চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার নির্বাচন কাল, রাজনৈতিক প্রভাবে ভোটের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০: ২০
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০: ৩৭

ব্যবসায়ীদের সংগঠন দ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদের ২০২৪-২৬ মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। সংগঠনটিতে ২২ জন পরিচালকের মধ্যে চারজন ট্রেড গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যে মনোনীত হয়েছেন। ভোটাভুটি হবে ১৮ পরিচালক পদে। এর মধ্যে ১৩ জন সাধারণ ও ৫ জন সহযোগী পরিচালক। এ জন্য লড়বেন ৩৬ জন প্রার্থী।

এবারের নির্বাচনে সম্মিলিত ব্যবসায়ী স্বার্থ উন্নয়ন ফোরামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন চেম্বারের বর্তমান সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ। অন্যদিকে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের যৌথভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্যবসায়ী হারুন অর রশীদ, আনোয়ার হোসেন ও তরিকুল আলম। আজ শহরের পুরাতন বাজারের চেম্বার ভবনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। এতে ভোট দেবেন ১ হাজার ২৭৬ জন সাধারণ এবং ১৭৮ জন সহযোগী ভোটার।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রভাবমুক্ত থাকায় নির্বাচন বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। তবে এবারের চেম্বার নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত প্রভাব বিস্তার করছে। এ নিয়ে ব্যবসায়ী মহলে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এ ছাড়া নির্বাচনে একটি পক্ষ পেশিশক্তি প্রয়োগ করে বিশৃঙ্খলা করতে পারে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। এসব কারণে ভোটের পরিবেশ নিয়ে নানা শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি হারুনুর রশীদ এবং জামায়াত নেতা ও সাবেক এমপি লতিফুর রহমান, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক তবিউল ইসলাম তারিফকে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের মঞ্চে দেখা গেছে। যদিও চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপি এবং জামায়াত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। অপর দিকে সাবেক ছাত্রদল নেতা আব্দুল ওয়াহেদের নেতৃত্বাধীন প্যানেল ব্যবসায়ী স্বার্থ উন্নয়ন ফোরামের মঞ্চে ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া, সদস্যসচিব মো. রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ওবায়েদ পাঠান এবং শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল হক হায়দারী।

সার্বিক বিষয়ে নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোলাইমান বিষু বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সবাই যেন সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারেন, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত