যদি ৭০ শতাংশ ভ্যাকসিনের মাধ্যমে জলাতঙ্কের শক্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা যায়, তাহলে সেটি আমরা করব না কেন? কুকুর নিধনটা আমার কাছে কষ্টকর মনে হয়। এই ধরনের চিন্তাভাবনাও কারও থাকা উচিত নয়। একটি প্রাণকে হত্যা করা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না...
জলাতঙ্ক একটি ভাইরাল রোগ, যা মানুষ ও অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে দেখা দেয়। এটিকে ঐতিহাসিকভাবে হাইড্রোফোবিয়া (পানির ভয়) হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কারণ আক্রান্ত মানুষের মধ্যে পানি নিয়ে আতঙ্ক থাকে।
বাড়িতে পোষ্য প্রাণী রাখতে পছন্দ করেন অনেকে। এর মধ্যে ভালোবেসে কুকুর পোষেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা নিছক কম নয়। তবে বিশ্বস্ত হিসেবে খ্যাত এই প্রাণীর বেশির ভাগের শরীরে রয়েছে র্যাবিস ভাইরাস।
রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকায় রাত একটু গভীর হলেই বেড়ে যায় বেওয়ারিশ কুকুরের বিচরণ। গভীর রাতে এসব কুকুরের চিৎকার-চেঁচামেচি এখন নিয়মিত ঘটনা। অচেনা মানুষ দেখলেই তেড়ে যায় এরা। কাউকে কাউকে কামড়ও দিয়ে বসে। এই অবস্থা শুধু রাজধানী নয়, সারা দেশের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, শুধু ২০২৩ সালে সারা দেশে ৬ লাখের ব
বাড়ির পোষা বিড়ালকে আদর করতে গিয়ে কামড় খান ৫৮ বছর বয়সী ইমতিয়াজ। দুদিন পর ছেলে আজিমকে (২৪) আঁচড় দেয় বিড়ালটি। বাড়ির বিড়াল হওয়ায় তাঁরা গুরুত্ব দেননি। কয়েক দিন পরই তাঁদের মধ্যে জলাতঙ্কের লক্ষণ দেখা দেয়। এক সপ্তাহের মধ্যে বাবা–ছেলের মৃত্যু হয়।
জলাতঙ্ক রোগে এখনো বিশ্বে প্রতিবছর ৫৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০১০ সালের আগে জলাতঙ্কে প্রতিবছর ২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হতো। টিকা কার্যক্রম শুরুর ফলে ধারাবাহিকভাবে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত জলাতঙ্কে মারা গেছে ২৭ জন।
ময়মনসিংহে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত একটি কুকুর একে একে ৪০ জনকে কামড়িয়ে আহত করেছে বলে জানা গেছে। আহতেরা সকাল থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছেন। সেই সঙ্গে এ কুকুর আতঙ্কে রয়েছে ওই এলাকার মানুষজন...
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক প্রতিষেধকের কোনো ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়েই উপজেলার সাধারণ মানুষের ছোটেন জেলা সদরে। এতে বাড়তি খরচের পাশাপাশি সময়ও নষ্ট হচ্ছে। আবার কেউবা এই অতিরিক্ত খরচ বাঁচাতে কুকুর বা বিড়ালে কামড়ালে কবিরাজের শরণাপন্ন হচ্ছেন। এতে মৃত্যুঝুঁকি অনেকটাই বাড়ছে।
বাগেরহাটের ফকিরহাটে গত তিন সপ্তাহে ৫টি গরু ও ২টি ছাগল কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি গরু মারা গেছে। বাকিগুলোর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে জানা গেছে।
ইদানীং উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সন্ধ্যা নামার পরপরই শিয়ালের হাঁকডাক শুরু হয়। শাহজাদপুর পৌর এলাকার রূপপুর মহল্লার আব্দুল আলিম জানান, রাত হলেই দল বেঁধে শিয়াল ডাকাডাকি করে। রাস্তাঘাটে ঘোরাফেরা করে, এমনকি বাড়ির উঠানে চলে আসে। মানুষ তখন বাড়ি থেকে বের হওয়ার সাহস করে না।
কুমিল্লার তিতাসে জলাতঙ্ক নির্মূলের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সভাকক্ষে এ অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় ‘অচেনা প্রাণীর’ আক্রমণ থামছেই না। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের বরকতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হাসনা বেগম (৩০) নামে এক নারী আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের আসাদুল ইসলামের স্ত্রী।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ছড়িয়েছে অচেনা এক প্রাণী। প্রায়ই মানুষ ও পশুকে আক্রমণ করছে এ প্রাণী। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রাণীটির অবস্থান শনাক্ত করতে না পারায় কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
জলাতঙ্ক রোগ অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া প্রায় সব মহাদেশেই দেখা গেছে। বিশেষ করে এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। বিশ্বে প্রতি ৯ মিনিটে ১ জন ও বছরে ৫৯ হাজার মানুষ এ রোগে মৃত্যুবরণ করে। এর মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের।
জলাতঙ্ক নিয়ে এখনো বিদ্যমান বিভিন্ন ভুল ধারণা থেকে মুক্ত হতে দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্যে ঠিক করা হয়েছে—‘জলাতঙ্ক: ভয় নয়, সচেতনতায় জয়’। এ বছর জলাতঙ্ক সম্পর্কিত তথ্য ভাগ করে নেওয়ার ওপর নজর দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে। একই সঙ্গে ভুল তথ্য ও এ সম্প
এক মাস আগে বাড়িতে পোষা বিড়ালের আঁচড়ে জলাতঙ্কের শিকার হন সাদিয়া (৭)। তবে দ্রুত হাসপাতালে এনে টিকা দেওয়ায় বেঁচে যায় সে। গতকাল সোমবার ছিল তার শেষ ডোজের টিকা। শুধু সাদিয়া নয়, বছরে ৪ লাখের বেশি মানুষ কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বানরের কামড় বা আঁচড়ের শিকার হয়। আর জলাতঙ্কে মৃত্যুহার বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান
ময়মনসিংহের নান্দাইলে ১৩টি ইউনিয়নের ২৯১০টি কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকা প্রদানের তৃতীয় রাউন্ডে ৫ দিনব্যাপী কর্মসূচিতে বেওয়ারিশ কুকুরকে এ টিকা দেওয়া হয়। নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর কার্যালয়ের সমন্বয়ে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।