Ajker Patrika

জলাতঙ্কে মরছে গরু, হাসপাতালে নেই টিকা

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
জলাতঙ্কে মরছে গরু, হাসপাতালে নেই টিকা

বাগেরহাটের ফকিরহাটে গত তিন সপ্তাহে ৫টি গরু ও ২টি ছাগল কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি গরু মারা গেছে। বাকিগুলোর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে জানা গেছে। একই সময় ১০ জন ব্যক্তি কুকুরের কামড়ে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বেসরকারি হিসেবে কুকুরের আক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি।  

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ফকিরহাট উপজেলা সংলগ্ন আট্টাকা গ্রামের মো. খোকনের গৃহপালিত গরু এবং জাকির হোসেনের একটি বিদেশি গাভি কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী গ্রাম দোহাজারী, মানসা ও জাড়িয়ায় পাগলা এলাকায় কুকুরের আক্রমণে আহত গরুগুলোকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরেও জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে। 

ভুক্তভোগীরা জানান, কিছুদিন ধরে পাড়া-মহল্লায় কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে। ছাগল-গরুগুলোকে ঘাস খাওয়ার জন্য মাঠে নিয়ে গেলেই প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটছে। মাঝে মাঝে কুকুরগুলো বাড়ি ঢুকে যাকে পাচ্ছে কামড়ে দিচ্ছে। 

ফকিরহাট পল্লী পশুচিকিৎসক খান মাহমুদ আরিফুল হক ও রবিউল আউয়াল বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কুকুরের কামড়ে আহত পশুর কথা জানতে পারছি। এমন ঘটনায় কুকুর নিধন ও ভ্যাকসিন দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহ মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ফকিরহাট হাসপাতালে জলাতঙ্ক রোগের টিকার মজুত নেই। যারা ফার্মেসি থেকে টিকা কিনে আনেন, হাসপাতালে তাঁদের ওই টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। কুকুরের কামড়ে আহত অনেকে চিকিৎসার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে যাচ্ছেন। 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পুস্পেন কুমার শিকদার বলেন, কিছুদিন ধরে লোকজন কুকুরের কামড়ে আহত পশুর চিকিৎসার জন্য এখানে যোগাযোগ করছেন। তবে একবার জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলে ওই পশুকে বাঁচানো অসম্ভব। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, মাসিক সমন্বয় সভায় কুকুর নিধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া রাস্তাঘাটে শিশু ও বৃদ্ধদের চলাচলের সময় সচেতনতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত