দুই যুগেও কাটেনি দুর্ভোগ, বিপাকে ১৪ গ্রামের মানুষ 

প্রতিনিধি, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া)
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২১, ১৫: ২৯

দৌলতপুর উপজেলার ধামস্বর বাজারের পূর্বপাশে এবং কাকনা বাজারের উত্তরপাশে পূর্ব দৌলতপুর-ঘিওরের সংযোগ সেতু দুইটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। পাশাপাশি দুইটি সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় ভোগান্তিতে রয়েছেন এলাকাবাসীরা। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৯৯৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে সেতুটি দুইটি নির্মিত হয়। ১৯৯৮ সালের বন্যায় সেতুর দুই পাশের মাটি ধসে পড়ে। প্রায় দুই যুগ অতিবাহিত হলেও সেতুর দুই পাশের অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করেন। শুকনো মৌসুমের ৩ মাস সেতুর পাশের বিকল্প সড়ক দিয়ে চলাচল করা গেলেও বর্তমানে বর্ষার পানিতে নৌকা ছাড়া পারাপার করা যায় না। সেতু দুইটির উত্তরপাশে কলিয়া, ঘরিয়ালা, বড়হাত কোড়া, উল্টাবাড়ী, কাকনাসহ ১৪-১৫টি গ্রামের মানুষের ঘিওর হাটে আসার একমাত্র সড়ক এটি। কিন্তু সড়ক না থাকায় বিপাকে পড়েছেন দুই পারের কয়েক হাজার মানুষ। 

ধামস্বর গ্রামের কলেজছাত্র লিটন মিয়া বলেন, জন্মের পর থেকে সেতুটি দুইটি শুধু দেখেই আসলাম। সেতুতে ওঠার ভাগ্য আর হলো না। ভবিষ্যতে হবে কিনা তাও জানি না। 

পুরোনো ধামস্বর গ্রামের আব্দুল কাদের বলেন, আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। কিন্তু দীর্ঘদিন পাশাপাশি দুইটি সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় আমরা খুব কষ্ট করে পরিষদে যাই। এর আগে ইঞ্জিনিয়ার অফিস থেকে কয়েক বার মাপ যোগ করা হয়েছে। আমি প্রত্যেকবার তাঁদের সঙ্গে ছিলাম কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সেতুটি মেরামত হলে আমরা বেঁচে যেতাম। 

বড়হাত কোড়া গ্রামের শিক্ষানবিশ আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন মোটরসাইকেলে করে এই সড়ক দিয়ে আমাকে মানিকগঞ্জ কোর্টে যেতে হয়। শুকনো মৌসুমে দুই-তিন মাস এই সড়ক দিয়ে যেতে পারলেও এখন পানি থাকায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে অন্য সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে সময় ও খরচ দুটিই বেশি হয়। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য চান মিয়া বলেন, ২০১৬ সালে সেতুর দুপাশে কিছু মাটি আমি ফেলেছিলাম। কিন্তু গাইড ওয়াল না থাকার কারণে ওই বছর পানি আসার সঙ্গে সঙ্গেই মাটি ধুয়ে চলে যায়। গাইড ওয়াল দেওয়ার চেষ্টা করেও কোনো কিছু না হওয়ায় আর মাটি ফেলা হয়নি। 

উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী রঞ্জিত পাল বলেন, সেতু দুটি আমি পরিদর্শন করেছি। সেতুর দুপাশের সড়কেও মাটি নেই। আমরা মন্ত্রণালয়ে এস্টিমেট পাঠিয়েছি, পাস হলেই কাজ শুরু করা হবে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত