Ajker Patrika

অসময়ের তরমুজে লাভের আশা মন্টুর

অসময়ের তরমুজে লাভের আশা মন্টুর

কামরুজ্জামান মন্টু যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা গ্রামের নবীছদ্দীনের ছেলে। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের গবেষণা কর্মকর্তা। পেশায় একজন সরকারি কর্মকর্তা হলেও অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে তাঁর অসময়ে মাচায় তরমুজ চাষ এলাকার কৃষকদের মাঝে সাড়া ফেলেছেন। 

রোববার পানিসারা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, কামরুজ্জামান মন্টুর জমিতে মাচায় ঝুলছে তরমুজ। গাছের চেহারা দেখে বোঝার উপায় নেই, এগুলো অসময়ে চাষ করা কোনো ফল। গ্রীষ্মকালীন এ ফলের অসময়ে যে ফলন হয়েছে, তাতে মূল মৌসুমকেও ছাড়িয়ে গেছে বলে মন্তব্য করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। 

কামরুজ্জামান মন্টু বলেন, ‘গত জুলাই মাসের প্রথম দিনে ২০ শতক জমিতে থাইল্যান্ড ব্ল্যাক ডন জাতের তরমুজের বীজ লাগাই। এসব চারা লাগানো, মাচা করা, খেতে সেচ দেওয়া, সার প্রয়োগ, নিড়ানি, কীটনাশক দেওয়াসহ ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। জমিতে আগেই মালসিং করা থাকায় বাড়তি খরচ হয়নি।’ 

কামরুজ্জামান মন্টুর খেতে মাচায় ঝুলছে তরমুজ। ছবি: আজকের পত্রিকাকামরুজ্জামান মন্টু বলেন, ‘গাছের বয়স ৫৭ দিন হলে তরমুজ তোলা শুরু করি। প্রতিটি তরমুজ আড়াই থেকে সাড়ে তিন কেজি ওজন হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৭০০ কেজি তরমুজ বাজারজাত করে বেশ লাভবান হয়েছি। গাছে যা আছে আরও বেশ কিছু টাকা বিক্রি করা যাবে। সাথি ফসল হিসেবে উস্তে, করলা, ঢেঁরস, কাঁচামরিচ ও রকমেলনের চাষ করেছি। খেতের চার পাশে ওডিসি জাতের বারোমাসি শজনের গাছ লাগিয়েছি। শখের বসে কৃষিকাজ করি। তারই ধারাবাহিকতায় ইউটিউবে দেখে দ্বিতীয়বার এ তরমুজ চাষ করেছি।’ 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘এ মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় অসময়ের তরমুজ চাষে একটু সমস্যা হয়েছে। তবে উচ্চ শিক্ষিতরা উদ্যোক্তা হওয়ার বিষয়টা একটা ভালো খবর। তিনি অসময়ের তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন। কৃষিকাজে শিক্ষিতরা এগিয়ে এলে কৃষি এগোবে, দেশ সমৃদ্ধ হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত