যশোর প্রতিনিধি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আমরা তো হাসিনার আমলে আছি। এই আমলে বাড়ি আর কারাগারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। পুলিশ রাতে বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে, নির্বিঘ্নে সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারছে না। বিএনপির নেতা-কর্মীরা সব সময় পুলিশের নজরদারির মধ্যে রয়েছে। মুক্ত পরিবেশে বাইরে থাকলেও আমরা চার দেয়ালের মধ্যে কারাগারেই বন্দী রয়েছি।’
আজ শনিবার বিকেলে যশোর শহরের ভোলা ট্যাংক রোডে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন। নেতা-কর্মীদের নির্যাতনসহ সরকারের পদত্যাগের ১০ দফা দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জনসভার আয়োজন করে যশোর জেলা বিএনপি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আলোর গতির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। সরকার একের পর এক দেশ ভিজিট করছে, দেশে ফিরে এসে তিনি উন্নয়নের গল্প শোনান। ৯০০ টাকায় গরুর মাংস খেতে হচ্ছে, চিনি তো পাওয়াই যাচ্ছে না। চিনির যে অবস্থা বাংলাদেশে চিনি বিদেশিনী গানের মতো হয়ে গেছে। যেখানে মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারছে না, সেখানে এত উন্নয়নের গল্প কিসের! সরকার উন্নয়নের নামে দেশের মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে।’
সম্প্রতি গাজীপুরের সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, ‘একজন থ্রি-ফোরে পাস করা নারীর কাছে আওয়ামী লীগ ফেল করেছে। আসলেই এই নির্বাচন সরকারের ভেলকিবাজি ছাড়া কিছুই নয়। ৫৪ শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে যায়নি। সুষ্ঠু নির্বাচনের নামে সরকার নির্বাচনের টোপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। শেখ হাসিনা গায়ের জোরে তার প্রশাসন দিয়ে এখনো ক্ষমতায় রয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নয়, একমাত্র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। সুষ্ঠু ভোট হলে আর ক্ষমতায় যেতে পারবে না আওয়ামী লীগ। তাই আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে চায় না।’
আওয়ামী লীগের কানে সিসা ঢোকানো রয়েছে মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দেশের জনগণ শেখ হাসিনাকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই জেলায় জেলায় সাধারণ মানুষ তার (শেখ হাসিনার) পতনসহ নানা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। কিন্তু সেই আন্দোলন আওয়ামী লীগ শুনতে পায় না। কারণ, তাদের কানে সিসা ঢোকানো। সাধারণ মানুষকে নিয়ে বিএনপি যখন আন্দোলন করছে, তখন প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ বিএনপির কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী হামলা করছে। তারা জানে একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে পারলে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় টিকা কঠিন হয়ে পড়বে। এই সরকার জগদ্দল পাথরের মতো চেপে রয়েছে। তারা জুলুম করে শাসন করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। আওয়ামী লীগের গুন্ডা-সন্ত্রাসী দল দিয়ে তারা এ দেশ শাসনের সঙ্গে সকল অপকর্মও করে যাচ্ছে। এই সন্ত্রাসী দল না হটা পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবই। আমাদের যে লক্ষ্য দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার, সেই লক্ষ্যে অটুট থাকব।’
যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য আরও দেন খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবিরা নাজমুল, জেলা বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহক, মোহাম্মদ মুসা, আব্দুস সালাম আজাদ, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাবেরুল হক সাবু প্রমুখ। সমাবেশে যশোরের আট উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা সাতক্ষীরা, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরাসহ খুলনা বিভাগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল থেকেই যশোরের আট উপজেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দলের নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হন। মিছিলে থাকা অনেক নেতা-কর্মীর হাতে বাঁশের মাথায় দলীয় পতাকা বেঁধে রাখতে দেখা যায়। মিছিলে নিয়ে আসা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের অনেকের হাতেই আড়াই-তিন হাত লম্বা বাঁশের মাথায় পতাকা বেঁধে রাখতে দেখা গেছে। মাঠে সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে শহরের ভোলা ট্যাংক সড়কের ওপর সমাবেশের আয়োজন করায় ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের দুই মাথায় নেতা-কর্মীরা দাঁড়িয়ে যানবাহন অন্য সড়কে ঘুরিয়ে দেন।
যশোর সদর উপজেলার চূড়ামনকাটি এলাকা থেকে বাঁশের লাঠি নিয়ে সমাবেশে আসা এক কর্মী বলেন, ‘কয়েক দিন যশোর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের সমাবেশ প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন। আমরাও প্রতিহত করার জন্য বাঁশের লাঠি নিয়ে এসেছি।’
এদিকে বিএনপির সমাবেশের দিনেই শহরের টাউন হল মাঠে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত সম্মিলিত পেশাজীবী কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সমাবেশে করেছে। সকাল থেকে ওই সমাবেশস্থলেও পেশাজীবী কর্মচারী ঐক্য পরিষদের উপস্থিতি দেখা যায়। পাল্টাপাল্টি এই দুই কর্মসূচির কারণে শহরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
বিএনপির সমাবেশের আগের দিন গতকাল শুক্রবার বাঁশ নিয়ে মহড়া দেয় জেলা আওয়ামী লীগ। জেলার আট উপজেলার নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিকেলে শহরের টাউন হল ময়দানে বিক্ষোভ সমাবেশ করে দলটি।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক বলেন, ‘সমাবেশ করার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকে পুলিশ নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার করেছে। এই গণগ্রেপ্তারের মধ্যেই আমরা সমাবেশ সফল করেছি। প্রতিটি উপজেলায় সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের ও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে আজ সকাল থেকেই নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে অংশ নেয়। এমনকি কেশবপুর ও মনিরামপুরে কয়েকজন নেতা-কর্মীদের আটকও করেছে পুলিশ।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আমরা তো হাসিনার আমলে আছি। এই আমলে বাড়ি আর কারাগারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। পুলিশ রাতে বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে, নির্বিঘ্নে সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারছে না। বিএনপির নেতা-কর্মীরা সব সময় পুলিশের নজরদারির মধ্যে রয়েছে। মুক্ত পরিবেশে বাইরে থাকলেও আমরা চার দেয়ালের মধ্যে কারাগারেই বন্দী রয়েছি।’
আজ শনিবার বিকেলে যশোর শহরের ভোলা ট্যাংক রোডে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন। নেতা-কর্মীদের নির্যাতনসহ সরকারের পদত্যাগের ১০ দফা দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জনসভার আয়োজন করে যশোর জেলা বিএনপি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আলোর গতির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। সরকার একের পর এক দেশ ভিজিট করছে, দেশে ফিরে এসে তিনি উন্নয়নের গল্প শোনান। ৯০০ টাকায় গরুর মাংস খেতে হচ্ছে, চিনি তো পাওয়াই যাচ্ছে না। চিনির যে অবস্থা বাংলাদেশে চিনি বিদেশিনী গানের মতো হয়ে গেছে। যেখানে মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারছে না, সেখানে এত উন্নয়নের গল্প কিসের! সরকার উন্নয়নের নামে দেশের মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে।’
সম্প্রতি গাজীপুরের সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, ‘একজন থ্রি-ফোরে পাস করা নারীর কাছে আওয়ামী লীগ ফেল করেছে। আসলেই এই নির্বাচন সরকারের ভেলকিবাজি ছাড়া কিছুই নয়। ৫৪ শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে যায়নি। সুষ্ঠু নির্বাচনের নামে সরকার নির্বাচনের টোপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। শেখ হাসিনা গায়ের জোরে তার প্রশাসন দিয়ে এখনো ক্ষমতায় রয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নয়, একমাত্র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। সুষ্ঠু ভোট হলে আর ক্ষমতায় যেতে পারবে না আওয়ামী লীগ। তাই আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে চায় না।’
আওয়ামী লীগের কানে সিসা ঢোকানো রয়েছে মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দেশের জনগণ শেখ হাসিনাকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই জেলায় জেলায় সাধারণ মানুষ তার (শেখ হাসিনার) পতনসহ নানা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। কিন্তু সেই আন্দোলন আওয়ামী লীগ শুনতে পায় না। কারণ, তাদের কানে সিসা ঢোকানো। সাধারণ মানুষকে নিয়ে বিএনপি যখন আন্দোলন করছে, তখন প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ বিএনপির কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী হামলা করছে। তারা জানে একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে পারলে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় টিকা কঠিন হয়ে পড়বে। এই সরকার জগদ্দল পাথরের মতো চেপে রয়েছে। তারা জুলুম করে শাসন করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। আওয়ামী লীগের গুন্ডা-সন্ত্রাসী দল দিয়ে তারা এ দেশ শাসনের সঙ্গে সকল অপকর্মও করে যাচ্ছে। এই সন্ত্রাসী দল না হটা পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবই। আমাদের যে লক্ষ্য দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার, সেই লক্ষ্যে অটুট থাকব।’
যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য আরও দেন খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবিরা নাজমুল, জেলা বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহক, মোহাম্মদ মুসা, আব্দুস সালাম আজাদ, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাবেরুল হক সাবু প্রমুখ। সমাবেশে যশোরের আট উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা সাতক্ষীরা, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরাসহ খুলনা বিভাগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল থেকেই যশোরের আট উপজেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দলের নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হন। মিছিলে থাকা অনেক নেতা-কর্মীর হাতে বাঁশের মাথায় দলীয় পতাকা বেঁধে রাখতে দেখা যায়। মিছিলে নিয়ে আসা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের অনেকের হাতেই আড়াই-তিন হাত লম্বা বাঁশের মাথায় পতাকা বেঁধে রাখতে দেখা গেছে। মাঠে সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে শহরের ভোলা ট্যাংক সড়কের ওপর সমাবেশের আয়োজন করায় ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের দুই মাথায় নেতা-কর্মীরা দাঁড়িয়ে যানবাহন অন্য সড়কে ঘুরিয়ে দেন।
যশোর সদর উপজেলার চূড়ামনকাটি এলাকা থেকে বাঁশের লাঠি নিয়ে সমাবেশে আসা এক কর্মী বলেন, ‘কয়েক দিন যশোর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের সমাবেশ প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন। আমরাও প্রতিহত করার জন্য বাঁশের লাঠি নিয়ে এসেছি।’
এদিকে বিএনপির সমাবেশের দিনেই শহরের টাউন হল মাঠে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত সম্মিলিত পেশাজীবী কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সমাবেশে করেছে। সকাল থেকে ওই সমাবেশস্থলেও পেশাজীবী কর্মচারী ঐক্য পরিষদের উপস্থিতি দেখা যায়। পাল্টাপাল্টি এই দুই কর্মসূচির কারণে শহরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
বিএনপির সমাবেশের আগের দিন গতকাল শুক্রবার বাঁশ নিয়ে মহড়া দেয় জেলা আওয়ামী লীগ। জেলার আট উপজেলার নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিকেলে শহরের টাউন হল ময়দানে বিক্ষোভ সমাবেশ করে দলটি।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক বলেন, ‘সমাবেশ করার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকে পুলিশ নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার করেছে। এই গণগ্রেপ্তারের মধ্যেই আমরা সমাবেশ সফল করেছি। প্রতিটি উপজেলায় সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের ও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে আজ সকাল থেকেই নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে অংশ নেয়। এমনকি কেশবপুর ও মনিরামপুরে কয়েকজন নেতা-কর্মীদের আটকও করেছে পুলিশ।’
যশোর প্রতিনিধি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আমরা তো হাসিনার আমলে আছি। এই আমলে বাড়ি আর কারাগারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। পুলিশ রাতে বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে, নির্বিঘ্নে সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারছে না। বিএনপির নেতা-কর্মীরা সব সময় পুলিশের নজরদারির মধ্যে রয়েছে। মুক্ত পরিবেশে বাইরে থাকলেও আমরা চার দেয়ালের মধ্যে কারাগারেই বন্দী রয়েছি।’
আজ শনিবার বিকেলে যশোর শহরের ভোলা ট্যাংক রোডে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন। নেতা-কর্মীদের নির্যাতনসহ সরকারের পদত্যাগের ১০ দফা দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জনসভার আয়োজন করে যশোর জেলা বিএনপি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আলোর গতির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। সরকার একের পর এক দেশ ভিজিট করছে, দেশে ফিরে এসে তিনি উন্নয়নের গল্প শোনান। ৯০০ টাকায় গরুর মাংস খেতে হচ্ছে, চিনি তো পাওয়াই যাচ্ছে না। চিনির যে অবস্থা বাংলাদেশে চিনি বিদেশিনী গানের মতো হয়ে গেছে। যেখানে মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারছে না, সেখানে এত উন্নয়নের গল্প কিসের! সরকার উন্নয়নের নামে দেশের মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে।’
সম্প্রতি গাজীপুরের সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, ‘একজন থ্রি-ফোরে পাস করা নারীর কাছে আওয়ামী লীগ ফেল করেছে। আসলেই এই নির্বাচন সরকারের ভেলকিবাজি ছাড়া কিছুই নয়। ৫৪ শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে যায়নি। সুষ্ঠু নির্বাচনের নামে সরকার নির্বাচনের টোপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। শেখ হাসিনা গায়ের জোরে তার প্রশাসন দিয়ে এখনো ক্ষমতায় রয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নয়, একমাত্র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। সুষ্ঠু ভোট হলে আর ক্ষমতায় যেতে পারবে না আওয়ামী লীগ। তাই আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে চায় না।’
আওয়ামী লীগের কানে সিসা ঢোকানো রয়েছে মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দেশের জনগণ শেখ হাসিনাকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই জেলায় জেলায় সাধারণ মানুষ তার (শেখ হাসিনার) পতনসহ নানা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। কিন্তু সেই আন্দোলন আওয়ামী লীগ শুনতে পায় না। কারণ, তাদের কানে সিসা ঢোকানো। সাধারণ মানুষকে নিয়ে বিএনপি যখন আন্দোলন করছে, তখন প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ বিএনপির কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী হামলা করছে। তারা জানে একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে পারলে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় টিকা কঠিন হয়ে পড়বে। এই সরকার জগদ্দল পাথরের মতো চেপে রয়েছে। তারা জুলুম করে শাসন করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। আওয়ামী লীগের গুন্ডা-সন্ত্রাসী দল দিয়ে তারা এ দেশ শাসনের সঙ্গে সকল অপকর্মও করে যাচ্ছে। এই সন্ত্রাসী দল না হটা পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবই। আমাদের যে লক্ষ্য দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার, সেই লক্ষ্যে অটুট থাকব।’
যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য আরও দেন খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবিরা নাজমুল, জেলা বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহক, মোহাম্মদ মুসা, আব্দুস সালাম আজাদ, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাবেরুল হক সাবু প্রমুখ। সমাবেশে যশোরের আট উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা সাতক্ষীরা, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরাসহ খুলনা বিভাগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল থেকেই যশোরের আট উপজেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দলের নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হন। মিছিলে থাকা অনেক নেতা-কর্মীর হাতে বাঁশের মাথায় দলীয় পতাকা বেঁধে রাখতে দেখা যায়। মিছিলে নিয়ে আসা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের অনেকের হাতেই আড়াই-তিন হাত লম্বা বাঁশের মাথায় পতাকা বেঁধে রাখতে দেখা গেছে। মাঠে সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে শহরের ভোলা ট্যাংক সড়কের ওপর সমাবেশের আয়োজন করায় ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের দুই মাথায় নেতা-কর্মীরা দাঁড়িয়ে যানবাহন অন্য সড়কে ঘুরিয়ে দেন।
যশোর সদর উপজেলার চূড়ামনকাটি এলাকা থেকে বাঁশের লাঠি নিয়ে সমাবেশে আসা এক কর্মী বলেন, ‘কয়েক দিন যশোর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের সমাবেশ প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন। আমরাও প্রতিহত করার জন্য বাঁশের লাঠি নিয়ে এসেছি।’
এদিকে বিএনপির সমাবেশের দিনেই শহরের টাউন হল মাঠে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত সম্মিলিত পেশাজীবী কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সমাবেশে করেছে। সকাল থেকে ওই সমাবেশস্থলেও পেশাজীবী কর্মচারী ঐক্য পরিষদের উপস্থিতি দেখা যায়। পাল্টাপাল্টি এই দুই কর্মসূচির কারণে শহরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
