পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি।
রাজবাড়ীর পাংশায় দুই লাখ টাকায় লোক ভাড়া করে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক দুবাই প্রবাসীর বিরুদ্ধে। প্রবাসীর স্ত্রী নিহতের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির সঙ্গে আরও ৫ জন ছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম—মো. শিহাব শেখ (৪৫)। তিনি পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বাজেয়াপ্ত বাগরী গ্রামের হেকমত আলী শেখের ছেলে।
আজ রোববার এসব তথ্য জানিয়েছেন পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার।
নিহত গৃহবধূ হলেন—রোজিনা ওরফে আরজিনা (৩০)। তিনি জেলার পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পাট্টা গ্রামের কালাম শেখের ছেলে লিটন শেখের স্ত্রী ও কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের কুমরীরাণী গ্রামের আকবর খাঁর মেয়ে।
নিহতের পরিবার ও গ্রেপ্তারকৃতের বরাতে পুলিশ জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে রোজিনা ও লিটন শেখের বিয়ে হয়। এরপর থেকে রোজিনা তাঁর স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন। দাম্পত্য জীবনের তাদের এক ছেলে ও একটি মেয়েসন্তান রয়েছে। সংসারের টানাপোড়নের কারণে তাদের প্রায়ই দ্বন্দ্ব হতো। তিন বছর আগে শ্বশুরবাড়ির টাকায় দুবাই পাড়ি জমান লিটন শেখ। সেখানে যাওয়ার পর মোবাইল ফোনে অন্য এক নারীকে বিয়ে করেন লিটন। বিষয়টি রোজিনা জানতে পেরে সংসারে আবারও অশান্তির সৃষ্টি হয়। সেই সূত্র ধরে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে দুই লাখ টাকা দিয়ে সন্ত্রাসী ভাড়া করে রোজিনাকে হত্যা করান লিটন।
নিহত রোজিনার বোন রিজিয়া খাতুন বলেন, ‘ঘটনার তিন দিন আগে আমরা দুই বোন বাবার বাড়িতে আসি। ঘটনার দিন দুলাভাই (লিটন) বিদেশ থেকে ফোন করে আমার বোনকে বাড়িতে যেতে বলে। পরে রোজিনাকে তাঁর স্বামীর বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আমি আমার স্বামীর বাড়িতে যাই।’
রোজিনার ভাই নাজমুল খান জানান, ঘটনার দিন রাত ১১টার দিকে রোজিনার শ্বশুর কালাম শেখ তাঁকে ফোন করে জানান তার বোন রোজিনাকে বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে তারা গিয়ে রাত ২টা পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করেন। এরপর তাঁরা বাড়ি ফিরে যান। পরদিন সকালে খবর পান রোজিনার মরদের পাওয়া গেছে।
ওই দিন রোজিনার বাবা আকবর খা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পাংশা মডেল থানায় মামলা করেন। পরে অভিযানে শিহাব শেখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোজিনা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মো. শিহাব শেখ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করি। পরে তাঁকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি পুলিশকে জানান, দুই লাখ টাকা চুক্তিতে রোজিনাকে হত্যা করা হয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘তিনি জানিয়েছেন-রোজিনার স্বামী লিটন শেখ ইন্ডিয়াতে থাকা এক বাংলাদেশি নাগরিকের মাধ্যমে এই চুক্তি করেন। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে আরও ৫ জন জড়িত রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
লিটন শেখের বড় ভাই একটি হত্যা মামলায় জেলে রয়েছে। তার বোনও নিজের স্বামীকে হত্যার অভিযোগে জেলে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
রাজবাড়ীর পাংশায় দুই লাখ টাকায় লোক ভাড়া করে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক দুবাই প্রবাসীর বিরুদ্ধে। প্রবাসীর স্ত্রী নিহতের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির সঙ্গে আরও ৫ জন ছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম—মো. শিহাব শেখ (৪৫)। তিনি পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বাজেয়াপ্ত বাগরী গ্রামের হেকমত আলী শেখের ছেলে।
আজ রোববার এসব তথ্য জানিয়েছেন পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার।
নিহত গৃহবধূ হলেন—রোজিনা ওরফে আরজিনা (৩০)। তিনি জেলার পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পাট্টা গ্রামের কালাম শেখের ছেলে লিটন শেখের স্ত্রী ও কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের কুমরীরাণী গ্রামের আকবর খাঁর মেয়ে।
নিহতের পরিবার ও গ্রেপ্তারকৃতের বরাতে পুলিশ জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে রোজিনা ও লিটন শেখের বিয়ে হয়। এরপর থেকে রোজিনা তাঁর স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন। দাম্পত্য জীবনের তাদের এক ছেলে ও একটি মেয়েসন্তান রয়েছে। সংসারের টানাপোড়নের কারণে তাদের প্রায়ই দ্বন্দ্ব হতো। তিন বছর আগে শ্বশুরবাড়ির টাকায় দুবাই পাড়ি জমান লিটন শেখ। সেখানে যাওয়ার পর মোবাইল ফোনে অন্য এক নারীকে বিয়ে করেন লিটন। বিষয়টি রোজিনা জানতে পেরে সংসারে আবারও অশান্তির সৃষ্টি হয়। সেই সূত্র ধরে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে দুই লাখ টাকা দিয়ে সন্ত্রাসী ভাড়া করে রোজিনাকে হত্যা করান লিটন।
নিহত রোজিনার বোন রিজিয়া খাতুন বলেন, ‘ঘটনার তিন দিন আগে আমরা দুই বোন বাবার বাড়িতে আসি। ঘটনার দিন দুলাভাই (লিটন) বিদেশ থেকে ফোন করে আমার বোনকে বাড়িতে যেতে বলে। পরে রোজিনাকে তাঁর স্বামীর বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আমি আমার স্বামীর বাড়িতে যাই।’
রোজিনার ভাই নাজমুল খান জানান, ঘটনার দিন রাত ১১টার দিকে রোজিনার শ্বশুর কালাম শেখ তাঁকে ফোন করে জানান তার বোন রোজিনাকে বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে তারা গিয়ে রাত ২টা পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করেন। এরপর তাঁরা বাড়ি ফিরে যান। পরদিন সকালে খবর পান রোজিনার মরদের পাওয়া গেছে।
ওই দিন রোজিনার বাবা আকবর খা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পাংশা মডেল থানায় মামলা করেন। পরে অভিযানে শিহাব শেখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোজিনা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মো. শিহাব শেখ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করি। পরে তাঁকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি পুলিশকে জানান, দুই লাখ টাকা চুক্তিতে রোজিনাকে হত্যা করা হয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘তিনি জানিয়েছেন-রোজিনার স্বামী লিটন শেখ ইন্ডিয়াতে থাকা এক বাংলাদেশি নাগরিকের মাধ্যমে এই চুক্তি করেন। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে আরও ৫ জন জড়িত রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
লিটন শেখের বড় ভাই একটি হত্যা মামলায় জেলে রয়েছে। তার বোনও নিজের স্বামীকে হত্যার অভিযোগে জেলে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ডিসেম্বরের ২০ তারিখ বিয়ে। অনুষ্ঠানের জন্য ঠিক করা হয়েছে ক্লাবও। পরিবারের পক্ষ থেকে চলছিল কেনাকাটাসহ বিয়ের নানা আয়োজন। এরমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ইশরাত জাহান তামান্না (২০)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
২৫ মিনিট আগেরাজশাহীতে দুই পক্ষের মীমাংসার সময় বিএনপির এক নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের ভদ্রা এলাকায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান মন্টুর ওপর এ হামলা হয়। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেচাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব এলাকার সাহেলা বেগম নিজের ও তাঁর সন্তানের চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় ফেরত যেতে বাধ্য হন তিনি। অন্যদিকে চরমথুরার শ্বাসকষ্টের রোগী আবুল কালাম সকাল ১০টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়ে দুপুর ১২টার সময়ও চিকিৎসক দেখাতে
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৫৯ কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একই কারণে সিটি করপোরেশনের স্থায়ী দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে