আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরায় বর্ষা মৌসুম এলেই বেড়িবাঁধ ভাঙনের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত পার করে নদীপাড়ের মানুষ। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে কুড়িকাউনিয়া, চাকলা, কোলা, বিছট, বুড়িগোয়ালিনী, হরিনগর, মাদিয়াসহ কমপক্ষে ২০টি পয়েন্টের বেড়িবাঁধ।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরায় ৬৭৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। ষাটের দশকে এসব বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় রিমালে ভেতরে পানি না ঢুকলেও ৩৪ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
‘ত্রাণ চাই না, টেকসই বেড়িবাঁধ চাই’ দাবিতে সোচ্চার উপকূলীয় এই জেলার বাসিন্দারা। এ প্রসঙ্গে আশাশুনির তালতলা এলাকার মাসুম বিল্লাহ বলেন, প্রতিবছর কোনো না কোনো দুর্যোগে এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিভিন্ন সময়ে যে বাঁধ দেয়, তা জোড়াতালি দিয়ে চালানো হয়। যা টেকসই হচ্ছে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হলে প্রযুক্তিনির্ভর টেকসই বেড়িবাঁধ এখন সময়ের দাবি।
আশাশুনির বন্যতলা এলাকার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘৪৭-৪৮ বছর বয়স আমার। অথচ আমি দেখছি, খোলপেটুয়া নদীর ওই পাড় ভাঙে আর এই পাড় গড়ে।’
শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর এলাকার রাসেল সরদার বলেন, ‘৩০ বছর ধরে দেখে আসছি, ভাঙন এভাবে চলছে। আমার দাদার কবরও চলে গেছে। বর্ষার সময় ভাঙন বেশি হয়। এখন বর্ষা চলে এসেছে। রাতে ভালো ঘুমও হয় না ভাঙনের ভয়ে।’
একই অবস্থা আশাশুনির কুড়িকাহুনিয়া, চাকলা ও বিছট এলাকায়। কুড়িকাহুনিয়া এলাকার আব্দুর রব বলেন, যেনতেনভাবে প্রতিবছর কিছু কাজ হয়। কিছুদিন যেতে না যেতে জোয়ারের তোড়ে সেই বাঁধ আবার ভেঙে যায়।
এ বিষয়ে জেলা পানি কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী বলেন, যেনতেনভাবে বেড়িবাঁধ সংস্কার করা মানে হলো টাকা পানিতে ঢালা। সুতরাং, সেটা না করে উপকূলীয় এলাকার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। খরচ একটু বেশি হলেও গাবুরার মতো টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে। বাঁধ যেমন শতাধিক বছর টিকবে, অন্যদিকে বাঁধ যোগাযোগব্যবস্থার ভালো মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দীন বলেন, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিকল্প নেই। কিন্তু টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তাই বিকল্প হিসেবে যে বাঁধই করা হোক না কেন, তার উচ্চতা কমপক্ষে ৫ মিটার আর চওড়া ৬ মিটার করার কথা ভাবা হচ্ছে।
সাতক্ষীরায় বর্ষা মৌসুম এলেই বেড়িবাঁধ ভাঙনের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত পার করে নদীপাড়ের মানুষ। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে কুড়িকাউনিয়া, চাকলা, কোলা, বিছট, বুড়িগোয়ালিনী, হরিনগর, মাদিয়াসহ কমপক্ষে ২০টি পয়েন্টের বেড়িবাঁধ।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরায় ৬৭৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। ষাটের দশকে এসব বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় রিমালে ভেতরে পানি না ঢুকলেও ৩৪ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
‘ত্রাণ চাই না, টেকসই বেড়িবাঁধ চাই’ দাবিতে সোচ্চার উপকূলীয় এই জেলার বাসিন্দারা। এ প্রসঙ্গে আশাশুনির তালতলা এলাকার মাসুম বিল্লাহ বলেন, প্রতিবছর কোনো না কোনো দুর্যোগে এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিভিন্ন সময়ে যে বাঁধ দেয়, তা জোড়াতালি দিয়ে চালানো হয়। যা টেকসই হচ্ছে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হলে প্রযুক্তিনির্ভর টেকসই বেড়িবাঁধ এখন সময়ের দাবি।
আশাশুনির বন্যতলা এলাকার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘৪৭-৪৮ বছর বয়স আমার। অথচ আমি দেখছি, খোলপেটুয়া নদীর ওই পাড় ভাঙে আর এই পাড় গড়ে।’
শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর এলাকার রাসেল সরদার বলেন, ‘৩০ বছর ধরে দেখে আসছি, ভাঙন এভাবে চলছে। আমার দাদার কবরও চলে গেছে। বর্ষার সময় ভাঙন বেশি হয়। এখন বর্ষা চলে এসেছে। রাতে ভালো ঘুমও হয় না ভাঙনের ভয়ে।’
একই অবস্থা আশাশুনির কুড়িকাহুনিয়া, চাকলা ও বিছট এলাকায়। কুড়িকাহুনিয়া এলাকার আব্দুর রব বলেন, যেনতেনভাবে প্রতিবছর কিছু কাজ হয়। কিছুদিন যেতে না যেতে জোয়ারের তোড়ে সেই বাঁধ আবার ভেঙে যায়।
এ বিষয়ে জেলা পানি কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী বলেন, যেনতেনভাবে বেড়িবাঁধ সংস্কার করা মানে হলো টাকা পানিতে ঢালা। সুতরাং, সেটা না করে উপকূলীয় এলাকার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। খরচ একটু বেশি হলেও গাবুরার মতো টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে। বাঁধ যেমন শতাধিক বছর টিকবে, অন্যদিকে বাঁধ যোগাযোগব্যবস্থার ভালো মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দীন বলেন, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিকল্প নেই। কিন্তু টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তাই বিকল্প হিসেবে যে বাঁধই করা হোক না কেন, তার উচ্চতা কমপক্ষে ৫ মিটার আর চওড়া ৬ মিটার করার কথা ভাবা হচ্ছে।
পশ্চিম শিবরামপুর কোম্পানি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত কিশোরী দিনাজপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে। এই ঘটনায় পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
১৩ মিনিট আগেপিস্তল–গুলিসহ বাগেরহাটের রামপালে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার উপজেলার কালীগঞ্জ বাজারের একটি রাইস মিল থেকে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে এক রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও ২৫ রাউন্ড শটগানের গুলি উদ্ধার করা হয়। আজ (শনিবার) তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
১৪ মিনিট আগেজনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ কোটা প্রশাসন ক্যাডারের জন্য বরাদ্দ রাখা জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক ড. মুহম্মদ মফিজুর রহমান।
১৬ মিনিট আগেখুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বিরাট গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের জীবনে পরিবর্তনের আশা জাগাচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ ‘প্রজেক্ট সমৃদ্ধি’। পুরোনো কাপড় আর পাটের সৃজনশীল ব্যবহারের মাধ্যমে শুধু পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরি নয় নারীদের স্বাবলম্বী করার পথ দেখাচ্ছে। পাশাপাশি, শিশুদের সৃজনশীল
১৭ মিনিট আগে