খোলা আকাশের নিচে চলছে ক্লাস

প্রতিনিধি, নড়িয়া (শরীয়তপুর) 
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১: ৪৭
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩: ১২

শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে পদ্মা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নড়িয়ায় পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে নদীতীরবর্তী এলাকাগুলোর দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পানি উঠে গেছে। তাই খোলা আকাশের নিচে পর্দা টানিয়ে পাঠদান করা হচ্ছে। 

দীর্ঘ দেড় বছর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও বন্যাকবলিত দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথাসময়ে পাঠদান শুরু করা নিয়ে আগে অনিশ্চয়তা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পানি উঠলে এখন বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করা হচ্ছে। 

খোলা আকাশের নিচে পর্দা টানিয়ে পাঠদান করা হচ্ছেমোক্তাকার চর ইউনিয়নের মৃধাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে ও ঝাপসা ইউনিয়নের চর ভোজেস্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশের বাড়ির বারান্দায় ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকেরা।  

জানা যায়, দেড় বছর ধরে করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রথম দিন নড়িয়ায় একটি বিদ্যালয়ে পানি থাকায় পাশের বাড়ির বারান্দায় ক্লাস নিতে হয়েছিল। মঙ্গলবার জেলায় দুটি বিদ্যালয়ে পানি ওঠে। এতে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। 

স্কুলে উঠেছে পদ্মা নদীর পানিসরেজমিনে দেখা যায়, চর ভোজেস্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্যান্ডেলের ভেতরে বসে ক্লাস করছে। অন্যদিকে মৃধাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোলা আকাশের নিচে মাটিতে বিছানা করে ক্লাস করছে। পাশেই বসে আছেন অভিভাবকেরা। বিদ্যালয়ের মাঠে পানি। যাওয়ার মতো নেই কোনো অবস্থা। 

চর ভোজেস্বর স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে স্কুল খুলছে, তাই আমরা আনন্দিত। তবে আমাদের স্কুলের শ্রেণিকক্ষে পানি উঠে গেছে, তাই এই খানে পাঠদান করা সম্ভব না। বাধ্য হয়ে আমরা খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করছি।’ 

নড়িয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইকবাল মনসুর বলেন, উজান থেকে নেমে আসা জোয়ারের পানি নদীতে বাড়তে থাকায় নড়িয়ায় তিনটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে পানি উঠে যায়। এতে করে শিক্ষার্থীদের বাইরে ও এক বাড়িতে পাঠদান করানো হয়। তবে এক-দুই দিনের মধ্যে পানি কমে যাবে। আশা করছি শিগগিরই স্কুলে পাঠদান করা সম্ভব হবে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত