যশোর, শরিয়তপুর ও মেহেরপুর প্রতিনিধি
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে যশোরে ৩৬৫টি অস্ত্রের মধ্যে ২৭০টি অস্ত্র জমা পড়েছে। সে হিসাবে এখনো ৯৫টি অস্ত্র জমা হয়নি। একই সঙ্গে প্রায় ১ হাজারটি গুলিও জমা পড়েনি।
এ ছাড়া শরীয়তপুরে লাইসেন্সকৃত ১১০টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৯৪টি আগ্নেয়াস্ত্র জেলার বিভিন্ন থানায় জমা পড়েছে। আটজন লাইসেন্সধারী অন্য জেলায় অবস্থান করায় সেখানেই নিকটস্থ থানায় জমা দিয়ে শরীয়তপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের বিশেষ শাখায় নথিপত্র জমা দিয়েছে। আর লাইসেন্সধারী আট সেনাসদস্য চাকরিরত থাকায় তাঁরা আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেননি।
অপর দিকে মেহেরপুর জেলায় লাইসেন্সকৃত ৯৩টি অস্ত্রের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত জমা পড়েছে ৭৩টি অস্ত্র। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি নেতা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ রয়েছেন।
যশোরে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার অস্ত্র লুট হওয়া ও কিছু নেতা আত্মগোপনে থাকায় তাঁরা অস্ত্র জমা দিতে পারেননি।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শতভাগ জমা না দেওয়ায় সব অস্ত্রই অবৈধ হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে যেকোনো সময় যৌথ অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে যশোরের জেলা প্রশাসন।
অবৈধ অস্ত্রসহ সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ নিয়ে আজ বুধবার জরুরি বৈঠক করেছেন জেলার যৌথ বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। বিকেলে জেলা প্রশাসকের কক্ষে এই সভায় যৌথ অভিযান চালানোর রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৯৫টি অস্ত্র জমা হয়নি। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যশোরে যেকোনো সময় যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
প্রতিটি অভিযানেই একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একজন মেজর, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, আনসার বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন বলে জানান কমলেশ মজুমদার।
যশোর জেলা প্রশাসকের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাখার তথ্যমতে, জেলায় লাইসেন্স ইস্যুকৃত অস্ত্রের সংখ্যা ১ হাজার ১৩৫টি। তবে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে ৩৬৫টি। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেওয়া লাইসেন্সকৃত অস্ত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গেছে, যশোরে ৩৬৫ অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত। বেশির ভাগই পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মী এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীরা।
শরীয়তপুরে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লাইসেন্সকৃত ১১০টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৯৪টি বিভিন্ন থানায় জমা পড়েছে। জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ডিএসবি শাখার ডিআইও–১ মো. কামরুল হোসেন তালুকদার আজ বিকেল ৫টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ১১৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেন। লাইসেন্সপ্রাপ্তদের মধ্যে পাঁচজন অস্ত্র কেনেননি। এর মধ্যে ১৯টি লাইসেন্স পান সেনাসদস্যরা। বাকি মোট ১১০টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে বেসামরিক আটজন অন্য জেলায় অবস্থান করায় তাঁরা সংশ্লিষ্ট থানায় অস্ত্র জমা দিয়েছেন। আটজন সেনাসদস্য কর্মরত থাকায় তাঁদের অস্ত্র জমা দিতে হয়নি।
মেহেরপুর জেলায় লাইসেন্সকৃত ৯৩টি অস্ত্রের মধ্যে মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত জমা পড়েছে ৭৩টি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি নেতা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ রয়েছেন।
মেহেরপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়েছেন ৯৩ জন। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা ছাড়াও বিএনপি নেতা, সামরিক বাহিনীর সদস্য, আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যাংক এবং আমলারা এর মধ্যে রয়েছেন।
গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত ৭৩টি অস্ত্র ও লাইসেন্স তিনটি থানায় জমা পড়েছে। অস্ত্র দাখিলের আওতার বাইরে থাকা বাকি ২০টি অস্ত্র সামরিক–বেসামরিক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অধীনে রয়েছে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং তাঁর ভগ্নিপতি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীনের ছেলে তানভির আহম্মেদ খান রানা, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র মাহফিজুর রহমান রিটন, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ–বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস শুকুর ইমন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক জিয়াউর রহমান মুকুল অস্ত্র ও লাইসেন্স জমা দিয়েছেন।
মুজিবনগর থানায় অস্ত্র ও লাইসেন্স জমা দেওয়া হয়েছে ছয়টি। এর মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু এনপিবি পিস্তল ২৩টি গুলিসহ জমা দিয়েছেন। ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে থাকা মিলু অস্ত্র জমা দিয়েছেন তাঁর স্ত্রীর মাধ্যমে। এ থানায় জমা দেওয়া বাকি পাঁচটি অস্ত্রের মধ্যে সাবেক সেনাসদস্যর একটি শটগান এবং ৪টি দোনলা বন্দুক রয়েছে।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত গাংনী উপজেলায় অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয় ৩৬টি। গতকাল রাত পর্যন্ত সব অস্ত্রই থানায় জমা পড়েছে। অবশ্য এর মধ্যে দুজন লাইসেন্সের বিপরীতে অস্ত্র কেনেনি।
সাবেক মেয়র আশরাফুল ইসলামের ভাই আনারুল ইসলামের নামে ইস্যুকৃত শটগান ২০২২ সালে জব্দ করেছিল গাংনী থানা। এ ছাড়া আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠান হিসেবে পূবালী ব্যাংক গাংনী শাখায় একটি শটগান এবং সেনাবাহিনীর একজন মেজর ও সার্জেন্টের নামে ইস্যুকৃত অস্ত্র সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক তাঁদের নিজ নিজ হেফাজতে রয়েছে।
এ সময়ের মধ্যে অস্ত্রের লাইসেন্স গ্রহণকারী আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে সাবেক এমপি ও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন, সাবেক মেয়র ও যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম ভেন্ডার, আওয়ামী লীগ নেতা ও কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানার অস্ত্র ও লাইসেন্স জমা দিয়েছেন।
এ ছাড়া গাংনী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্র নাথ সরকার এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেনের অস্ত্র ও লাইসেন্স জমা দেওয়া হয়েছে বলে গাংনী থানা সূত্র নিশ্চিত করেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে যশোরে ৩৬৫টি অস্ত্রের মধ্যে ২৭০টি অস্ত্র জমা পড়েছে। সে হিসাবে এখনো ৯৫টি অস্ত্র জমা হয়নি। একই সঙ্গে প্রায় ১ হাজারটি গুলিও জমা পড়েনি।
এ ছাড়া শরীয়তপুরে লাইসেন্সকৃত ১১০টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৯৪টি আগ্নেয়াস্ত্র জেলার বিভিন্ন থানায় জমা পড়েছে। আটজন লাইসেন্সধারী অন্য জেলায় অবস্থান করায় সেখানেই নিকটস্থ থানায় জমা দিয়ে শরীয়তপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের বিশেষ শাখায় নথিপত্র জমা দিয়েছে। আর লাইসেন্সধারী আট সেনাসদস্য চাকরিরত থাকায় তাঁরা আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেননি।
অপর দিকে মেহেরপুর জেলায় লাইসেন্সকৃত ৯৩টি অস্ত্রের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত জমা পড়েছে ৭৩টি অস্ত্র। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি নেতা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ রয়েছেন।
যশোরে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার অস্ত্র লুট হওয়া ও কিছু নেতা আত্মগোপনে থাকায় তাঁরা অস্ত্র জমা দিতে পারেননি।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শতভাগ জমা না দেওয়ায় সব অস্ত্রই অবৈধ হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে যেকোনো সময় যৌথ অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে যশোরের জেলা প্রশাসন।
অবৈধ অস্ত্রসহ সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ নিয়ে আজ বুধবার জরুরি বৈঠক করেছেন জেলার যৌথ বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। বিকেলে জেলা প্রশাসকের কক্ষে এই সভায় যৌথ অভিযান চালানোর রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৯৫টি অস্ত্র জমা হয়নি। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যশোরে যেকোনো সময় যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
প্রতিটি অভিযানেই একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একজন মেজর, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, আনসার বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন বলে জানান কমলেশ মজুমদার।
যশোর জেলা প্রশাসকের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাখার তথ্যমতে, জেলায় লাইসেন্স ইস্যুকৃত অস্ত্রের সংখ্যা ১ হাজার ১৩৫টি। তবে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে ৩৬৫টি। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেওয়া লাইসেন্সকৃত অস্ত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গেছে, যশোরে ৩৬৫ অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত। বেশির ভাগই পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মী এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীরা।
শরীয়তপুরে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লাইসেন্সকৃত ১১০টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৯৪টি বিভিন্ন থানায় জমা পড়েছে। জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ডিএসবি শাখার ডিআইও–১ মো. কামরুল হোসেন তালুকদার আজ বিকেল ৫টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ১১৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেন। লাইসেন্সপ্রাপ্তদের মধ্যে পাঁচজন অস্ত্র কেনেননি। এর মধ্যে ১৯টি লাইসেন্স পান সেনাসদস্যরা। বাকি মোট ১১০টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে বেসামরিক আটজন অন্য জেলায় অবস্থান করায় তাঁরা সংশ্লিষ্ট থানায় অস্ত্র জমা দিয়েছেন। আটজন সেনাসদস্য কর্মরত থাকায় তাঁদের অস্ত্র জমা দিতে হয়নি।
মেহেরপুর জেলায় লাইসেন্সকৃত ৯৩টি অস্ত্রের মধ্যে মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত জমা পড়েছে ৭৩টি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি নেতা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ রয়েছেন।
মেহেরপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়েছেন ৯৩ জন। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা ছাড়াও বিএনপি নেতা, সামরিক বাহিনীর সদস্য, আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যাংক এবং আমলারা এর মধ্যে রয়েছেন।
গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত ৭৩টি অস্ত্র ও লাইসেন্স তিনটি থানায় জমা পড়েছে। অস্ত্র দাখিলের আওতার বাইরে থাকা বাকি ২০টি অস্ত্র সামরিক–বেসামরিক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অধীনে রয়েছে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং তাঁর ভগ্নিপতি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীনের ছেলে তানভির আহম্মেদ খান রানা, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র মাহফিজুর রহমান রিটন, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ–বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস শুকুর ইমন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক জিয়াউর রহমান মুকুল অস্ত্র ও লাইসেন্স জমা দিয়েছেন।
মুজিবনগর থানায় অস্ত্র ও লাইসেন্স জমা দেওয়া হয়েছে ছয়টি। এর মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু এনপিবি পিস্তল ২৩টি গুলিসহ জমা দিয়েছেন। ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে থাকা মিলু অস্ত্র জমা দিয়েছেন তাঁর স্ত্রীর মাধ্যমে। এ থানায় জমা দেওয়া বাকি পাঁচটি অস্ত্রের মধ্যে সাবেক সেনাসদস্যর একটি শটগান এবং ৪টি দোনলা বন্দুক রয়েছে।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত গাংনী উপজেলায় অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয় ৩৬টি। গতকাল রাত পর্যন্ত সব অস্ত্রই থানায় জমা পড়েছে। অবশ্য এর মধ্যে দুজন লাইসেন্সের বিপরীতে অস্ত্র কেনেনি।
সাবেক মেয়র আশরাফুল ইসলামের ভাই আনারুল ইসলামের নামে ইস্যুকৃত শটগান ২০২২ সালে জব্দ করেছিল গাংনী থানা। এ ছাড়া আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠান হিসেবে পূবালী ব্যাংক গাংনী শাখায় একটি শটগান এবং সেনাবাহিনীর একজন মেজর ও সার্জেন্টের নামে ইস্যুকৃত অস্ত্র সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক তাঁদের নিজ নিজ হেফাজতে রয়েছে।
এ সময়ের মধ্যে অস্ত্রের লাইসেন্স গ্রহণকারী আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে সাবেক এমপি ও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন, সাবেক মেয়র ও যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম ভেন্ডার, আওয়ামী লীগ নেতা ও কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানার অস্ত্র ও লাইসেন্স জমা দিয়েছেন।
এ ছাড়া গাংনী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্র নাথ সরকার এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেনের অস্ত্র ও লাইসেন্স জমা দেওয়া হয়েছে বলে গাংনী থানা সূত্র নিশ্চিত করেছে।
রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন ভাইগদিয়া এলাকায় মো. নয়ন আহম্মেদ ওরফে রমজান নামের এক যুবককে পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয় জনতা। গতকাল বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রমজানের এক সহযোগীকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের খোলা স্পটে বর্জ্য অপসারণের সময় বোমা বিস্ফোরণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চারজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন মো. আলমগীর হোসেন (৩৬), মো. ইয়াছিন (৪০), আসাদ মিয়া (৫৮) ও সাইফুল ইসলাম (৪৭)। আহত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বর্তমানে রাজধানীর শহীদ সোহ্রাওয
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বনশ্রীতে লেগুনা স্ট্যান্ডের টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে মো. হাসান হাওলাদার (১৯) হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে রামপুরা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষার সময় সূচি পরিবর্তন করে ওই স্কুল মাঠে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুরের জনসভা হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
৩ ঘণ্টা আগে