চুয়াডাঙ্গায় ভ্যানচালক হত্যার দায়ে একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৪, ১৭: ৪৩

চুয়াডাঙ্গায় কিশোর ভ্যানচালক রুবেল হোসেন হত্যা মামলার একমাত্র আসামি সোহাগ আহম্মেদকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (২য়) বিচারক মো. মাসুদ আলী। 

দণ্ডপ্রাপ্ত সোহাগ আহম্মেদ (২১) ছয়ঘরিয়া গ্রামের মাঝেরপাড়ার সেকেন্দার আলীর ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৭ জুন বিকেল ৪টার দিকে ব্যাটারিচালিত ভ্যান নিয়ে রুবেলকে চুয়াডাঙ্গা সদরের দশমাইল বাজারে ভাড়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বের হয় সোহাগ আহম্মেদ। কৌশলে কুতুবপুর মর্তুজাপুর গ্রামের মাঠে নিয়ে লাঠি দিয়ে মাথায় একাধিক আঘাত করে রুবেলকে হত্যা করেন সোহাগ। হত্যার পর খেজুর বাগানের ভেতর তাঁর মরদেহ গামছা ও ঘাস দিয়ে ঢেকে রাখা হয়।

পরে ভ্যানটি নিয়ে ঝিনাইদহের ডাকবাংলা বাজারে বিক্রি করতে যায় সোহাগ। সেখানে ক্রেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে একপর্যায়ে ধরা খেতে হবে বুঝতে পেরে ভ্যানটি ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায় এবং ভ্যানটি নিতে আর আসেন না। পরে থানা-পুলিশ সোহাগকে আটক করে।

এ ঘটনায় গত বছরের ২৮ জুন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একমাত্র আসামি সোহাগের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। একই বছরের ৩১ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক হারুন অর রশিদ একমাত্র আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। 

আদালতের বিচারিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২১ জনের মধ্যে ১৪ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই মামলার আসামি সোহাগ আহম্মেদকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।

এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাড. শরীফ উদ্দীন হাসু বলেন, অপরাধের ধরণে আসামির ফাঁসি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁর বয়স বিবেচনায় বিজ্ঞ বিচারক মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত