বকেয়া পাওনা পরিশোধ করে বন্ধ পাটকল চালুর দাবিতে বিজেএমসি ঘেরাও

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২২, ১৪: ২৫

বন্ধ হয়ে যাওয়া পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ, সকল রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালু ও আধুনিকায়ন এবং শ্রমিকদের নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি) ঘেরাও করেছে পাটকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে বিজেএমসি ঘেরাও করে সংগঠনটি। 

শ্রমিক সমাবেশে পাটকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যের আহ্বায়ক রুহুল আমিন বলেন, ‘স্বাধীনতা উত্তর সময়ে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে পাট ও পাটজাত পণ্যের ভূমিকার কারণে পাটকে সোনালি আঁশ বলা হতো। কিন্তু আশির দশক থেকে সিনথেটিক দ্রব্যের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী পাটপণ্যের চাহিদা কমতে থাকে এবং বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়ে। আর এ সময়ে বাংলাদেশে গড়ে ওঠে গার্মেন্টস শিল্প, যার কাঁচামাল থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুই আমদানি করতে হয় বিদেশ থেকে। কিন্তু বর্তমান সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী পাটপণ্যের চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়ার ফলে পাট ও পাটপণ্যের সুদিন ফিরে এসেছে।’ 

রুহুল আমিন বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি গড়ে উঠতে পারে পাট ও পাট শিল্পকে কেন্দ্র করেই। অথচ সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা না করে, সামগ্রিকভাবে পাট-শিল্পকে বিকশিত করার কোনো পরিকল্পনা হাতে না নিয়ে কেবলমাত্র লসের অজুহাত দেখিয়ে ২০২০ সালের ২ জুলাই সরকার একযোগে রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি পাটকল বন্ধ ঘোষণা করে দেয়। এটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়।’ 

রুহুল আমিন আরও বলেন, ‘গত ৫০ বছরে ৭৮টি পাটকলে যেখানে লোকসানের পরিমাণ ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, সেখানে বিদ্যুৎ খাতের রেন্টাল সেক্টরে গত এক বছরে ভর্তুকি দিতে হয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা। যেখানে দরকার ছিল পাটকলের লোকসানের কারণ অনুসন্ধান করে তা দূর করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া, অথচ সেটা না করে প্লাস্টিক ব্যবসায়ী পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীসহ সিনথেটিক ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করতে বন্ধ করে দেওয়া হলো সর্বশেষ ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল। ফলে কর্মহারা হলো ৭০ হাজার শ্রমিক, চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে প্রতিটি পাটকল এলাকার স্থানীয় অর্থনীতি-জনজীবন।’ 

শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালু থাকা অবস্থায় তারা (বিজেএমসি) মোট উৎপাদিত পাটের ৩০-৩৫% কাঁচা পাট বিক্রি করত সরকার নির্ধারিত দামে। ফলে অবশিষ্ট বেসরকারি পাটকল মালিকেরা তার কাছাকাছি দামে পাট কিনতে বাধ্য হতো। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগটাও থাকল না। ফলে এখন পাটচাষিদের অবস্থা হবে ভয়াবহ।’ 

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন পাটকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যের সংগঠক নিয়াজ মোর্শেদ দুলাল, মিহীর বৈদ্যনাথ, আলমগীর হোসেন, মো. রুবেল হোসেন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে নেতা–কর্মীরা প্রেসক্লাব থেকে গুলিস্তান হয়ে বিজেএমসি ভবনে যান এবং সেখানে সমাবেশ করেন। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত