মাদকের কারবার নিয়ে সেলিম সরদার ওরফে মোটা সেলিমের সঙ্গে হযরত আলীর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে হযরত আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন সেলিম। এ সময় হযরত দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে স্বজনেরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে হযরত মারা যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাওয়াইর এলাকার কয়েকজন বলেন, সেলিম ওরফে মোটা সেলিম এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ও গাঁজার কারবার করে আসছিলেন। তবু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নীরব ছিল। তাঁকে কেউ কিছু বলা বা বাধা দেওয়ার সাহস পেত না। যে বা যারাই বাধা দিত, তাদেরই তিনি ক্ষতি করতেন।
নিহত হযরত আলীর বড় ভাই মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি, গাওয়াইর বাজারের পেছনে হযরতকে সেলিম নামের একজন মাদক কারবারি এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করেছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে নেওয়া হলে দুপুরের পর সে মারা যায়।’
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘জানতে পেরেছি, সেলিম নামের ওই ব্যক্তি মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত। আমার ভাই আজমপুর এলাকায় একটি স মিলে কাজ করত। কী কারণে আমার ভাইকে তারা হত্যা করল, বুঝতে পারছি না। যারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে, আমি তাদের কঠিন শাস্তি চাই।’
তবে নিহত হযরতের মা ফিরোজা বেগম বলেন, ‘গত শুক্রবার দুইটা ছেলের সঙ্গে হযরতের ঝগড়া হয়েছিল। ওই দিন তারা হযরতকে মারধরও করেছিল। পরে ওর এক বড় ভাই ওকে ফিরিয়ে দিয়েছিল।’
ফিরোজা বেগম আরও বলেন, ‘হত্যার আগে ফর্মা (সোর্স) ও মাদক ব্যবসায়ী সেলিম কতগুলো পোলাপান নিয়ে এসে আমার ছেলেকে খুঁজতে থাকে। তখন হযরত তার বাবার সাইডে বসা ছিল। ওর বাবা তা শুনতে পেয়েও কিছু বলে নাই।’ দ্বন্দ্বের কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফিরোজা বলেন, ‘সেলিম বাবা, হিরোইন, গাঞ্জা বিক্রি করে। হযরত কিছু বললে সেলিম ১০-২০ টাকা দিয়ে সরিয়ে দেয়।’
হযরতের মা বলেন, ‘সেলিমের সঙ্গে থাকা ছেলেকে হযরত বলে, “তুই যদি সেলিমের কাছে যাস, তুই খারাপ হয়ে যাবি। তাহলে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দিব।” সেই কথা ওই ছেলে আবার সেলিমকে বলে দেওয়ায় আমার ছেলেকে ওরা খুন করেছে। আমি ওদের ফাঁসি চাই।’
এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আমিনুল বাশার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যা একজনই করেছে। একজনের নামেই মামলা হয়েছে। তাকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ হত্যাকাণ্ডের কারণ প্রসঙ্গে ওসি বলেন, ‘দুজনই মাদকসেবী। পুরোনো শত্রুতার জেরে হত্যা করা হয়েছে।’
তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দক্ষিণখান থানার এসআই (উপপরিদর্শক) এ বি সিদ্দিক বলেন, ‘ছুরিকাঘাতের পর সেলিম পালিয়ে গিয়েছিলেন। তখন তিনি স্ট্রোক করলে স্বজনেরা চিকিৎসা দেয়। পরে গ্রেপ্তারের পর আজ (মঙ্গলবার) আদালতে পাঠানো হয়। পরে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
রাজধানীর দক্ষিণখানে স মিলের কর্মচারী হযরত আলীকে (২৫) খুনের নেপথ্যে ছিল ‘মাদক নিয়ে দ্বন্দ্ব’। নিহতের স্বজন, এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে দক্ষিণখান থানা-পুলিশ এ কথা জানিয়েছে। এদিকে হযরত আলীকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার একমাত্র আসামি মো. সেলিম সরকারকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে গত সোমবার সকালে দক্ষিণখানের গাওয়াইর স্কুলের গলিতে হযরত আলীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তিনি মারা যান।
