সুন্দরবনে বাড়ছে বাঘের সংখ্যা, ধারণা বন বিভাগের 

খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৩, ১৭: ০৮
আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৩, ১৭: ১৩

সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলে বাঘের সংখ্যা বাড়ছে। বন বিভাগের চলতি বছরে শুরু হওয়া জরিপে প্রাথমিকভাবে এই তথ্য পাওয়া গেছে। তবে চূড়ান্ত ফলাফল পেতে আরও অপেক্ষা করতে হবে। 

সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন। 

বন বিভাগ সূত্র জানায়, ২০০৪ সালের জরিপে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৪০টি। ১৯৯৬-৯৭ সালের জরিপে বাঘের সংখ্যা উল্লেখ করা হয় ৩৫০টি থেকে ৪০০ টি। ওই সময়ে বাঘের পায়ের ছাপ পদ্ধতিতে গণনা করা হয়। ২০১৫ সালের জরিপে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১০৬ টিতে। ২০১৮ সালের সর্বশেষ বাঘ জরিপে সুন্দরবনে ১০৬ থেকে বেড়ে বাঘের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১৪ টিতে। 

তবে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ক্যামেরা ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সুন্দরবনে শুরু হয়েছে বাঘ জরিপ। ইতিমধ্যে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা ও খুলনা রেঞ্জে জরিপ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে শরণখোলা, চাঁদপাই ও সাতক্ষীরা নর্থ রেঞ্জ। 

জরিপের জন্য সুন্দরবনকে ৬৬৮টি গ্রিডে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি গ্রিডে রয়েছে দুইটি ক্যামেরা। জরিপে এক হাজার ৩৩৬টি ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সুন্দরবনে এক হাজার ২০০ কিলোমিটার খাল জরিপ করা হয়েছে। এই খালে বাঘের পায়ের ছাপের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আপেক্ষিক ঘনত্ব অনুয়ায়ী বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। 

সুন্দরবন (পশ্চিম) বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ও বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, ‘ক্যামেরা ট্র্যাকিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে সুন্দরবনে খাল জরিপ করা হয়েছে। সুন্দরবনের প্রায় এক হাজার ২০০ কিলোমিটার খাল জরিপ করা হয়েছে। বাঘের পায়ের ছাপ তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়েছে। 

তাতে দেখা ২০০৭,২০০৯, ২০২১৫ এবং ২০১৮ সালের চেয়ে আপেক্ষিক ঘনত্ব অনুযায়ী বাঘের পায়ের ছাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। তবে জরিপ শেষ হওয়ার আগে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।’ 

তিনি বলেন, ‘আগামী ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জরিপ কাজ শেষ হবে। তখনই বলা সম্ভব হবে বাংলাদেশের সুন্দরবনের অংশের বাঘের প্রকৃত সংখ্যা কত।’ 

সুন্দরবন বন বিভাগের সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো বলেন, ‘সুন্দরবন বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল। অনেক প্রতিকূলতা রয়েছে। সেই প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে বাঘ শুমারির কাজ করতে হচ্ছে। দেশি বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত