মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুরে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও তাঁর স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসাসহ ১৬৮ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ বুধবার মামলার বাদী সদর উপজেলার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী হাসনাত জামান আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলাটি প্রত্যাহার করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এহান উদ্দীন মনা এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘বুধবার মামলা বাদী হাসনাত জামাল আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের কাছে হাজির হয়ে মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। পরে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি প্রত্যাহারের আদেশ দেন।’
এ সময় মামলার বাদী হাসনাত জামান বলেন, ‘আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট ছাত্রলীগের ছেলেরা আমাকে মারধর করে। আমাকে যারা মারধর করেছিল তাদের বিরুদ্ধে আমি মামলা করেছি, কিন্তু আমাকে না জানিয়ে বা ভুলবশত যে কোনোভাবে আমাকে বাদী করে এতজনের বিরুদ্ধে মামলাটা করা হয়েছে।’
‘পরে আমি তালিকা দেখার পরে বুঝতে পারি এখানে অনেক নির্দোষ, যারা কোনোভাবে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়—এমন অনেকের নাম দেওয়া হয়েছে। এখানে ১৬৮ জনকে আসামি করা হয়েছিল কিন্তু আমি খেয়াল করে দেখছি যারা অপরাধী, আমাকে মেরেছিল তারা অনেকেই এখানে নেই। তাই আমি সজ্ঞানে, স্বেচ্ছায় মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বাদী হলেও মামলার তালিকা সম্পর্কে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। যখন আমার স্বাক্ষর নেওয়া হয় তখন আমাকে বলা হয়েছিল, আমি মার খেয়েছি সে জন্য আমার স্বাক্ষরটা লাগবে। যখন আমাকে মামলার তালিকা দেখানো হয় তখন যারা আমাকে মেরেছিল তাদের কয়েকজনের নাম ছিল।
‘মামলা হওয়ার পরে তালিকায় অনেক নির্দোষ নিরপরাধ মানুষ যাদের অনেককে আমি চিনিই না তাদের জড়ানো হয়েছে। যারা সাক্ষী আছে তারাও বেশির ভাগ নাম জানে না।’
মামলার সাক্ষী ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের ওপর যারা হামলা করেছিল, আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলার পদক্ষেপ নিই। মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করা হয়। যার মামলা নম্বর ১/২০২৪। পরবর্তীকালে মামলার তালিকায় দেখি অনেক মানুষ আছে যারা মারা গেছে, চাকরিজীবী আছে, অনেকে বিদেশে আছে তাদের নামও যুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তারা তো নিরপরাধ তাদের নামে কেন মামলা হবে। যেহেতু আমরা কোনো নির্দোষকে শাস্তি দিতে চাই না, আমরা কোনো অন্যায় সাক্ষী দিতে চাই না। তাই আমরা সকল সাক্ষী বাদীর সঙ্গে আলোচনা করে স্বেচ্ছায় মামলা প্রত্যাহার করেছি।’
আরও খবর পড়ুন:
মেহেরপুরে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও তাঁর স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসাসহ ১৬৮ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ বুধবার মামলার বাদী সদর উপজেলার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী হাসনাত জামান আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলাটি প্রত্যাহার করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এহান উদ্দীন মনা এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘বুধবার মামলা বাদী হাসনাত জামাল আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের কাছে হাজির হয়ে মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। পরে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি প্রত্যাহারের আদেশ দেন।’
এ সময় মামলার বাদী হাসনাত জামান বলেন, ‘আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট ছাত্রলীগের ছেলেরা আমাকে মারধর করে। আমাকে যারা মারধর করেছিল তাদের বিরুদ্ধে আমি মামলা করেছি, কিন্তু আমাকে না জানিয়ে বা ভুলবশত যে কোনোভাবে আমাকে বাদী করে এতজনের বিরুদ্ধে মামলাটা করা হয়েছে।’
‘পরে আমি তালিকা দেখার পরে বুঝতে পারি এখানে অনেক নির্দোষ, যারা কোনোভাবে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়—এমন অনেকের নাম দেওয়া হয়েছে। এখানে ১৬৮ জনকে আসামি করা হয়েছিল কিন্তু আমি খেয়াল করে দেখছি যারা অপরাধী, আমাকে মেরেছিল তারা অনেকেই এখানে নেই। তাই আমি সজ্ঞানে, স্বেচ্ছায় মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বাদী হলেও মামলার তালিকা সম্পর্কে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। যখন আমার স্বাক্ষর নেওয়া হয় তখন আমাকে বলা হয়েছিল, আমি মার খেয়েছি সে জন্য আমার স্বাক্ষরটা লাগবে। যখন আমাকে মামলার তালিকা দেখানো হয় তখন যারা আমাকে মেরেছিল তাদের কয়েকজনের নাম ছিল।
‘মামলা হওয়ার পরে তালিকায় অনেক নির্দোষ নিরপরাধ মানুষ যাদের অনেককে আমি চিনিই না তাদের জড়ানো হয়েছে। যারা সাক্ষী আছে তারাও বেশির ভাগ নাম জানে না।’
মামলার সাক্ষী ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের ওপর যারা হামলা করেছিল, আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলার পদক্ষেপ নিই। মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করা হয়। যার মামলা নম্বর ১/২০২৪। পরবর্তীকালে মামলার তালিকায় দেখি অনেক মানুষ আছে যারা মারা গেছে, চাকরিজীবী আছে, অনেকে বিদেশে আছে তাদের নামও যুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তারা তো নিরপরাধ তাদের নামে কেন মামলা হবে। যেহেতু আমরা কোনো নির্দোষকে শাস্তি দিতে চাই না, আমরা কোনো অন্যায় সাক্ষী দিতে চাই না। তাই আমরা সকল সাক্ষী বাদীর সঙ্গে আলোচনা করে স্বেচ্ছায় মামলা প্রত্যাহার করেছি।’
আরও খবর পড়ুন:
বরগুনার তালতলীর জেলেরা নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল দিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে দেদার নিধন করছেন মাছের পোনাসহ ছোট চিংড়ি। এতে ধ্বংস হচ্ছে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য। এ ক্ষেত্রে দাদন ব্যবসায়ীরা মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা প্রশাসনকে হাত করতে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা তোলেন। তবে সরকারি কর্মকর্তারা এ অভিযোগ...
১ few সেকেন্ড আগেডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৭ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৭ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৮ ঘণ্টা আগে