নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে এবার মামলা করেছেন এক সংগীতশিল্পী।
পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেছেন জনৈক ইলিয়াস হোসেন। তিনি নিজেকে একজন সংগীতশিল্পী বলে দাবি করেছেন।
এর আগে গতকাল নুরের বিরুদ্ধে একই ধারায় মামলা করেন আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম সজীব। তিনি শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
দুই মামলার এজাহারে প্রায় একই অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গত বুধবার নুরুল হক নুর ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও সমর্থকরা প্রকৃত মুসলমান নয়। প্রকৃত কোনো মুসলমান আওয়ামী লীগ করতে পারে না।’ এমন বক্তব্যে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করা মুসলমানদের ধর্মীয় মূল্যবোধে নুর আঘাত হেনেছেন।
গতকাল রাতে সংগীতশিল্পী পরিচয় দেওয়া ইলিয়াস হোসেন পল্টন থানায় নুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আজ বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইলিয়াস হোসেন মামলার এজাহারে বলেছেন, নুর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানে এমন আপত্তিকর, আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিচ্ছেন, যার উল্লেখযোগ্য অংশ হলো যারা আওয়ামী লীগ করে তারা ধান্দাবাজ, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, চিটার, বাটপার, প্রকৃত কোনো মুসলমান আওয়ামী লীগ করতে পারে না- ইত্যাদি উসকানিমূলক বক্তব্যসহ ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানে এমন আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন। এ ভিডিও অজ্ঞাতপরিচয় অসংখ্য ফেসবুক আইডি ও ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট ও শেয়ার করা হয়েছে। যাতে অসংখ্য সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারী লাইক ও কমেন্টের মাধ্যমে তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন। যার ভেতর অনেক সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কমেন্ট রয়েছে। এমন বক্তব্যে আওয়ামী সমর্থন করা মুসলমানদের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হেনেছে।
ইলিয়াস হোসেন নিজেকে সংগীতশিল্পী পরিচয় দিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বনামধন্য একটা দল, আমি এই দলেরই একজন সমর্থক। স্পষ্টভাবেই সে (নুর) বলেছে, যারা প্রকৃত মুসলমান তারা আওয়ামী লীগ করতে পারে না। এই দল যারা করে তারা চিটার, বাটপার। তার এই কথা আমার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। আমার ধারণা নিশ্চয় পুলিশ এটাকে আমলে নিবে এবং তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
গত বুধবার নুরুল হক নুর তার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাকর্মীদের তীব্র সমালোচনা করেন। নুর বলেন, তারা মুসলমান না। তাদের কোনো বিশ্বাস নেই। একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন, তাদের কেউ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন কিনা। তারা শরিয়াহ ও সুন্নাহ অনুসারে নিজেদের জীবনযাপন করছে না।
তিনি লাইভে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ‘চাঁদাবাজ’, ‘মাদক চোরাকারবারি’, ‘ধোঁকাবাজ’, ‘বাটপার’ বলে মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা ঘুষ নেয়, চাঁদাবাজি, মাদক চোরাচালান এবং টেন্ডার ব্যবসা করেন। আবার নিজেদের মুসলমানও দাবি করেন। কোনো মুসলমান আওয়ামী লীগের সমর্থন করতে পারেন না। যারা আওয়ামী লীগ সমর্থন করেন, তারা প্রকৃত মুসলমান নয়।
এদিকে মামলা হওয়ার পর ফেসবুকে দেওয়া নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন নুরুল হক নুর। গতকাল রাতে ফেসবুক লাইভ এসে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
নুর বলেন, আমি ১৬ তারিখের লাইভে অত্যন্ত যৌক্তিকভাবে বলেছিলাম, আপনি নিজে রোজা থাকবেন কিন্তু অন্যকে রোজা থাকতে দেবেন না, অধিকার আদায়ের কথা বললে দমন-নিপীড়ন করবেন, কারাগারে নেবেন, অসুস্থ মানুষকে কারাগারে ওষুধ পর্যন্ত পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবেন না। অবশ্যই এগুলো জঘন্য কাজ। মানবতাবিরোধী এমন কাজের সমালোচনা করা উচিত। এ ঘটনাগুলো ব্যাখ্যা করার জন্য স্বাভাবিকভাবে রাগ-ক্ষোভ থেকে ওইদিন কিছু কথা বলেছিলাম।
নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নুর বলেন, “আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের মধ্যে আমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমি চাইব না তারা আমার প্রতি ক্ষুব্ধ হোক। ১৬ তারিখে দেওয়া বক্তব্যের জন্য কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি ১৭ তারিখ লাইভেও এটা বলেছি, আবারও বলছি। সেদিনের লাইভের বক্তব্যের জন্য কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। মানুষ মাত্রই ভুল, তাই আমার ভুলের জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ওই বক্তব্যকে পুঁজি করে হয়রানি করার জন্য মামলা করা পুরোপুরি একটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
ঢাকা: ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে এবার মামলা করেছেন এক সংগীতশিল্পী।
পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেছেন জনৈক ইলিয়াস হোসেন। তিনি নিজেকে একজন সংগীতশিল্পী বলে দাবি করেছেন।
এর আগে গতকাল নুরের বিরুদ্ধে একই ধারায় মামলা করেন আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম সজীব। তিনি শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
দুই মামলার এজাহারে প্রায় একই অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গত বুধবার নুরুল হক নুর ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও সমর্থকরা প্রকৃত মুসলমান নয়। প্রকৃত কোনো মুসলমান আওয়ামী লীগ করতে পারে না।’ এমন বক্তব্যে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করা মুসলমানদের ধর্মীয় মূল্যবোধে নুর আঘাত হেনেছেন।
গতকাল রাতে সংগীতশিল্পী পরিচয় দেওয়া ইলিয়াস হোসেন পল্টন থানায় নুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আজ বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইলিয়াস হোসেন মামলার এজাহারে বলেছেন, নুর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানে এমন আপত্তিকর, আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিচ্ছেন, যার উল্লেখযোগ্য অংশ হলো যারা আওয়ামী লীগ করে তারা ধান্দাবাজ, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, চিটার, বাটপার, প্রকৃত কোনো মুসলমান আওয়ামী লীগ করতে পারে না- ইত্যাদি উসকানিমূলক বক্তব্যসহ ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানে এমন আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন। এ ভিডিও অজ্ঞাতপরিচয় অসংখ্য ফেসবুক আইডি ও ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট ও শেয়ার করা হয়েছে। যাতে অসংখ্য সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারী লাইক ও কমেন্টের মাধ্যমে তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন। যার ভেতর অনেক সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কমেন্ট রয়েছে। এমন বক্তব্যে আওয়ামী সমর্থন করা মুসলমানদের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হেনেছে।
ইলিয়াস হোসেন নিজেকে সংগীতশিল্পী পরিচয় দিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বনামধন্য একটা দল, আমি এই দলেরই একজন সমর্থক। স্পষ্টভাবেই সে (নুর) বলেছে, যারা প্রকৃত মুসলমান তারা আওয়ামী লীগ করতে পারে না। এই দল যারা করে তারা চিটার, বাটপার। তার এই কথা আমার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। আমার ধারণা নিশ্চয় পুলিশ এটাকে আমলে নিবে এবং তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
গত বুধবার নুরুল হক নুর তার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাকর্মীদের তীব্র সমালোচনা করেন। নুর বলেন, তারা মুসলমান না। তাদের কোনো বিশ্বাস নেই। একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন, তাদের কেউ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন কিনা। তারা শরিয়াহ ও সুন্নাহ অনুসারে নিজেদের জীবনযাপন করছে না।
তিনি লাইভে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ‘চাঁদাবাজ’, ‘মাদক চোরাকারবারি’, ‘ধোঁকাবাজ’, ‘বাটপার’ বলে মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা ঘুষ নেয়, চাঁদাবাজি, মাদক চোরাচালান এবং টেন্ডার ব্যবসা করেন। আবার নিজেদের মুসলমানও দাবি করেন। কোনো মুসলমান আওয়ামী লীগের সমর্থন করতে পারেন না। যারা আওয়ামী লীগ সমর্থন করেন, তারা প্রকৃত মুসলমান নয়।
এদিকে মামলা হওয়ার পর ফেসবুকে দেওয়া নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন নুরুল হক নুর। গতকাল রাতে ফেসবুক লাইভ এসে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
নুর বলেন, আমি ১৬ তারিখের লাইভে অত্যন্ত যৌক্তিকভাবে বলেছিলাম, আপনি নিজে রোজা থাকবেন কিন্তু অন্যকে রোজা থাকতে দেবেন না, অধিকার আদায়ের কথা বললে দমন-নিপীড়ন করবেন, কারাগারে নেবেন, অসুস্থ মানুষকে কারাগারে ওষুধ পর্যন্ত পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবেন না। অবশ্যই এগুলো জঘন্য কাজ। মানবতাবিরোধী এমন কাজের সমালোচনা করা উচিত। এ ঘটনাগুলো ব্যাখ্যা করার জন্য স্বাভাবিকভাবে রাগ-ক্ষোভ থেকে ওইদিন কিছু কথা বলেছিলাম।
নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নুর বলেন, “আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের মধ্যে আমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমি চাইব না তারা আমার প্রতি ক্ষুব্ধ হোক। ১৬ তারিখে দেওয়া বক্তব্যের জন্য কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি ১৭ তারিখ লাইভেও এটা বলেছি, আবারও বলছি। সেদিনের লাইভের বক্তব্যের জন্য কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। মানুষ মাত্রই ভুল, তাই আমার ভুলের জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ওই বক্তব্যকে পুঁজি করে হয়রানি করার জন্য মামলা করা পুরোপুরি একটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
২ মিনিট আগেব্যবসায়ীদের সংগঠন দ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদের ২০২৪-২৬ মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। সংগঠনটিতে ২২ জন পরিচালকের মধ্যে চারজন ট্রেড গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যে মনোনীত হয়েছেন। ভোটাভুটি হবে ১৮ পরিচালক পদে। এর মধ্যে ১৩ জন সাধারণ ও ৫ জন সহযোগী পরিচালক।
২২ মিনিট আগেঘূর্ণিঝড় মিধিলির সময় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারসহ নিখোঁজ বরগুনার পাথরঘাটার ২৫ জেলে এক বছরেও ফেরেননি। তাঁরা আদৌ বেঁচে আছেন কি-না, জানেন না স্বজনেরা। তবু প্রিয়জনের আশায় বুক বেঁধে নীরব অপেক্ষায় দিন কাটছে এসব জেলের পরিবারের সদস্যদের।
৩৩ মিনিট আগেঅধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘৫ আগস্টের চার দিন আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর চার দিনও টিকতে পারেনি আওয়ামী লীগ। জনরোষে পড়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা ও তাঁর আত্মীয়স্বজন। তাঁর বিচার জনগণই করবে। তারা নির্বাচনে আসতে পারবে কি না, সেটি জনগণের ওপর নির্ভর করবে...
১ ঘণ্টা আগে