বিএনপির সমাবেশের আগের দিন গতকাল শুক্রবার বাঁশ নিয়ে মহড়া দেয় জেলা আওয়ামী লীগ। জেলার আট উপজেলার নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিকেলে শহরের টাউন হল ময়দানে বিক্ষোভ সমাবেশ করে দলটি।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক বলেন, ‘সমাবেশ করার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকে পুলিশ নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার করেছে। এই গণগ্রেপ্তারের মধ্যেই আমরা সমাবেশ সফল করেছি। প্রতিটি উপজেলায় সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের ও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে আজ সকাল থেকেই নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে অংশ নেয়। এমনকি কেশবপুর ও মনিরামপুরে কয়েকজন নেতা-কর্মীদের আটকও করেছে পুলিশ।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আমরা তো হাসিনার আমলে আছি। এই আমলে বাড়ি আর কারাগারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। পুলিশ রাতে বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে, নির্বিঘ্নে সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারছে না। বিএনপির নেতা-কর্মীরা সব সময় পুলিশের নজরদারির মধ্যে রয়েছে। মুক্ত পরিবেশে বাইরে থাকলেও আমরা চার দেয়ালের মধ্যে কারাগারেই বন্দী রয়েছি।’
আজ শনিবার বিকেলে যশোর শহরের ভোলা ট্যাংক রোডে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন। নেতা-কর্মীদের নির্যাতনসহ সরকারের পদত্যাগের ১০ দফা দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জনসভার আয়োজন করে যশোর জেলা বিএনপি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আলোর গতির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। সরকার একের পর এক দেশ ভিজিট করছে, দেশে ফিরে এসে তিনি উন্নয়নের গল্প শোনান। ৯০০ টাকায় গরুর মাংস খেতে হচ্ছে, চিনি তো পাওয়াই যাচ্ছে না। চিনির যে অবস্থা বাংলাদেশে চিনি বিদেশিনী গানের মতো হয়ে গেছে। যেখানে মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারছে না, সেখানে এত উন্নয়নের গল্প কিসের! সরকার উন্নয়নের নামে দেশের মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে।’
সম্প্রতি গাজীপুরের সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, ‘একজন থ্রি-ফোরে পাস করা নারীর কাছে আওয়ামী লীগ ফেল করেছে। আসলেই এই নির্বাচন সরকারের ভেলকিবাজি ছাড়া কিছুই নয়। ৫৪ শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে যায়নি। সুষ্ঠু নির্বাচনের নামে সরকার নির্বাচনের টোপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। শেখ হাসিনা গায়ের জোরে তার প্রশাসন দিয়ে এখনো ক্ষমতায় রয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নয়, একমাত্র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। সুষ্ঠু ভোট হলে আর ক্ষমতায় যেতে পারবে না আওয়ামী লীগ। তাই আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে চায় না।’
আওয়ামী লীগের কানে সিসা ঢোকানো রয়েছে মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দেশের জনগণ শেখ হাসিনাকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই জেলায় জেলায় সাধারণ মানুষ তার (শেখ হাসিনার) পতনসহ নানা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। কিন্তু সেই আন্দোলন আওয়ামী লীগ শুনতে পায় না। কারণ, তাদের কানে সিসা ঢোকানো। সাধারণ মানুষকে নিয়ে বিএনপি যখন আন্দোলন করছে, তখন প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ বিএনপির কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী হামলা করছে। তারা জানে একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে পারলে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় টিকা কঠিন হয়ে পড়বে। এই সরকার জগদ্দল পাথরের মতো চেপে রয়েছে। তারা জুলুম করে শাসন করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। আওয়ামী লীগের গুন্ডা-সন্ত্রাসী দল দিয়ে তারা এ দেশ শাসনের সঙ্গে সকল অপকর্মও করে যাচ্ছে। এই সন্ত্রাসী দল না হটা পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবই। আমাদের যে লক্ষ্য দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার, সেই লক্ষ্যে অটুট থাকব।’
যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য আরও দেন খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবিরা নাজমুল, জেলা বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহক, মোহাম্মদ মুসা, আব্দুস সালাম আজাদ, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাবেরুল হক সাবু প্রমুখ। সমাবেশে যশোরের আট উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা সাতক্ষীরা, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরাসহ খুলনা বিভাগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল থেকেই যশোরের আট উপজেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দলের নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হন। মিছিলে থাকা অনেক নেতা-কর্মীর হাতে বাঁশের মাথায় দলীয় পতাকা বেঁধে রাখতে দেখা যায়। মিছিলে নিয়ে আসা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের অনেকের হাতেই আড়াই-তিন হাত লম্বা বাঁশের মাথায় পতাকা বেঁধে রাখতে দেখা গেছে। মাঠে সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে শহরের ভোলা ট্যাংক সড়কের ওপর সমাবেশের আয়োজন করায় ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের দুই মাথায় নেতা-কর্মীরা দাঁড়িয়ে যানবাহন অন্য সড়কে ঘুরিয়ে দেন।
যশোর সদর উপজেলার চূড়ামনকাটি এলাকা থেকে বাঁশের লাঠি নিয়ে সমাবেশে আসা এক কর্মী বলেন, ‘কয়েক দিন যশোর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের সমাবেশ প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন। আমরাও প্রতিহত করার জন্য বাঁশের লাঠি নিয়ে এসেছি।’
এদিকে বিএনপির সমাবেশের দিনেই শহরের টাউন হল মাঠে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত সম্মিলিত পেশাজীবী কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সমাবেশে করেছে। সকাল থেকে ওই সমাবেশস্থলেও পেশাজীবী কর্মচারী ঐক্য পরিষদের উপস্থিতি দেখা যায়। পাল্টাপাল্টি এই দুই কর্মসূচির কারণে শহরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
বিএনপির সমাবেশের আগের দিন গতকাল শুক্রবার বাঁশ নিয়ে মহড়া দেয় জেলা আওয়ামী লীগ। জেলার আট উপজেলার নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিকেলে শহরের টাউন হল ময়দানে বিক্ষোভ সমাবেশ করে দলটি।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক বলেন, ‘সমাবেশ করার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকে পুলিশ নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার করেছে। এই গণগ্রেপ্তারের মধ্যেই আমরা সমাবেশ সফল করেছি। প্রতিটি উপজেলায় সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের ও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে আজ সকাল থেকেই নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে অংশ নেয়। এমনকি কেশবপুর ও মনিরামপুরে কয়েকজন নেতা-কর্মীদের আটকও করেছে পুলিশ।’

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৪ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আমরা তো হাসিনার আমলে আছি। এই আমলে বাড়ি আর কারাগারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। পুলিশ রাতে বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে, নির্বিঘ্নে সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারছে না। বিএনপির নেতা-কর্মীরা সব সময় পুলিশের নজরদারির মধ্যে রয়েছে। মুক্ত পরিবেশে বাইরে থাকলেও আমর
২৭ মে ২০২৩
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৪ ঘণ্টা আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আমরা তো হাসিনার আমলে আছি। এই আমলে বাড়ি আর কারাগারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। পুলিশ রাতে বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে, নির্বিঘ্নে সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারছে না। বিএনপির নেতা-কর্মীরা সব সময় পুলিশের নজরদারির মধ্যে রয়েছে। মুক্ত পরিবেশে বাইরে থাকলেও আমর
২৭ মে ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৪ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আমরা তো হাসিনার আমলে আছি। এই আমলে বাড়ি আর কারাগারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। পুলিশ রাতে বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে, নির্বিঘ্নে সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারছে না। বিএনপির নেতা-কর্মীরা সব সময় পুলিশের নজরদারির মধ্যে রয়েছে। মুক্ত পরিবেশে বাইরে থাকলেও আমর
২৭ মে ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আমরা তো হাসিনার আমলে আছি। এই আমলে বাড়ি আর কারাগারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। পুলিশ রাতে বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে, নির্বিঘ্নে সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারছে না। বিএনপির নেতা-কর্মীরা সব সময় পুলিশের নজরদারির মধ্যে রয়েছে। মুক্ত পরিবেশে বাইরে থাকলেও আমর
২৭ মে ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে