যশোরে লোডশেডিং বেশি গ্রামে, ধানমাড়াই নিয়ে বিপাকে কৃষক 

যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭: ০২
Thumbnail image

যশোরে শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। শহরাঞ্চলে তেমন লোডশেডিং না হলেও গ্রামে রাত-দিন মিলে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। এতে ধানমাড়াইয়ের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। 

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রোহিতা গ্রামের কৃষক তৌফিকুল বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে বেলা ২টার মধ্যে চারবার বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে। প্রতিবার ২০ থেকে ২৫ মিনিট করে মোট দেড় ঘণ্টা মতো লোডশেডিং ছিল। এ ছাড়া গতকাল সোমবার রাত ১২টার দিকে একবার বিদ্যুৎ চলে যায়। ২০ মিনিট বন্ধ ছিল। কয়েক দিন ধরে বিদ্যুতের এমনই পরিস্থিতি আমাদের গ্রামে। 

একই এলাকার কৃষক সামাদ হোসেন বলেন, টানা তাপপ্রবাহ যশোরে। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এর মধ্যে বোরো ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। ধানমাড়াই করতে গিয়ে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে বিড়ম্বনাতে পড়তে হচ্ছে। 

লোডশেডিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২-এর মহাব্যবস্থাপক মো. আবদুল লতিফ বলেন, গরমে এখন পিক আওয়ারে ১২৫ থেকে ১৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে কখনো পুরোটা পাওয়া যাচ্ছে। আবার কখনো দু-এক মেগাওয়াটে সংকট থাকছে। যেমন গতকাল সকালে দুই মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল। ২০ মিনিট করে বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে ঘাটতি পূরণ করা হয়েছে।’ 

যশোর শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)। শহরে দিন-রাতে দুই-একবার বিদ্যুৎ গিয়ে আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা লোডশেডিং হয়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওজোপাডিকোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অমূল্য কুমার সরকার বলেন, যশোর শহরে বিদ্যুতের মোট চাহিদা ৭৫ মেগাওয়াট। পুরাটাই এখন পাওয়া যাচ্ছে। কোনো লোডশেডিং নেই। মাঝেমধ্যে যতটুকু লোডশেডিং হচ্ছে সেটা মেইনটেন্যান্স (মেরামতগত) ত্রুটির কারণে হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত