প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার সম্ভাবনাময় তাঁত শিল্পে পড়েনি আধুনিকতার ছাপ। তাঁত বোর্ড উদ্যোগ নেওয়ার কথা বললেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। কোন রকম প্রতিরোধ ছাড়াই খালি হাতে বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে রং এর কাজ করছেন এখানকার তাঁত শ্রমিকেরা। কেমিক্যালযুক্ত বিষাক্ত পানি দূষিত করছে গড়াই নদীর পানি। এর পাশাপাশি করোনার মন্দার থাবা পড়েছে এই শিল্পে। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেক শ্রমিক।
কুষ্টিয়া তাঁত বোর্ডের তথ্য মতে, জেলায় ১৫ হাজার পাওয়ার লুম ও ২ হাজার হ্যান্ডলুমে ১ লাখ ৪০ হাজার শ্রমিক কাজ করে। কুমারখালী, খোকসা ও সদর উপজেলার এসব মানুষের জীবন জীবিকা নির্ভর করে তাঁতশিল্পের ওপর। কিন্তু করোনাকালীন সময়ে আয় কমে যাওয়ায় কষ্টে দিন কাটাচ্ছে এ শ্রমিকেরা। তাঁত মালিকরাও রয়েছে অর্থনৈতিক সংকটে। এই শিল্পের সাথে জড়িত হাজার-হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ছে। বাধ্য হয়ে অনেকে পেশা বদল করছে।
কুষ্টিয়ার তাঁতশ্রমিকদের একটি বড় অংশ সুতা তৈরি ও সুতায় রঙের কাজ করেন। আর রঙের কাজে এসিডসহ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। আর শ্রমিকেরা কোন ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা না নিয়ে খালি হাতেই এসব কেমিক্যালে সুতা ডুবিয়ে দিচ্ছেন, নাড়াচাড়া করছেন। এতে তাঁরা বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কুমারখালীর শ্রমিক আমিরুল ইসলাম বলেন, লাল আর কমলা এই দুটো রঙে অ্যালার্জি বাড়ে। এই রঙের কাজ করতে গিয়ে বয়স্ক শ্রমিকদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সেলিম হোসেন বলেন, বেশির ভাগ শ্রমিকেরই হাঁপানি হয়ে যাচ্ছে।
এভাবে কাজ করলে চর্মরোগ ছাড়াও নানা শারীরিক ক্ষতির আশঙ্কা চিকিৎসকদের। ডা. মো. আকুল উদ্দিন বলেন, এই রঙের কেমিক্যাল শরীরের সংস্পর্শে আসলে চর্মে আলসার হয়, ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে।
শুধু তাই নয় এসব কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি সরাসরি নালার মাধ্যমে গড়াই নদীতে ফেলা হচ্ছে। এভাবে পানি দূষণে জীববৈচিত্র্যও ক্ষতির মুখে পড়ছে। পরিবেশবিদ গৌতম কুমার রায় বলেন, কাপড়ের এই রং মিশে জলাভূমির জলজ সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে। তবে এসব সমস্যা সমাধানে তাঁত শিল্পকে ডিজিটাল করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তাঁত বোর্ডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. মেহেদী হাসান বলেন, কুমারখালীতে তরল বর্জ্য পরিশোধনাগারও নির্মাণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে রং ও কেমিক্যালযুক্ত পানি পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করা হবে। এ ছাড়া হাতের মাধ্যমে যে কাজ হতো তা যন্ত্রের মাধ্যমে করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
সনাতন পদ্ধতির তাঁত ফেলে দিয়ে চীনের রেপিয়র তাঁত আমদানি করেছে অনেক ব্যবসায়ী। এভাবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানান রানা টেক্সটাইল এর পরিচালক শিল্পপতি মাসুদ রানা।
