নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদীতে বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের খোদাদিলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিন ও যুবলীগ কর্মী জাকির হোসেন গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জাকির গ্রুপের নেপথ্যে রয়েছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কাদির মিয়া ও জয়নাল আবেদিন গ্রুপে রয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দীপু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বজলুর রহমান ফাহিম।
আহতদের মধ্যে তিনজনের নাম জানা গেছে, তাঁরা হলেন আব্দুস সাত্তার মিয়ার ছেলে কুতুব উদ্দিন (৩৫), খোদাদিলা গ্রামের হক মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ (১৬) ও ফিরোজ মিয়ার ছেলে তৈয়ব মিয়া (১৮)। তাঁদের মধ্যে কুতুব উদ্দিন হচ্ছেন বিএনপি নেতা জয়নালের সমর্থক, তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকি দুজন কোন গ্রুপের তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ছাড়া অন্তত আরও ৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আহতদের কয়েকজন জেলা সদরের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে মেঘনা নদী ও এর শাখা নদীর নাব্যতা বৃদ্ধিতে দুই মাস আগে নদী থেকে বালু উত্তোলন শুরু হয়। প্রকল্প অনুযায়ী এসব বালু নদীর পাশে রাখার কথা হলেও প্রভাব বিস্তার করে আলোকবালী ইউনিয়নের সাতপড়া ও খোদাদিলাসহ বিভিন্ন গ্রামের ফসলি জমি, পুকুর, ডোবাসহ বিভিন্ন স্থান ভরাট করা হচ্ছে।
প্রতি শতাংশ জমি বালু দিয়ে ভরাটের জন্য জয়নাল আবেদিন ও ইউপি চেয়ারম্যানের গ্রুপকে ১০-১৫ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। এতে জাকির গ্রুপ ভাগ না পাওয়ায় ও পূর্ব আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ থেকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানান। এ ছাড়া আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জাকির গ্রুপ এলাকার বাইরে ছিল। পুনরায় গ্রুপটি এলাকায় প্রবেশ করতে চাইলে আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদ উল্লাহ বলেন, ‘যুবলীগ কর্মী জাকিরসহ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মীকে বিএনপির ইউনিয়ন শাখার সদস্যসচিব কাইয়ুম ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিনের লোকজন অত্যাচার ও নির্যাতন করে চার বছর ধরে বাড়িঘর ছাড়া করে রেখেছে। তারা জোরপূর্বক নিরীহ মানুষের বাড়িতে সরকারি প্রকল্পের বালু দিয়ে ভরাট করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। মূলত এলাকার নিরীহ মানুষ তাদের অত্যাচারের প্রতিবাদ থেকে এই সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। এই ঘটনায় আমার সংশ্লিষ্টতা নেই। এখানে চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপুর লোকজন ও বিএনপির লোকজন দ্বন্দ্ব জড়িয়েছেন।’
ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফজলুর রহমান ফাহিম বলেন, ‘জাকির ও তাঁর লোকজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও ভাঙচুরসহ লোকজনকে আহত করেছেন।’
আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘জাকিরের নির্দেশে ও খোদাদিলা গ্রামের মালেক মেম্বারের ছেলে আল আমিনের অর্থায়নে নিরীহ এলাকাবাসীর ওপর হামলা করা হয়েছে। আমরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে আমাদের লোকজনকে গুলি করে আহত করা হয়। সরকারি বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেই, সরকারের লোকজনই নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার ধান্দা। এটা রাজনৈতিক কোনো দ্বন্দ্ব নয়।’
ঘটনার পর যুবলীগ কর্মী জাকির হোসেন পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ দিনের বিরোধ রয়েছে। জাকির গ্রুপ এলাকায় প্রবেশ করতে চাইলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। খোদাদিলা গ্রামটি অনেক বড়। এক দিকে ধাওয়া করলে অন্য দিক দিয়ে পালাচ্ছেন। খবর পেয়ে ভোর থেকে আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।’
নরসিংদীতে বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের খোদাদিলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিন ও যুবলীগ কর্মী জাকির হোসেন গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জাকির গ্রুপের নেপথ্যে রয়েছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কাদির মিয়া ও জয়নাল আবেদিন গ্রুপে রয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দীপু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বজলুর রহমান ফাহিম।
আহতদের মধ্যে তিনজনের নাম জানা গেছে, তাঁরা হলেন আব্দুস সাত্তার মিয়ার ছেলে কুতুব উদ্দিন (৩৫), খোদাদিলা গ্রামের হক মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ (১৬) ও ফিরোজ মিয়ার ছেলে তৈয়ব মিয়া (১৮)। তাঁদের মধ্যে কুতুব উদ্দিন হচ্ছেন বিএনপি নেতা জয়নালের সমর্থক, তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকি দুজন কোন গ্রুপের তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ছাড়া অন্তত আরও ৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আহতদের কয়েকজন জেলা সদরের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে মেঘনা নদী ও এর শাখা নদীর নাব্যতা বৃদ্ধিতে দুই মাস আগে নদী থেকে বালু উত্তোলন শুরু হয়। প্রকল্প অনুযায়ী এসব বালু নদীর পাশে রাখার কথা হলেও প্রভাব বিস্তার করে আলোকবালী ইউনিয়নের সাতপড়া ও খোদাদিলাসহ বিভিন্ন গ্রামের ফসলি জমি, পুকুর, ডোবাসহ বিভিন্ন স্থান ভরাট করা হচ্ছে।
প্রতি শতাংশ জমি বালু দিয়ে ভরাটের জন্য জয়নাল আবেদিন ও ইউপি চেয়ারম্যানের গ্রুপকে ১০-১৫ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। এতে জাকির গ্রুপ ভাগ না পাওয়ায় ও পূর্ব আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ থেকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানান। এ ছাড়া আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জাকির গ্রুপ এলাকার বাইরে ছিল। পুনরায় গ্রুপটি এলাকায় প্রবেশ করতে চাইলে আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদ উল্লাহ বলেন, ‘যুবলীগ কর্মী জাকিরসহ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মীকে বিএনপির ইউনিয়ন শাখার সদস্যসচিব কাইয়ুম ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিনের লোকজন অত্যাচার ও নির্যাতন করে চার বছর ধরে বাড়িঘর ছাড়া করে রেখেছে। তারা জোরপূর্বক নিরীহ মানুষের বাড়িতে সরকারি প্রকল্পের বালু দিয়ে ভরাট করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। মূলত এলাকার নিরীহ মানুষ তাদের অত্যাচারের প্রতিবাদ থেকে এই সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। এই ঘটনায় আমার সংশ্লিষ্টতা নেই। এখানে চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপুর লোকজন ও বিএনপির লোকজন দ্বন্দ্ব জড়িয়েছেন।’
ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফজলুর রহমান ফাহিম বলেন, ‘জাকির ও তাঁর লোকজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও ভাঙচুরসহ লোকজনকে আহত করেছেন।’
আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘জাকিরের নির্দেশে ও খোদাদিলা গ্রামের মালেক মেম্বারের ছেলে আল আমিনের অর্থায়নে নিরীহ এলাকাবাসীর ওপর হামলা করা হয়েছে। আমরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে আমাদের লোকজনকে গুলি করে আহত করা হয়। সরকারি বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেই, সরকারের লোকজনই নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার ধান্দা। এটা রাজনৈতিক কোনো দ্বন্দ্ব নয়।’
ঘটনার পর যুবলীগ কর্মী জাকির হোসেন পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ দিনের বিরোধ রয়েছে। জাকির গ্রুপ এলাকায় প্রবেশ করতে চাইলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। খোদাদিলা গ্রামটি অনেক বড়। এক দিকে ধাওয়া করলে অন্য দিক দিয়ে পালাচ্ছেন। খবর পেয়ে ভোর থেকে আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
১৫ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
৩৯ মিনিট আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
১ ঘণ্টা আগে