বাগেরহাট প্রতিনিধি
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সমর্থন করে বাগেরহাটে শিক্ষার্থীদের আঁকা গ্রাফিতি, দেয়াল চিত্র ও লেখন মুছে দেওয়া হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দেয়ালে লেখা ও আঁকা গ্রাফিতি মুছে ফেলেন ৮-১০ জন ব্যক্তি। এ সময় তাঁদের পাশেই ছিলেন বিদ্যালয়টির কয়েকজন শিক্ষক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়টির দেয়ালে কোটা আন্দোলনের পক্ষে শিক্ষার্থীদের লেখা ও আঁকা গ্রাফিতি মুছতে শুরু করেন কয়েক জন। সেখানে পুরো দেয়ালে রং করা হচ্ছে না। তুলি-ব্রাশের সাহায্যে কেবল যে সব স্থানে লেখা ও আঁকা ছিল তা রং দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। এই কাজে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা নিজেদের বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধানের নির্দেশে এগুলো মোছা হচ্ছে।
গত ১৯ জুলাই দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে ও আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী নিজ বিদ্যালয়ের দেয়ালে নানা স্লোগান লিখে প্রতিবাদ জানায়। ‘বুকের ভেতর দারুণ জড়, বুক পেতেছি গুলি কর, দমায় রাখতে পারেনি, পারবে না, বিদ্যালাভে লোকসান, নাহি অর্থ নাহি মান, হীরক রাজা বুদ্ধিমান, রক্তের দাম চাই’—স্লোগান লেখা হয়। ১৯ জুলাইয়ের পাশাপাশি গেল দুই-তিন দিনের আঁকা গ্রাফিতিগুলোও মুছে ফেলতে দেখা যায়।
ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা কয়েকজন পথচারী বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ৮-১০ জন তরুণী বিদ্যালয়ের দেয়ালে ‘আমার ভাই মরল কেন?, দিনে আটক, রাতে নাটক, ‘গুলি করে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’সহ বিভিন্ন স্লোগানের পাশাপাশি দেয়াল চিত্র আঁকতে শুরু করে। এর কিছু সময়ের মাঝে সাদা পোশাকে আসা পুলিশের এক সদস্য সেখানে দেয়ালের ছবি তোলেন। সে সময় কয়েকজন তরুণী পাশে লুকিয়ে যায়। একটু অপেক্ষার পর মোটরসাইকেলে আসা পুলিশের আরেক সদস্য তাঁকে (সাদা পোশাক পরা) নিয়ে যায়। পরে ওই তরুণীরা আবারও সেখানে এসে কিছু সময় আঁকা-আঁকি করে। এরই মাঝে বেলা ১১টার দিকে পুলিশের একটি গাড়ি সেখানে আসে। তবে তারই আগে দেয়াল চিত্র আঁকা ও লেখা তরুণীরা ওই এলাকা ত্যাগ করে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমানের মোবাইল নম্বরে কল দেওয়া হয়। ওসি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার জানা নেই।’
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় দুই বাসিন্দা বলেন, দুপুরের পর ডিএসবি’র (জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার) পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি তাঁর মোবাইলে থাকা লেখা ও আঁকায় অংশ নেওয়া মেয়ে শিক্ষার্থীদের ছবি দেখিয়ে তাদের পরিচয় জানতে চেয়েছেন।
দেয়ালে লেখা-আঁকা গ্রাফিতি মোছার কাজে নিয়োজিত একজন নিজেকে বিদ্যালয়টির অফিস সহকারী পরিচয় দেওয়া মো. তহিদুল ইসলাম। দেয়াল লেখন ও গ্রাফিতি মোছার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো আমার প্রতিষ্ঠান প্রধান ভালো জানে। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন ওয়ালের লেখনী মুছতে।’
বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতা রানী বিশ্বাস বলেন, ‘অনেক আগে থেকে দেয়ালে কোনো কিছু লেখাই নিষেধ। দেয়াল লেখা থাকলে দেয়ালটা অপরিষ্কার দেখায়, এই জন্য মুছে দেওয়া হচ্ছে।’
শিক্ষার্থীদের ছবি তোলার বিষয়টি জানতে চাইলে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বিষয়ে বাগেরহাট পুলিশ খুবই সহনশীল, ছাত্রীদের বিষয়ে আরও। এ ধরনের কাজ পুলিশ কখনোই করবে না। কেউ করলে তার নাম-পরিচয় দিতে বলেন।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সমর্থন করে বাগেরহাটে শিক্ষার্থীদের আঁকা গ্রাফিতি, দেয়াল চিত্র ও লেখন মুছে দেওয়া হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দেয়ালে লেখা ও আঁকা গ্রাফিতি মুছে ফেলেন ৮-১০ জন ব্যক্তি। এ সময় তাঁদের পাশেই ছিলেন বিদ্যালয়টির কয়েকজন শিক্ষক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়টির দেয়ালে কোটা আন্দোলনের পক্ষে শিক্ষার্থীদের লেখা ও আঁকা গ্রাফিতি মুছতে শুরু করেন কয়েক জন। সেখানে পুরো দেয়ালে রং করা হচ্ছে না। তুলি-ব্রাশের সাহায্যে কেবল যে সব স্থানে লেখা ও আঁকা ছিল তা রং দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। এই কাজে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা নিজেদের বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধানের নির্দেশে এগুলো মোছা হচ্ছে।
গত ১৯ জুলাই দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে ও আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী নিজ বিদ্যালয়ের দেয়ালে নানা স্লোগান লিখে প্রতিবাদ জানায়। ‘বুকের ভেতর দারুণ জড়, বুক পেতেছি গুলি কর, দমায় রাখতে পারেনি, পারবে না, বিদ্যালাভে লোকসান, নাহি অর্থ নাহি মান, হীরক রাজা বুদ্ধিমান, রক্তের দাম চাই’—স্লোগান লেখা হয়। ১৯ জুলাইয়ের পাশাপাশি গেল দুই-তিন দিনের আঁকা গ্রাফিতিগুলোও মুছে ফেলতে দেখা যায়।
ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা কয়েকজন পথচারী বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ৮-১০ জন তরুণী বিদ্যালয়ের দেয়ালে ‘আমার ভাই মরল কেন?, দিনে আটক, রাতে নাটক, ‘গুলি করে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’সহ বিভিন্ন স্লোগানের পাশাপাশি দেয়াল চিত্র আঁকতে শুরু করে। এর কিছু সময়ের মাঝে সাদা পোশাকে আসা পুলিশের এক সদস্য সেখানে দেয়ালের ছবি তোলেন। সে সময় কয়েকজন তরুণী পাশে লুকিয়ে যায়। একটু অপেক্ষার পর মোটরসাইকেলে আসা পুলিশের আরেক সদস্য তাঁকে (সাদা পোশাক পরা) নিয়ে যায়। পরে ওই তরুণীরা আবারও সেখানে এসে কিছু সময় আঁকা-আঁকি করে। এরই মাঝে বেলা ১১টার দিকে পুলিশের একটি গাড়ি সেখানে আসে। তবে তারই আগে দেয়াল চিত্র আঁকা ও লেখা তরুণীরা ওই এলাকা ত্যাগ করে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমানের মোবাইল নম্বরে কল দেওয়া হয়। ওসি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার জানা নেই।’
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় দুই বাসিন্দা বলেন, দুপুরের পর ডিএসবি’র (জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার) পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি তাঁর মোবাইলে থাকা লেখা ও আঁকায় অংশ নেওয়া মেয়ে শিক্ষার্থীদের ছবি দেখিয়ে তাদের পরিচয় জানতে চেয়েছেন।
দেয়ালে লেখা-আঁকা গ্রাফিতি মোছার কাজে নিয়োজিত একজন নিজেকে বিদ্যালয়টির অফিস সহকারী পরিচয় দেওয়া মো. তহিদুল ইসলাম। দেয়াল লেখন ও গ্রাফিতি মোছার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো আমার প্রতিষ্ঠান প্রধান ভালো জানে। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন ওয়ালের লেখনী মুছতে।’
বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতা রানী বিশ্বাস বলেন, ‘অনেক আগে থেকে দেয়ালে কোনো কিছু লেখাই নিষেধ। দেয়াল লেখা থাকলে দেয়ালটা অপরিষ্কার দেখায়, এই জন্য মুছে দেওয়া হচ্ছে।’
শিক্ষার্থীদের ছবি তোলার বিষয়টি জানতে চাইলে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বিষয়ে বাগেরহাট পুলিশ খুবই সহনশীল, ছাত্রীদের বিষয়ে আরও। এ ধরনের কাজ পুলিশ কখনোই করবে না। কেউ করলে তার নাম-পরিচয় দিতে বলেন।’
রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন ভাইগদিয়া এলাকায় মো. নয়ন আহম্মেদ ওরফে রমজান নামের এক যুবককে পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয় জনতা। গতকাল বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রমজানের এক সহযোগীকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের খোলা স্পটে বর্জ্য অপসারণের সময় বোমা বিস্ফোরণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চারজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন মো. আলমগীর হোসেন (৩৬), মো. ইয়াছিন (৪০), আসাদ মিয়া (৫৮) ও সাইফুল ইসলাম (৪৭)। আহত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বর্তমানে রাজধানীর শহীদ সোহ্রাওয
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বনশ্রীতে লেগুনা স্ট্যান্ডের টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে মো. হাসান হাওলাদার (১৯) হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে রামপুরা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষার সময় সূচি পরিবর্তন করে ওই স্কুল মাঠে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুরের জনসভা হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
৩ ঘণ্টা আগে