নিহত যুবক ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার চৌধার গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। তিনি মধ্য গাওয়াইর এলাকার খন্দকার মঞ্জুর ভাড়া বাড়িতে থেকে আজমপুরের একটি স মিলে কাজ করতেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় ঘটনার দিন গত সোমবার হত্যা মামলা করেছেন। ওই দিনই সন্ধ্যায় রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থেকে সেলিম সরদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেলিম গাওয়াইর এলাকার স্থানীয় মাদক কারবারি। বর্তমানে সেখানকার আবুল হোসেনের ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব রাখিরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, মাদকের কারবার নিয়ে সেলিম সরদার ওরফে মোটা সেলিমের সঙ্গে হযরত আলীর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে হযরত আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন সেলিম। এ সময় হযরত দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে স্বজনেরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে হযরত মারা যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাওয়াইর এলাকার কয়েকজন বলেন, সেলিম ওরফে মোটা সেলিম এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ও গাঁজার কারবার করে আসছিলেন। তবু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নীরব ছিল। তাঁকে কেউ কিছু বলা বা বাধা দেওয়ার সাহস পেত না। যে বা যারাই বাধা দিত, তাদেরই তিনি ক্ষতি করতেন।
নিহত হযরত আলীর বড় ভাই মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি, গাওয়াইর বাজারের পেছনে হযরতকে সেলিম নামের একজন মাদক কারবারি এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করেছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে নেওয়া হলে দুপুরের পর সে মারা যায়।’
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘জানতে পেরেছি, সেলিম নামের ওই ব্যক্তি মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত। আমার ভাই আজমপুর এলাকায় একটি স মিলে কাজ করত। কী কারণে আমার ভাইকে তারা হত্যা করল, বুঝতে পারছি না। যারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে, আমি তাদের কঠিন শাস্তি চাই।’
তবে নিহত হযরতের মা ফিরোজা বেগম বলেন, ‘গত শুক্রবার দুইটা ছেলের সঙ্গে হযরতের ঝগড়া হয়েছিল। ওই দিন তারা হযরতকে মারধরও করেছিল। পরে ওর এক বড় ভাই ওকে ফিরিয়ে দিয়েছিল।’
ফিরোজা বেগম আরও বলেন, ‘হত্যার আগে ফর্মা (সোর্স) ও মাদক ব্যবসায়ী সেলিম কতগুলো পোলাপান নিয়ে এসে আমার ছেলেকে খুঁজতে থাকে। তখন হযরত তার বাবার সাইডে বসা ছিল। ওর বাবা তা শুনতে পেয়েও কিছু বলে নাই।’ দ্বন্দ্বের কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফিরোজা বলেন, ‘সেলিম বাবা, হিরোইন, গাঞ্জা বিক্রি করে। হযরত কিছু বললে সেলিম ১০-২০ টাকা দিয়ে সরিয়ে দেয়।’
হযরতের মা বলেন, ‘সেলিমের সঙ্গে থাকা ছেলেকে হযরত বলে, “তুই যদি সেলিমের কাছে যাস, তুই খারাপ হয়ে যাবি। তাহলে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দিব।” সেই কথা ওই ছেলে আবার সেলিমকে বলে দেওয়ায় আমার ছেলেকে ওরা খুন করেছে। আমি ওদের ফাঁসি চাই।’
এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আমিনুল বাশার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যা একজনই করেছে। একজনের নামেই মামলা হয়েছে। তাকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ হত্যাকাণ্ডের কারণ প্রসঙ্গে ওসি বলেন, ‘দুজনই মাদকসেবী। পুরোনো শত্রুতার জেরে হত্যা করা হয়েছে।’
তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দক্ষিণখান থানার এসআই (উপপরিদর্শক) এ বি সিদ্দিক বলেন, ‘ছুরিকাঘাতের পর সেলিম পালিয়ে গিয়েছিলেন। তখন তিনি স্ট্রোক করলে স্বজনেরা চিকিৎসা দেয়। পরে গ্রেপ্তারের পর আজ (মঙ্গলবার) আদালতে পাঠানো হয়। পরে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৮ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৮ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৯ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১০ ঘণ্টা আগে