এস্টাবলিশমেন্ট অব থ্রি হ্যান্ডলুম সার্ভিস সেন্টারস ইন ডিফারেন্ট লুম ইনটেনসিভ এরিয়া (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের কাজও চলছে কুষ্টিয়ায়। এর আওতায় সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ৩টি সার্ভিস সেন্টারের একটি বসানো হচ্ছে কুষ্টিয়ায়। এ ছাড়াও বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের ৫টি বেসিক সেন্টারে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র,১টি ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট ও ২টি মার্কেট প্রমোশন কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পেও যুক্ত আছে কুষ্টিয়া। দেশে দক্ষ বস্ত্র প্রযুক্তিবিদ তৈরি এবং তাঁতিদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য এ প্রকল্পে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এসব প্রকল্পের নানা সুবিধার কথা তাঁত বোর্ড ফলাও করলেও বাস্তবে খুব একটা দেখা যায়নি। কুষ্টিয়ার অধিকাংশ তাঁত শ্রমিকই এ সম্পর্কে জানেন না।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র শিল্প করপোরেশন (বিসিক) কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রায় ২০০ একর জমি নিয়ে নতুন এক শিল্পনগরী গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। সেখানে তাঁতিদের অগ্রাধিকার দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। তবে এসবের বাইরে ঝিমিয়ে পড়া এই শিল্পকে রক্ষা করতে মালিকদের প্রণোদনা আর শ্রমিক সহায়তা দেওয়ার দাবি উঠেছে।
কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার সম্ভাবনাময় তাঁত শিল্পে পড়েনি আধুনিকতার ছাপ। তাঁত বোর্ড উদ্যোগ নেওয়ার কথা বললেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। কোন রকম প্রতিরোধ ছাড়াই খালি হাতে বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে রং এর কাজ করছেন এখানকার তাঁত শ্রমিকেরা। কেমিক্যালযুক্ত বিষাক্ত পানি দূষিত করছে গড়াই নদীর পানি। এর পাশাপাশি করোনার মন্দার থাবা পড়েছে এই শিল্পে। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেক শ্রমিক।
কুষ্টিয়া তাঁত বোর্ডের তথ্য মতে, জেলায় ১৫ হাজার পাওয়ার লুম ও ২ হাজার হ্যান্ডলুমে ১ লাখ ৪০ হাজার শ্রমিক কাজ করে। কুমারখালী, খোকসা ও সদর উপজেলার এসব মানুষের জীবন জীবিকা নির্ভর করে তাঁতশিল্পের ওপর। কিন্তু করোনাকালীন সময়ে আয় কমে যাওয়ায় কষ্টে দিন কাটাচ্ছে এ শ্রমিকেরা। তাঁত মালিকরাও রয়েছে অর্থনৈতিক সংকটে। এই শিল্পের সাথে জড়িত হাজার-হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ছে। বাধ্য হয়ে অনেকে পেশা বদল করছে।
কুষ্টিয়ার তাঁতশ্রমিকদের একটি বড় অংশ সুতা তৈরি ও সুতায় রঙের কাজ করেন। আর রঙের কাজে এসিডসহ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। আর শ্রমিকেরা কোন ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা না নিয়ে খালি হাতেই এসব কেমিক্যালে সুতা ডুবিয়ে দিচ্ছেন, নাড়াচাড়া করছেন। এতে তাঁরা বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কুমারখালীর শ্রমিক আমিরুল ইসলাম বলেন, লাল আর কমলা এই দুটো রঙে অ্যালার্জি বাড়ে। এই রঙের কাজ করতে গিয়ে বয়স্ক শ্রমিকদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সেলিম হোসেন বলেন, বেশির ভাগ শ্রমিকেরই হাঁপানি হয়ে যাচ্ছে।
এভাবে কাজ করলে চর্মরোগ ছাড়াও নানা শারীরিক ক্ষতির আশঙ্কা চিকিৎসকদের। ডা. মো. আকুল উদ্দিন বলেন, এই রঙের কেমিক্যাল শরীরের সংস্পর্শে আসলে চর্মে আলসার হয়, ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে।
শুধু তাই নয় এসব কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি সরাসরি নালার মাধ্যমে গড়াই নদীতে ফেলা হচ্ছে। এভাবে পানি দূষণে জীববৈচিত্র্যও ক্ষতির মুখে পড়ছে। পরিবেশবিদ গৌতম কুমার রায় বলেন, কাপড়ের এই রং মিশে জলাভূমির জলজ সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে। তবে এসব সমস্যা সমাধানে তাঁত শিল্পকে ডিজিটাল করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তাঁত বোর্ডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. মেহেদী হাসান বলেন, কুমারখালীতে তরল বর্জ্য পরিশোধনাগারও নির্মাণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে রং ও কেমিক্যালযুক্ত পানি পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করা হবে। এ ছাড়া হাতের মাধ্যমে যে কাজ হতো তা যন্ত্রের মাধ্যমে করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
সনাতন পদ্ধতির তাঁত ফেলে দিয়ে চীনের রেপিয়র তাঁত আমদানি করেছে অনেক ব্যবসায়ী। এভাবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানান রানা টেক্সটাইল এর পরিচালক শিল্পপতি মাসুদ রানা।
এস্টাবলিশমেন্ট অব থ্রি হ্যান্ডলুম সার্ভিস সেন্টারস ইন ডিফারেন্ট লুম ইনটেনসিভ এরিয়া (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের কাজও চলছে কুষ্টিয়ায়। এর আওতায় সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ৩টি সার্ভিস সেন্টারের একটি বসানো হচ্ছে কুষ্টিয়ায়। এ ছাড়াও বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের ৫টি বেসিক সেন্টারে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র,১টি ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট ও ২টি মার্কেট প্রমোশন কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পেও যুক্ত আছে কুষ্টিয়া। দেশে দক্ষ বস্ত্র প্রযুক্তিবিদ তৈরি এবং তাঁতিদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য এ প্রকল্পে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এসব প্রকল্পের নানা সুবিধার কথা তাঁত বোর্ড ফলাও করলেও বাস্তবে খুব একটা দেখা যায়নি। কুষ্টিয়ার অধিকাংশ তাঁত শ্রমিকই এ সম্পর্কে জানেন না।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র শিল্প করপোরেশন (বিসিক) কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রায় ২০০ একর জমি নিয়ে নতুন এক শিল্পনগরী গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। সেখানে তাঁতিদের অগ্রাধিকার দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। তবে এসবের বাইরে ঝিমিয়ে পড়া এই শিল্পকে রক্ষা করতে মালিকদের প্রণোদনা আর শ্রমিক সহায়তা দেওয়ার দাবি উঠেছে।
যশোর শহরে নিজ বাড়িতে ভাড়াটিয়ার কাছে শাহানারা বেগম (৫৫) নামের এক বাড়িওয়ালি হত্যার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের শেখহাটি বাবলাতলা এলাকায় ভাড়াটিয়ার ঘর থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় হত্যায় দায় স্বীকার করে লেখা একটি নোটপ্যাড উদ্ধার করা হয়।
৩১ মিনিট আগেরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চক্রান্তে জড়িত থাকার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য ও ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মফিজুর রহমান আশিককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম অব্যাহতির এ আদেশ দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন গতকাল বুধবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তাঁকে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
২ ঘণ্টা আগেহিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রীশ্রী কালী বা শ্যামাপূজা আজ বৃহস্পতিবার। প্রতি বছর দুর্গাপূজার বিজয়ার পরবর্তী বা কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে পূজিত হন দেবী শ্যামা। অধিকাংশ দেব-দেবীর পূজা দিনে হলেও শ্যামাপূজা অনুষ্ঠিত হয় রাতে। এ পূজা দীপাবলি বা দিওয়ালি নামেও পরিচিত। দীপাবলি অর্থ প্রদীপের সা
২ ঘণ্টা আগে