তেলের দাম বাড়ায় উদ্বেগ কৃষকদের

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২১, ১৪: ৩৭
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২১, ১৪: ৫০

ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ায় উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের কৃষকদের মধ্যে। রবি মৌসুমের শুরুতেই হঠাৎ চাষাবাদের খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়লে ফসল উৎপাদন ব্যয় বাড়বে ৩০ শতাংশ। এতে কৃষি অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন কৃষকেরা।

শীতের আগমনেই দৌলতপুর উপজেলার ফসলি মাঠগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও খেতমজুরেরা। বর্তমানে উপজেলার চাষিরা পেঁয়াজ, আলু, ভুট্টা, চীনাবাদাম, রসুন, গম, ছোলা, মসুরি চাষের পাশাপাশি অন্যান্য শীতকালীন সবজিও আবাদ করছেন।

সাধারণত এক বিঘা জমিতে আলু চাষে খরচ হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। কিন্তু তেলের দাম বাড়ায় সেই খরচে যোগ হলো বিঘাপ্রতি আরও ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। বাড়তি এই খরচ নতুন দুশ্চিন্তার জন্ম দিয়েছে উৎপাদকদের মনে। চলতি মৌসুমে উৎপাদন খরচ বাড়ায় চাষের শুরুতেই কৃষকদের মূলধনে টান পড়েছে। অসহায় হয়ে পড়েছেন অনেক চাষি। 

যান্ত্রিক কৃষি ব্যবস্থায় উৎপাদন খরচ অনেকটাই নির্ভর করে জ্বালানি তেলের ওপর। উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের এক পেঁয়াজ চাষি আব্দুল লতিফ বলেন, তেলের দাম বাড়ায় এরই মধ্যে বেড়েছে হাল, সেচ ও পরিবহন খরচ। এতে উৎপাদন ব্যয়ও বেড়েছে। ফসলে ভালো দাম না পেলে কৃষিকাজ থেকে সরে আসতে হতে পারে। 

শনিবার দুপুরে উপজেলার হোসেনাবাদের একটি মাঠে পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করছিলেন কামরুল নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘১৫ টাকা বেশি দরে বাজার থেকে ডিজেল কিনেছি। আগে এক বিঘা জমি চাষ করতে নিতাম ৩০০ টাকা। তেলের দাম বাড়ায় আমাদেরও এখন বেশি টাকা নিতে হবে।’ 

আকরাম হোসেন নামের এক সেচশ্রমিক বলেন, ‘তেলের দাম বাড়ায় আমাদেরও বেশি টাকা নিতে হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে সেচ দিতে দুই থেকে আড়াই লিটার তেল লাগে।’ 

এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নুরুল ইসলাম জানান, ‘ডিজেলের দাম বাড়ায় সব থেকে বেশি প্রভাব পড়বে কৃষিতে। আমরা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।’ 

এদিকে দেশের মোট চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ ডিজেল ব্যবহার করা হয় পরিবহন ও কৃষিতে। তাই ফসল উৎপাদন ও কৃষকের স্বার্থে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি সংশ্লিষ্টদের। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত