স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বোনের অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২: ৩০
Thumbnail image

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নিবন্ধন না থাকায় ডক্টরস কেয়ার অ্যান্ড স্পেশালাইজড হসপিটাল নামে বেসরকারি একটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে প্রতিষ্ঠানটির ডায়াগনস্টিক কার্যক্রম চালু রয়েছে। আজ শনিবার অভিযানটি পরিচালনা করেন জেলা (ভারপ্রাপ্ত) সিভিল সার্জন আওলিয়ার রহমান।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার এ হাসপাতালটিতে রোগী দেখেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাদী জিয়াউদ্দীন আহমেদ। আজ হাসপাতালে অভিযান চালায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযানে হাসপাতালটির নিবন্ধন পাওয়া যায়নি। নিবন্ধন হাতে না পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিজেই এ হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডক্টরস কেয়ার অ্যান্ড স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও জমির মালিক সালেহা পারভীন। মালেহা পারভীন সম্পর্কে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাদী জিয়াউদ্দীন আহমেদের বোন। আর তাঁদের উভয়ের বাবা আলী আহমদ হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির মালিক। 

তবে ডা. হাদী জিয়াউদ্দীন আহমেদ তাঁদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ করেননি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপনি বারবার কেন আমাদের সম্পর্কের কথা জিজ্ঞাসা করছেন। মালেহা পারভীন এই জমির মালিক, এই ক্লিনিকের মালিক। তিনি একজন ভদ্র মহিলা। আর আলী আহমেদ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক। আপনারা এতটুকুই লেখেন।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাদী জিয়াউদ্দীন বলেন, ‘আমি এখানে বসতাম। এর বাইরে কিছু না। তা ছাড়া হাসপাতালটির নিবন্ধনের জন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আবেদন করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করে কয়েক দিনের মধ্যে কাগজপত্র হাতে পেয়ে যাবে।’ 

জেলা (ভারপ্রাপ্ত) সিভিল সার্জন আওলিয়ার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন আছে। কিন্তু সেখানে ক্লিনিক বা অপারেশন থিয়েটারের নিবন্ধন না থাকলেও সে কার্যক্রম চালানো হচ্ছিল। অভিযানে এর সত্যতা পাওয়া যায় এবং ক্লিনিক ও অপারেশন থিয়েটার বিভাগ বন্ধ করা হয়েছে। 

পরবর্তী সময় ক্লিনিকের নিবন্ধন পেলে তা চালু করতে পারবে। এ ছাড়া বর্তমানে ওই ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রোগীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানান্তরের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ক্লিনিকের নাম নথিবদ্ধ করি। সেটি আবেদন প্রক্রিয়াধীন থাকা ক্লিনিক। পরিবেশ বেশ ভালো ছিল। ক্লিনিকের পরিচালকদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত